প্রখ্যাত লেডী কিলার রাশেদ ভাই আজ পুলিশ মাম্মুর হাতে আটকা খেয়ে এখন শুশুর বাড়ি অবস্থান করছেন। আপনারা সবাই তার জন্য দোআ করবেন। জানা যায় তিনি শুশুর বাড়িতে সুস্থ আছেন এবং সেখানেও তিনি তার লেডী কিলিং কার্যক্রম চালু রেখেছেন পুলিশের নারী সদস্যদের সাথে রসালো আলাপের মাধ্যমে।
==== নগরীর হালিশহর গ্রিনভিউ এলাকার এক কিশোরীকে অপহরণের মামলায় রাশেদুল হাসান রাসেল (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকার শাহবাগ থানার রয়েল প্যালেস হোটেল থেকে কিশোরীকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা থেকে দু‘জনকে চট্টগ্রামে নেওয়ার পর বুধবার দুপুরে পাহাড়তলী থানা কার্যালয়ে পুলিশ রাসেলের পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত অপরাধের বর্ণনা তুলে ধরে।
রাসেল চট্টগামের চেইন শপিং মল খুলশী মার্টে মার্কেটিং অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, রাসেলের বিরুদ্ধে কিশোরী অপহরণ ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য মেয়েকে ফুসলিয়ে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করার পর সেই ভিডিও বাজারে ছাড়ার অভিযোগ রয়েছে। অপহরণ মামলার তাকে গ্রেপ্তারের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে তার অপরাধের এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।
গত ১১ এপ্রিল চট্টগ্রামের হালিশহরের শিপব্রেকিং ব্যবসায়ীর ও লেভেল পড়–য়া কিশোরী মেয়েকে নিয়ে চকরিয়ায় পালিয়ে যান রাসেল। পরে তারা বিয়ে করেন। এ ঘটনায় অপহৃতার বড় ভাই গত ২২ এপ্রিল পাহাড়তলী থানায় রাসেল, তার ভাই ও বোন জামাইসহ চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ অপহৃতাকে উদ্ধারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযানের পর মঙ্গলবার বিকেলে শাহবাগ থানা পুলিশের সহযোগিতায় রাসেলকে গ্রেপ্তার করে।
এ প্রসঙ্গে সিএমপির পাঁচলাইশ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার এসএম তানভীর আরাফাত বাংলানিউজকে বলেন, ‘একাধিক মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপনের ৪০টি ভিডিও ক্লিপ রাসেলের কাছে রয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। পুলিশ এই ধরনের একটি ভিডিও ক্লিপ জিইসির মোড়ে রাসেলের পূর্বের কর্মস্থল ল্যাবএইডের এক সহকর্মীর কাছ থেকে সংগ্রহ করেছে।’
তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করা হবে বলে তিনি জানান।
তবে অপহৃতা কিশোরী স্বেচ্ছায় রাসেলের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে।
একইসাথে বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে শারিরীক সর্ম্পকের ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচারের কথা পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন।
তবে পাহাড়তলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইসমাইল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘কিশোরীর বয়স অল্প হওয়ায় সে না বুঝেই তার সঙ্গে গেছে। এক্ষেত্রে আইনগতভাবে রাসেল অপরাধ করেছে।’
দুপুরে পাহাড়তলী থানা কার্যালয়ে রাসেল সাংবাদিকদের জানান, অপহৃতা কিশোরী তার বউ এবং তার বয়স ১৮ বছরের বেশি। অপহৃতা তার পারিবারিক নির্যাতনে স্বেচ্ছায় ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। উপায় না থাকায় তারা পালিয়ে বিয়ে করেন।
অন্য এক মেয়ের সঙ্গে উদ্ধারকৃত ভিডিওচিত্রের ব্যাপারে তিনি দাবি করেন, ‘ওই মেয়ে তার সেলফোনে শারিরীক সম্পর্কের দৃশ্য ধারণ করেছিল। পরে তার সেলফোন ছিনতাই হওয়ায় তা বাজারে ছড়িয়ে পড়ে।’ Click This Link