somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সন্তুবীরের উপাস্য (পর্ব-৫)

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ঘরের ভেতরে বসে চায়ে চুমুক দিতে দিতে নিতাইকাকা বলতে লাগলেন,
- সন্তু তুই তো সেদিন মিটিংয়ে ছিলিস না।
- স্যরি কাকা তুমি বলেছিলে মিটিংয়ের কথা। কিন্তু সেদিন আমি এতোই ব্যস্ত ছিলাম যে একদম সময় বের করতে পারিনি।
-হ্যাঁ সেটা তো বুঝেছি। শোন যেটা বলছিলাম, প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও পৌষ পার্বন উপলক্ষ্যে গ্রামে একটা নাটক মঞ্চস্থ হতে চলেছে।
- কি নাটক হচ্ছে কাকা?
- সেটা এক্ষুনি বলা যাবে না। তুই তো জানিস আমি একটু লেখালেখি করি।
- আরে বস! তুমি তো আর একটু নয় বরং ভালোই লেখালেখি করো। কিন্তু এর মধ্যে আবার কিন্তু কিন্তু কেন? আমার কথা শেষ না হতেই কাকা উত্তর দিলেন,
- না কোন কিন্তু টিন্তু না। তবে এবারের নাটকটা একটু ব্যতিক্রমী করবো বলে ভাবছি।
- ঠিক তো। তাতে সমস্যা কোথায়?
- না আলাদা করে কোনো সমস্যা নেই। তবে স্ক্রিপ্টটা নিয়ে এখনো একটা কংক্রিট জায়গায় আসতে পারিনি। এটা নিয়েই একটু চিন্তায় আছি।
-আরে! এ আর এমনকি সমস্যা যে তোমাকে দুশ্চিন্তা করতে হবে। এসব স্ক্রিপ্ট লেখা তোমার কাছে তো একদম জল ভাত বলেই জানি।
-দেখ তোরা হালকাভাবে নিয়ে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে যেভাবে দেখিস না কেন বিষয়টি খুব সহজ নয়।
- ও তাই নাকি, বলতেই প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মাথা দুলিয়ে একটা বিজ্ঞের হাসি দিয়ে,
- সময় একটু লাগবে রে। তবে আশার যে স্ক্রিপ্টটা ফাইনালি খসড়ার পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। অনেকটা কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত করার আগে আরেকটি কাজ পড়ে আছে।
- আবার কী কাজ এসে পড়লো রে বাবা?
- এই মুহূর্তে দরকার নাটকের প্লেয়ার সিলেকশন করা। চরিত্র দেখে প্রয়োজনে কিছু বাড়তি সংলাপ সংযোজন করতে হতে পারে। হাতে সময় খুবই কম। তারপর সব বুঝিয়ে বলবো।
- কিন্তু কাকা এসব তো তোমার একার কাজ।আমাদের এখানে কিছু করণীয় আছে বলে তো মনে হচ্ছে না..
-আছে রে আছে। করণীয় অনেক কিছুই আছে। এবারের নাটকে তোকেই নায়কের চরিত্রে অভিনয় করানোর কথা ভাবছি।
- আমাকে! নায়কের চরিত্রে? তোমার মাথা ঠিক আছে তো?
-বিলক্ষণ ঠিক আছে রে।
- দেখো কাকা মানছি এর আগে তোমার নাটকের পার্শ্ব চরিত্রে বেশ কয়েকবার অভিনয় করেছি। তাই বলে অভিনয়টা যে খুব ভালো পারি তা কিন্তু নয়। কোনোক্রমে সামলে দিই এই যা। এখন এই সামান্য অভিজ্ঞতা নিয়ে নায়ক!যদি তোমার নাটককে ডোবাতে না চাও তাহলে আমার আশা ত্যাগ করা ভালো বলে তোমাকে আগে ভাগেই জানিয়ে রাখলুম।
- হ্যারে এতোটা ঘাবড়াস না সন্তু। তোর মধ্যে প্রতিভা আছে। তুই যখন কিছু বলিস সকলে চুপ হয়ে তোর কথা শোনে।তোর এই লিডিং পারসোনালিটিটা আমার ভালো লেগেছে। আমি এটাকে কাজে লাগাতে চাই।
- কিন্তু কাকা নায়িকা হিসেবে তোমার বৌমা আমার লিডিং পার্সোনালিটি দেখে প্রেমে রাজি হবে এটা তুমি ভাবলে কেমনে?
- আরে বোকা! নায়িকা বৌমা হবে কেন?
- তাহলে অন্য নারী?
