somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

GPS Navigation System যেভাবে কাজ করে !!!

২৯ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জিপিএস বা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম হচ্ছে বিশেষ ধরণের ফ্রিকোয়েন্সির উপর ভিত্তি করে কোন বস্তুর সূক্ষতম অবস্থান নির্ণয়ের পদ্ধতি। জিপিএসের গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম ব্যবহার শুরু হয়েছিলো মিলিটারি পজিশনিং নেভিগেশন এবং অস্ত্রের লক্ষ্যস্থির করার সহায়ক কৌশল হিসেবে। সর্বপ্রথম ১৯৬৭ সালে স্যাটেলাইট ট্রানজিট উৎক্ষেপণ করা হয়। এতে কোন টাইমিং ডিভাইস ছিলো না। পজিশন নির্ণয়ে রিসিভার বাই-ডিফল্ট ১৫ মিনিট সময় ধরে নিত; প্রয়োজনীয় ক্যালকুলেশন এবং সংশ্লিষ্ট কাজ সম্পাদনের জন্য। পরবর্তীতে জিপিএস ভিত্তিক অন্যান্য কাজ করার জন্য স্যাটেলাইট ছাড়া হয় ১৯৭৮ সালে। ১৯৮৪ সালে জিপিএস ব্যবহার করে বিশেষায়িত কাজগুলো করার জন্য প্রযুক্তিটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। কিন্তু, ২০০০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা খাতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার অজুহাতে পুনরায় এর ব্যবহার সীমিত করে দেয়া হয়। অদ্যাবধি এই সীমিতায়ন বহাল রয়েছে। আমরা এখন জানব জিপিএস এর কর্মপদ্ধতি।

জিপিএস এর সামগ্রিক মেইনটেন কাঠামো তিন ভাগে বিভক্ত।
মহাকাশ, নিয়ন্ত্রণ , ব্যাবহার কারী কিংবা ভোক্তা।

১। মহাকাশ বিভাগ।

এ বিভাগে মূলত রয়েছে চারটি স্যাটেলাইট। স্যাটেলাইটগুলোর কক্ষপথ এমন ভাবে প্রোগ্রাম করা আছে যেন যে কোন সময়ে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের আকাশে কিংবা ভূমিতে অবস্থিত কোন বস্তুর অবস্থান সূক্ষভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়। প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১২ হাজার মাইল বেগে এই স্যাটেলাইটগুলো দৈনিক দু’বার করে প্রদক্ষিণ করছে আমাদের এই পৃথিবীকে। যুক্তরাষ্ট্রের এই স্যাটেলাইটগুলোর ওজন ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার পাউন্ডের কাছাকাছি। তবে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও আরো বিভিন্ন দেশ যেমন রাশিয়া, চীন, জাপান, ইরান ইত্যাদি দেশগুলোও মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে কিংবা পাঠাচ্ছে। কিন্তু, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতায় যুক্তরাষ্ট্র অগ্রসর হওয়ায় তাদের পাঠানো স্যাটেলাইটগুলো অধিক ফলপ্রসু রেজাল্ট প্রদান করে থাকে।

২। নিয়ন্ত্রণ বিভাগ।

জিপিএস স্যাটেলাইটগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও সার্বিক পর্যবেক্ষণের জন্য বেশ কিছু গ্রাউন্ড ষ্টেশন বা মনিটরিং ষ্টেশন রয়েছে। এই ধরণের বেস ষ্টেশনের সংখ্যা প্রায় পাঁচটি। বৃহৎ আমেরিকার কলোরাডোর স্প্রিং-এ রয়েছে মাস্টার কন্ট্রোল ষ্টেশন কিংবা মেইন সেন্টার। এই ষ্টেশনটি অন্যান্য গ্রাউন্ড ষ্টেশন থেকে ডাটা কালেক্ট করে। এবং প্রয়োজনীয় ইনস্ট্রাকশন ও স্যাটেলাইট নেভিগেশন মেসেজ আপডেট করে থাকে।

৩। ব্যবহারকারী বা ভোক্তা বিভাগ।

কক্ষপথে অবস্থানরত স্যাটেলাইটগুলো মাস্টার কন্ট্রোল ষ্টেশন থেকে ডাটা কালেক্ট করে এবং এদের পাঠানো সিগন্যাল রিসিভ করে লোকাল ইউজারের জিপিএস রিসিভার। এই রিসিভার প্রাপ্ত সিগন্যাল প্রসেসিং করে ইউজারের কাঙ্খিত লোকেশন নির্ণয় করে থাকে।

সাধারণত জিপিএস এর ব্যবহার পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয় যেমন :

১। পজিশনিং
২। নেভিগেশন
৩। টাইমিং
৪। ম্যাপিং
৫। ট্র্যাকিং

মিলিটারি কমিউনিকেশন, এন্টারটেইনমেন্ট, টেকনোলজি, ইন্ডাষ্ট্রি ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপরোক্ত ক্যাটাগরিতে জিপিএস ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমান দৃষ্টিকোণ থেকে জিপিএস হচ্ছে সারা বিশ্বজুড়ে স্থাপিত কৃত্রিম উপগ্রহ ভিত্তিক উন্নত রেডিও পজিশনিং সিস্টেম। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে জল, স্থল কিংবা আকাশ পথে যে কোন বস্তুর ত্রিমাত্রিক অবস্থান, গতিবেগ ইত্যাদি লোকেট করা যায়। বের করা যায় পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের রাত-দিন, সময়-আবহাওয়া।

Source- http://probarta.com/
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:১২
১৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×