ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, দলিলে স্বাক্ষরের মাধ্যমে অঙ্গীকার করেও বাহাস অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকে তথাকথিত আহলে হাদিসরা নিজেরাই স্বীকার করে নিল তাদের মতাদর্শ সঠিক নয়। তাই আহলে হাদিসের ভ্রান্ত মতবাদে যারা বিশ্বাসী তাদের উচিত তওবা করে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসরণে ইসলামের সঠিক ধারায় ফিরে আসা। আহলে হাদিস নামধারী ইসলামের দুশমনদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখারও আহ্বান জানান তিনি।
ইসলাম সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী তথাকথিত আহলে হাদিসের মুখোশ উন্মোচনের লক্ষ্যে দেশের শীর্ষ ওলামাদের পক্ষ থেকে গতকাল কেরানীগঞ্জে আয়োজিত সমাবেশ-পরবর্তী ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দলের অন্য নেতা ও আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, গত বছর ৩০ নভেম্বর এবং ১ ও ২ ডিসেম্বর রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থানাধীন আইন্তা ইউনিয়ন খেলার মাঠে ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে বিশাল ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত হয়। ওই ওয়াজ মাহফিলে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন নেতা মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম। মাহফিলে ওলামায়ে কেরামরা কোরআন-হাদিসের আলোকে যথাযথ বয়ান পেশ করেন। অন্যদিকে গত ৩ জানুয়ারি আইন্তা আহলে হাদিস মসজিদ প্রাঙ্গণে জমিয়তে আহলে হাদিসের ব্যানারে ইসলামী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে আহলে হাদিসের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াস আলী তার আলোচনায় মাযহাব মানাকে শিরক, চার মাযহাবের অনুসারীরা মুশরিক, কোরআন-সুন্নাহ অনুসৃত তাসাউফ ও পীর মুরিদকে শিরক ও বিদআত, তবলিগ জামায়াতকে মুশরিক ও পথভ্রষ্ট, আল্লাহ আল্লাহ্ জিকিরকে কুকুরের ঘেউ ঘেউ বলে আখ্যা দেয়াসহ নানান বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উদ্যোগে গতকাল সকাল ১১টায় উভয় পক্ষ অর্থাত্ দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম ও কথিত আহলে হাদিসের মধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে কেরানীগঞ্জ থানার আইন্তা খেলার মাঠে প্রকাশ্য বাহাস বা প্রমাণনির্ভর বিতর্কের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য সম্মেলন আহ্বান করা হয়। এ জন্য উভয়পক্ষের মধ্যে ১৫০ টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়।
সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী কথিত আহলে হাদিসের সঙ্গে বাহাসের জন্য দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম ও পীর মাশায়েখরা উপস্থিত হলেও আহলে হাদিসের লোকজন উপস্থিত না হয়ে টালবাহানা করতে থাকে। এমনকি তারা প্রশাসনের অনুমতি যাতে না পাওয়া যায় সে ব্যবস্থাও করে। ফলে সকাল ৮টা থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে আসতে থাকা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হাসনাবাদ মদিনাতুল উলুম মাদরাসা মাঠে সমবেত করে ওলামারা দীর্ঘসময় আহলে হাদিসের ফেতনা নিরসনে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সেখানে উপস্থিত ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম উত্তেজিত জনতাকে শান্ত থাকতে অনুরোধ করেন এবং ঘোষণা করেন যে আহলে হাদিস নামের সংগঠনের কোনো লোক গতকাল বাহাসে উপস্থিত হয়নি
আমার দেশ