- সেটা তো বটেই।
- দাঁড়াও দাঁড়াও আমাকে একটু ভাবতে দাও।আমার বৌ থাকতে আবার আরেক নায়িকার সঙ্গে প্রেম।তাও আবার প্রকাশ্যে মঞ্চে। মনে মনে বলি বাড়িতে শ্রীময়ী, চাপাতলায় নেহা এর সঙ্গে মঞ্চে আরেক জন। কিন্তু এক পুরুষের কপালে এত নারী, বাড়িতে তোমার বৌমা যে আমাকে ত্যাজ্যস্বামী করে ছাড়বে তার দায়িত্ব কে নেবে?
- দেখ ফাজলামো করিস না। আমি সিরিয়াসলি বলছি।
শ্রীময়ী খুব ভালো মেয়ে। ওকে সামলানো সমস্যার হবে না।
- আরে বলো কি? তুমি আমার বৌকে সামলাবে?
নিতাইকাকা হাসতে হাসতে,
- তোকে এবার একটা ঘা কষাবো বেয়াদব কোথাকার। প্রথম থেকে ফাজলামি করে যাচ্ছিস।
- ঠিক আছে বাবা আর ফাজলামো করবো না। সিরিয়াসলি বলছি আমি কি পারবো কাকা?
কাকা জোর দিয়ে বললেন,
- আলবৎ পারবি।
কিছুটা সময় নিয়ে কাকা আবার বলতে লাগলেন,
-গ্রাম্য মানুষগুলো সারাবছরই কাজকর্মে মেতে থাকে। দুবেলা দুমুঠো খাবার পেট ভরে খেতে পায় না। ওদের এই সমস্যার সমাধান করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু যেটা সম্ভব বছরের একটা দিন আমরা কয়েকজন মিলে ওদের একটু আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করতে পারি।তুই তো জানিস সেটার জন্যেই এই আয়োজন।ধান ওঠার সময় ওদের হাতে দু- চারটে পয়সা আসে। প্রয়োজনে দু এক টাকা চাঁদা দিয়ে আমাদের সাহায্য করতে পারে। যদিও সেটা মোট খরচের তুলনায় যৎসামান্য। যে কারণে আর্থিক চাপটা আমাদের মতো দু-চারজনের কাঁধে বেশ বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এটাকে অস্বীকার করি কেমনে, সারাবছর ধরে এই সময়টার জন্যে ওরা হাপিত্যেশ করে বসে থাকে। তুই বিশ্বাস করবি কিনা জানিনা, ওদের মধ্যে এমন কয়েকজন আছে হাটে বাজারে যেখানেই দেখা হোক না কেন কুশল বিনিময়ের পর জানতে চায় নাটকের কাজ কতোটা এগোল। আমি যথাযথ এগোচ্ছে নিশ্চিয়তা দিয়ে মাথা নাড়ালে তবেই ওরা খুশিতে ডগমগ করতে করতে স্থান ত্যাগ করে।

নিতাইকাকার লম্বা কথার মধ্যে বুঝতে পারি ওলোক বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন। পরিবেশটা হঠাৎ গুরুগম্ভীর হওয়াতে আমি পড়ি বেশ বেকায়দায়। কীভাবে বলি আমার সমস্যার কথা। একে তো নেহাকে নিয়ে শ্রীর দুশ্চিন্তার শেষ নেই।সময় পেলেই খোঁচা দেওয়া চলতে থাকে। ওর খোঁচাখুঁচি আমার অস্বস্তি বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ। তার উপরে নতুন করে যোগ হলো নায়ক হওয়ার প্রস্তাব। এখন শ্রীর কানে যখন পৌঁছাবে খবরটা তখন নুতন করে আবার কী হাঙ্গামা শুরু করে কে জানে। মাথায় আসছিল না এর সমাধান কী হতে পারে। কিন্তু কয়েক মূহুর্ত যেতেই মনের অবস্থাটা বদলে যায়। মনের দোলাচলে একটুকরো নির্মল বাতাস অজান্তেই আমার হৃদয়ের চুপসে যাওয়া বেলুনটাকে অনেকটাই ফুলিয়ে বড় করে দেয়। আমি সাহস সঞ্চয় করি। হঠাৎ করে বেশ ভালো লাগতে শুরু করে এবং শিহরণ জাগতে থাকে। বিষয়টি বিয়ের জন্য প্রথম কনে দেখতে যাওয়ার মতো ধুকপুকানি আর কি । ইচ্ছে হয় কনেকে দু চারটে প্রশ্ন করি। কিন্তু অজানা আশঙ্কায় গলা শুকিয়ে আসে। নিতাইকাকার প্রস্তাব আমাকে তেমনি অবস্থায় দাঁড় করিয়েছিল। জীবনে প্রথম কোনো নাটকে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে পারার সুযোগে মনের সংগোপনে সদ্য নির্মিত প্রফুল্লতা উঁকি মারছিল বেরিয়ে আসার জন্য।।সাধ জাগছিল, নায়িকা কে কিংবা কোথা থেকে আসছে সে সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার। কিন্তু অতি কষ্টে দুর্দমনীয় মনকে নিয়ন্ত্রণ করি। মাথায় ছিল যদি শেষ মুহূর্তে উনি সিদ্ধান্ত বদলান। সেকথা মাথায় রেখে বরং সাবধানী হবাটাই শ্রেয় মনে করে নিশ্চুপ থাকি।

