সিদ্ধেশ্বরী মনোয়ারা হসপিটাল পার হইইয়া হাঁইটে যাইতাছি একদিন। উদ্দেশ্য মিন্টো রোডের ফাঁকা রাস্তা হইয়া শাহবাগ মোড় ধরব। ভিকি স্কুলের গেটে জটলা। বেদম মাইর খাওয়া এক, সিপাই খুব খেইপে গ্যাছে। কে বা কারা মাইরেছে এইটা বুঝা যাইতাছে না। সে একবার হেলমেট চ্যাগায়, তো আরেকবার পাছা ঝাঁকায়।
হু বাবা, আমি সিপাই। ফুলিশ ভাইয়েরা খানিকটা সন্ত্রস্ত। সিপাই ভাইয়ের বুট শক্ত, কহন চাইপে দ্যায়। রমনা থানার ও.সি সাব কইলো, 'কন স্যার, অপরাধী কারা?'। সাব ইন্সপেক্টর একজন পাশে লিখপার জন্যি তৈরি।
সিপাই ভাইটি জটলার দিকে তাকায়ে একটা হুংকার দিয়ে, বইল্লেন, '' এই এই ক্ষাংকী'র পুলারা সব, সবাই মারছে। সব বহিঃশত্রু''।
আমি ভেবেছিলাম, কোন হালায় আশিক দিওয়ানা ওরে মারছে, ওর বালিকার দিকে নজর নজরানা করছিলো সিপাই ভাই। পরে বুঝলাম, হেয় ভিকির গেইটে দাঁড়ান অভিভাবক হগল্লের কাছে গণ খাইছে।
হাঁটতাছি, আর কানে ভাইসা আসতাছে,' সব, সব ছাত্রী, ওগের অভিভাবক, ওগো বন্ধু-বান্ধবী, শিক্ষক-শিক্ষয়ত্রী, বুয়া, টেইলর, রিকশাওয়ালা, ভ্যানচালক, ড্রাইভার, গেইটের ঝালমুড়িঅলা, লেইস-ফিতার হকার, সব সবতের বিরুদ্ধে মামলা, ছাড়াছাড়ি নাই''।
এর লাইগেই আমাগো ছিদ্দীক কাকা কইতো, '' হাঁটু দিয়ে তুই করিসনে বিশ্ব জয়, আড়ালে তার হিটলু হাসে''।।