somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বউসহ মেজর ডালিমকে অপহরণকারী গাজী গোলাম মোস্তফার শেষ পরিণতি

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


গাজী গোলাম মোস্তফা ঢাকা শহরের একজন ত্রাস ছিলেন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সিটি ইউনিটের সভাপতি ছিলেন। তার দুই ছেলের সাথে শেখ কামালের ঘনিষ্ট বন্ধুত্ব ছিল। তার ছেলেরাও বেপোরোয়া জীবন যাপন করতো। তাদের বেপোরোয়া জীবন যাপনের কারণেই মেজর ডালিমসহ তার বউ এবং খালা শ্বাশুড়িকে অপহরণ করে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে আর্মিদের সহযোগীতায় ছাড়া পায়। অনেকেই মনে করেণ এই ঘটনা থেকেই ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টের সুত্রপাত।

যাইহোক দেশ স্বাধীনের পরে বাংলাদেশ রেডক্রসের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং দুর্নীতির কারণে যুদ্ধ বিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের জনগণ বিদেশি সাহয্য থেকে বঞ্চিত হয়। রিলিফের মাল বিশেষ করে রিলিফের কম্বলের ব্যাপক দুর্নীতি হয়। সে এতো পরিমাণ দুর্নীতি করে যে তার দুর্নীতি নিয়ে ১৯৭৪ সালের ১লা সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন পোষ্ট বিভিন্ন প্রমাণসহ একটি রিপোর্ট করে। সেই রিপোর্টের প্রতিবাদ স্বরুপ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান উল্টো গাজী গোলাম মোস্তফার পক্ষ নেয় এবং বলেন এইসব প্রপাগান্ডা যারা করছে তারা পাকিস্তানের রাজাকার, তারা চায় না এদেশে বিদেশী সাহায্য আসুক।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হলে অন্যান্যদের মতো গাজীও ভারতে পালায়ন করার চেষ্টা করে। দুর্নীতি করা দুই বস্তা টাকা নিয়ে ভারতে পালানোর সময় বাংলাদেশ বর্ডারে জনতার হাতে ধরা পরে। সাধারণ জনতা তাকে ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে দেয়। পরবর্তীতে তাকে ঢাকায় এনে কোর্ট মার্শল 'ল'এর বিচারে দশ বছরের কারাদন্ড দেয়। প্রায় পাঁচ বছর পর প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তাকে ১৯৮০সালের ২৮শে মার্চ মুক্ত করে দেন।

এরপর তিনি আজমীর শরীফের উদ্দেশ্যে সপরিবারে ভারত চলে যান। ভারত যাওয়ার পর ভারতীয় সরকার তাকে দিল্লীতেই থাকার জায়গাসহ যাবতীয় ব্যাবস্থা করে দেন। কিছুদিন সেখানে থাকার পর ভারতীয় সরকারের ব্যাবস্থাপনায় সপরিবারে আজমীর শরীফ রওনা হলে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের চাপায় ১৯৮০সালের ১৯শে জানুয়ারি পুরো পরিবারসহ নিহত হন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪
১৩টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×