খানিক বাদেই আমার সামগ্রিক ভাবনারও পরিবর্তন ঘটে। ইতিপূর্বে একাধিকবার এমন গ্রাম্য নাটকে টুকটাক অভিনয় করলেও সেসব বলার মতো তেমন কিছু ছিল না। তবে নায়ক হওয়ার স্বপ্ন মনে যে ছিল না তা নয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবার স্বপ্ন সার্থক হওয়ার হাতছানি। মনে মনে ভাবি সুযোগকে যে করেই হোক কাজে লাগাতেই হবে। কোনভাবেই তাকে হাতছাড়া করা চলবে না। এক্ষেত্রে বরং কাহিনীর নির্মাতা ও নির্দেশক হিসেবে নিতাইকাকাকে আরো একটু বেশি খাতির করা বা আপ্যায়ন করা যায় কিনা ভাবতে ভাবতে রান্নাঘরের দিকে ছুট লাগালাম।

নিতাইকাকাকে টয়লেটের নাম করে আসছি বলে উঠে আসি। সকালে ওলোকের জন্য ভালো কিছু একটা টিফিনের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু সময়টা বড় কম। একটা মানুষকে বসিয়ে রেখে তো বেশি সময় নেওয়া যাবে না।এসব সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে রান্নাঘরের দরজায় এসে দেখি রান্নার দিদি অন্য কাজে ব্যস্ত। কিছুটা পা টিপে টিপে ভিতরে ঢুকে দেখি দরজার আড়ালে শ্রীও গভীর মনোযোগে কী একটা কাজে নিমগ্ন।আমি দুজনের এমন আনমনার সুযোগ নিয়ে টকাস করে শ্রীর ঘাড়ে একটা চুমু এঁকে দিলাম।শ্রী ভূত দেখার মতো লাফিয়ে উঠে পাশে রাখা বাসন কোসনের উপর পড়তে পড়তে শেষ মূহুর্তে কোনক্রমে সামাল দিল। আমি মুখ কাচু মুচু করে দাঁড়িয়ে রইলাম।আগে হলে এমন ক্ষেত্রে আমার বাপ ঠাকুরদা তুলে সাপস্বপান্ত করা নিশ্চিত ছিল। কিন্তু এখন মানুষটা একদম বদলে গেছে। মুখে কিছু না বলে দুষ্টুভরা ভ্রু নাচিয়ে,কটমট করে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। এমন অপ্রত্যাশিত শব্দে দিদিও গেল ঘাবড়ে।কী হয়েছে কী হয়েছে বলে পায়ের দিকে খোঁজাখুঁজি করতে করতে ছড়িয়ে যাওয়া বাসনকোসন গোছাতে লাগলো। দিদির সত্যান্বেষী চোখের আমিও সাথী হলাম। ওনার সঙ্গে সমানে এদিক ওদিক খুঁজতে লাগলাম। আরশোলা এসেছে কিনা বলতেই শ্রী তেমনি ইশারা করলো।দিদির কাছে ধরা পড়তে পড়তেও না পড়াতে খুশি হলো। দিদির আড়ালে কপালে হাত দিয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচার ইঙ্গিত করল। সঙ্গে চোখে মুখেও প্রশান্তি ফুঁটে উঠলো। তবে পরোক্ষণেই দিদির পিছনে গিয়ে চোখ পাকিয়ে আমাকে ঘুষি দেখিয়ে সাপুড়ে মন্ত্র পড়ার মতো মুখ বিড়বিড় করে নিঃশব্দে আচ্ছা করে বকা দিল।ওর বকুনি ও মিষ্টি শাসানিতে আমি ভালোবাসার ইমারত বানিয়ে মুগ্ধ হৃদয়ে পরম আয়েশে চোখ বুজে রইলাম। সকালের জলখাবার হিসেবে রুচির আটা মাখা ছিল।দিদি দ্রুততার সাথে চারটি লুচি ও আগে থেকে তৈরি চানা মটরের কারি নিয়ে প্লেটে সাজিয়ে আমার হাতে তুলে দিলো। ভেবেছিলাম দিদি নিজে গিয়ে নিতাইকাকাকে খাবার পরিবেশন করে আসবে। সেই সুযোগে আরো কয়েকটি টকাস টকাস শ্রীর মুখে গালে ভরিয়ে দেবো। কিন্তু সে সুযোগ আমাকে শ্রীই দিলো না। অগত্যা খাবারের প্লেট নিয়ে মুখে জচু জচু জচু বললাম।
