
কোন ধর্মকেই ছোট করে দেখি না। সব ধর্মকেই শ্রদ্ধা করি কিন্তু কিছু মানুষের কারণে ধর্ম বিতর্কিত হয়ে যায়। তেমনই একটা ঘটনা ঘটেছে ভারতে।
এতদিন জানতাম দুর্গার পায়ের নিচে গোপ ওয়ালা সুঠাম দেহের অধিকারী প্রচন্ড শক্তিধর যাকে বধ করা হয়েছে সে অসুর। অসুর মানে দস্যু। এই অসুরকে কোন দেবতাই যখন পরাস্ত করতে পারছিল না তখন দুর্গা তাকে পরাস্ত করেছে।
সনাতনিদের মতে সনাতন ধর্ম পুরাতন ধর্ম এবং সত্য ধর্ম। দুর্গা যাকে বধ করেছে সেটা কয়েক হাজার বছর আগের পুরানো ঘটনা। সেই ঘটনার পরে সত্য, ত্রেথা, দ্বাপর পার হয়ে এখন কলিযুগ। তখন থেকেই দুর্গা দুর্গত নাশিনী হিসাবে পুজিত। কিন্তু ২০২৫-এ এসে ধারানাটা পাল্টে গেল।
সম্প্রতি ভারতের পুজা মন্ডপে ডঃ ইউনুস এবং ট্রাম্পকে অসুর হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। এতদিন অসুরের মুখে গোপ ছিল এবার অসুরের মুখে গোপ নাই পুরাই ক্লিন সেভ। গোপ না থাকলেও তারা দুইজনই সুঠাম দেহের অধিকারি। একজন হলো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আরেক জন হলো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান। এক জন খ্রীষ্টান আরেক জন মুসলমান। তাহলে এখন প্রশ্ন আসে হাজার হাজার বছর আগেও কি ট্রাম্প আর ইউনুস জন্ম নিয়েছিল এবং তাদের সাথেই কি দেব দেবীদের যুদ্ধ হয়েছিল, তা না হলে ২০২৫-এ এসে তারা দেবি দুর্গার প্রতিমায় জায়গা পেল কি করে।
মানব জাতির কল্যানের জন্যই ধর্ম। দুর্গাকেও মাতৃরুপে, শান্তিরুপে, শক্তিরুপে ভক্তি করা হয়, কিন্তু ২০২৫-এ এসে দুর্গা কি রাজনীতি শুরু করে দিল, যদি রাজনীতিই না করবে তাহলে ডঃ ইউনুস এবং ট্রাম্পের মতো রাজনৈতিক নেতারা তার প্রতিপক্ষ হয় কি করে। সত্যিই যদি ডঃ ইউনুস এবং ট্রাম্প দুর্গার প্রতিপক্ষ হয় তাহলে দুর্গার পরিচয় নিয়ে সন্দেহ করা অনাবশ্যক কিছু নয়, বর্তমান দুর্গা মানব সৃষ্ট না ঈশ্বর সৃষ্ট সেটা এখন ভেবে দেখার বিষয়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


