কাদের মোল্লার ফাঁসির পর দ্রুত পট পরিবর্তন হল। পাকিস্তান জামায়াত ইসলামী শুধু না বরং তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী, এমন কি ইমরান খান এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দেখাল। এমন কি বাংলাদেশ আক্রমন করার চিন্তাও তাদের মনে আসলো। পাকিস্তান পার্লামেন্টে এই সংক্রান্ত কথা উঠলো। বলা হল পাকিস্তানের প্রতি বিশ্বস্ত থাকার কারণে কাদেরের ফাঁসি হল। দরদে তাদের পরাণ আকুপাকু। প্রতিবাদ করলো তাদের খুব কাছের বিশ্বস্ত কাদের মোল্লার ফাঁসি হওয়ায়। অন্যদিকে ভারতের কূটনৈতিক দেবযানীকে মার্কিন মুলুকে বিবস্ত্র করা হল। ভারতের একটা ভাসাভাসা ধারণা হল যে, বাংলাদেশ প্রশ্নে তারা যুদ্ধাপরাধী বিচারের পক্ষে এবং মার্কিনীরা বিপক্ষের থাকায় এহেন অপমান। অনেকগুলো বিষয় অনেকের কাছে পরিস্কার হল। অনেকে অনেক কিছু প্রমাণ করলো-
ইমরান খান প্রমাণ করলো - এই কাদের মোল্লাই সেই কসাই কাদের।
পাকিস্তান প্রমাণ করলো - '৭১ এর গণহত্যার জন্য তারা এখনও অনুতপ্ত নয়। এখনও হেরে যাওয়ার দগদগে ঘা তাদের মনে রয়েছে এবং তারা এখনও বন্ধু রাষ্ট্র নয়। তাদের এখনও বিশ্বাস করা যায় না।
আমেরিকা প্রমাণ করলো - আফগানিস্তানের মত বাংলাদেশেও মৌলবাদকে উস্কে দিয়ে পরবর্তীতে মৌলবাদ রাষ্ট্র অপবাদে আক্রমণ করার সুপ্ত বাসনা তাদের মনে আছে। পাকিস্তান তাদের সমর্থনে থাকায় এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত আমেরিকার জন্য হুমকি হওয়ায় বাংলাদেশ তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা।
ভারত প্রমাণ করলো- উচিত জবাব তারা দিতে জানে এবং কাউকে তারা কেয়ার করে না। ( তথাপি সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারের বাসনা তাদের মাঝেও আছে। তাদের মনেও এই ধারণা বর্তমান যে '৭১ এ যুদ্ধটা তারাই করেছে আর বাঙালি চুড়ি পড়ে ঘরে বসে ছিল। )
জামাত প্রমাণ করলো- তাদের এই দেশে কোন স্থান নেই। এই দেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার তাদের দেয়া যায় না (বি দ্রঃ জামায়াতে ইসলামীর মূল কার্যালয় পাকিস্তানে)
বিএনপি প্রমাণ করলো- তারা মেরুদণ্ড হীন। পাকিস্তানের এহেন প্রতিক্রিয়ায় তারা বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ না করে কেন তরুণ প্রজন্ম পাকিস্তান হাইকমিশন ঘেরাও করতে যায় সেটাই তাদের মাথা ব্যাথা। এমনকি তবু তারা জামায়াতের সঙ্গ ছাড়বে না এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের উপর তাদের বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাবোধ নেই।
আওয়ামীলীগ প্রমাণ করলো- ক্ষমতার ব্যাবহার এবং অপব্যাবহার দুইটাই তারা করতে পারে এবং রাজনীতির খেলাটা তাদের মত ভালো আর কেউ জানে না।
জনগণ প্রমাণ করলো- তারা ভোঁদাই, বিভ্রান্ত এবং হুজুগে। (বর্তমান প্রজন্মের জনৈক দেশপ্রেমিকের মতেঃ জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে বিশ্ব রেকর্ড করসি। সঠিকভাবে গাইবার টাইম আছে? আমিও ছিলাম- এটা বোঝানোর জন্য ফেসবুকে ছবি আপলোড দেয়াটাই এখন বড় ব্যাপার। যে শ্রদ্ধাবোধ থাকার কথা দেশের জন্য সেটা নতুন YoYo প্রজন্মকে কে শিক্ষা দিবে?
এরশাদ প্রমাণ করলো- তার কথা আর প্রেমিকের কাছে প্রেমিকার ওয়াদা একই জিনিস। (সর্বশেষ: নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত)
আর ছাগুরা প্রমাণ করলো- ছাগলের লেজ কখনও সোজা হয় না।