আমার কথার সুরে তাল মিলিয়ে শ্রীও মুখে বললো,
- জচু জচু জচু ( জচুর ফুল ফ্রম কী হতে পারে পাঠকদের ভাবার স্বাধীনতা রলো)

পৌষ পার্বন মানে বাঙালির পিঠেপুলি করার আদর্শ সময়। পরেরদিন সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরে স্ত্রী সত্য পালনের জন্য বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। উদ্দেশ্য গোবিন্দভোগ আতপ চালের গুঁড়া সংগ্রহ করা। বাড়ি থেকে হাঁটা পথেই বাজার। বাজার থেকে তখনও বেশ কিছুটা দূরে ছিলাম। এমন সময় দেখি উল্টো দিক দিয়ে হাসতে হাসতে নেহা আসছে। মেয়েটার হাসিটাও ইউনিক, একটা বিশেষত্ব আছে। যাইহোক বাজারের পথে এই জায়গাতে নেহার সঙ্গে আমার আগেও বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ হয়েছে। স্থানটির পাশে একটা চাপা ফুলের গাছ আছে। এসময় গাছে নুতন ফুল আসতে শুরু করেছে। বেশ বড় গাছ। পরপর কয়েকদিন সাক্ষাৎ হওয়ার পর নেহাকে যেদিন প্রথম জানিয়েছিলাম এই জায়গাটার নাম আমাদের দুজনের জন্য চাপাতলার পরিবর্তে নেহাতলা হয়েই থাকুক। বিনিময়ে ও মেয়ে একটি মিষ্টি হাসি দিয়ে বলেছিল বেশ তবে তাই হোক। তারপর যতবারই এই গাছটির তলা দিয়ে গেছি ততবারই মন থেকে প্রত্যাশা ছিল যেন নেহার দেখা পাই। কিন্তু এমন তো সর্বদা হওয়া সম্ভবপর ছিল না।তাই ওকে দেখা না পাওয়ার অদ্ভুত একটা শূন্যতা সেসময়ে আমার হৃদয়কে ভারাক্রান্ত করে তুলতো। যাইহোক নেহা হাসতে হাসতে একদম পাশে চলে আসতেই জিজ্ঞেস করি,
- নেহা আমার কী ইচ্ছে হচ্ছে জানো?
-কী ইচ্ছে করছে কাকু?
- ঐ চাপা গাছে সদ্য ফোঁটা একটা সতেজ ফুল তুলে গুঁজে দেই তোমার বেণীতে।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে,
- দিদি প্রচন্ড মাইন্ড করবেন যে তাহলে।
-দিদি যদি না জানতে পারে..
- না কাকু ওনাকে গোপন করা ঠিক হবে না। একদিন না একদিন ঠিকই জেনে যাবেন। তখন আমরা দুজনেই বিপদে পড়বো।
নেহা যে সিরিয়াসলি নেবে বিষয়টি আমি বুঝতে পারিনি। প্রসঙ্গ পাল্টাটে বলি,
- তোমাকে আজকে কেমন লাগছে জানো?
-কেমন কাকু?
-তোমাকে আজ আমার জীবন্ত ডানাকাটা পরী বলে মনে হচ্ছে।কেন তোমাকে এতো সুন্দরী লাগছে বলতে পারো নেহা?
নেহা লাজুক হাসি দিয়ে,
- এমা! সেটা আমি কী করে বলবো? তবে দিদি কিন্তু আমার চেয়ে বেশি সুন্দরী কাকু।
- মানছি তোমার দিদি বেশি সুন্দরী। কিন্তু তুমি যে আমার কাছে পটে আঁকা কোনো এক দেবকন্যা। তোমার মায়া ভরা চাহনি যে কোনো পুরুষের হৃদয়ে কালবৈশাখীর মহাপ্লাবনের মতো তুফান তুলতে পারে।
হঠাৎ নেহা খুব কাছে এসে নিচু গলায় বলে,
- কাকু এতোটা উতলা হবেন না প্লিজ।দিদি ভীষণ কষ্ট পাবেন।
প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই গলাটা পাল্টে বেশ মোটা করে,
- কাকু আপনার সঙ্গে দেখা হয়ে ভীষণ ভালো হয়েছে। গতকাল আপনার ফর্মুলায় প্রথম কাজ করেছি।
আমি উৎসুক ভরা দৃষ্টিতে জিজ্ঞেস করি,
- আমার ফর্মুলা! কোন ফর্মুলার কথা বলছো নেহা?

চলবে....
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:১৯
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×