somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পঞ্চগড়ে দুই বাংলার মিলন মেলায় আবেগে ভাসলো স্বজনরা

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
প্রতি বছরের
মতো এবারো নববর্ষ উপলক্ষে
পঞ্চগড়ে ভারত-বাংলাদেশ
সীমান্তে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দুই
বাংলার মিলন মেলা। কড়া
নজরদারি আর বিজিবি



বিএসএফের বাঁধা উপেক্ষা করে
প্রিয় স্বজনদের সাথে এক পলক
দেখা করতে সীমান্তে লাখো
মানুষের ঢল নামে। মুহূর্তে ওই
সীমান্ত দুই বাংলার মিলন
মেলায় পরিণত হয়।
প্রতি বছর বাংলা নতুন বছরের
প্রথম দিন জেলা সদরের
অমরখানা সীমান্তের
নোম্যান্সল্যান্ডে এই মিলন
মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে
এবার ভারতের বিধানসভা
নির্বাচনে পঞ্চগড়ের
পার্শ্ববর্তী সীমান্তের
ওপারের এলাকাগুলোতে ভোট
অনুুষ্ঠিত হওয়ায় পহেলা
বৈশাখের আগের দিনই
সীমান্তে দুই পাড়ে জড়ো হতে
থাকে লাখো মানুষ। বুধবার
সকাল থেকেই পঞ্চগড়সহ
পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন
প্রান্তের নারী পুরুষ ও শিশুদের
নিয়ে ওপারের স্বজনদের সাথে
দেখা করতে অমরখানা
সীমান্তের কাছে এসে জড়ো
হয়। বেলা ১ টার সময় বিজিবি ও
বিএসএফ দুই বাংলার মানুষদের
সীমান্তের কাঁটা তারের
কাছে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়।
ওই সীমান্তের ৭৪৪ নং মেইন
পিলারের ১ থেকে ৭ নং সাব-
পিলার পর্যন্ত প্রায় ৫
কিলোমিটার নো-ম্যান্সল্যান্ড
এলাকার কাঁটাতারের বেড়ার
দুই পাশে পঞ্চগড় জেলার
অমরখানা ইউনিয়নের অমরখানা ও
বোদাপাড়া এবং ভারতের
জলপাইগুড়ি জেলার রায়গঞ্জ
থানার খালপাড়া, ভিমভিটা,
গোমস্তাবাড়ি ও বড়ুয়াপাড়া
গ্রামসহ উভয় দেশের বিভিন্ন
বয়সী লাখো মানুষ মিলনমেলায়
অংশ নেয়। এই মিলন মেলায়
লাগেনা কোন ভিসা বা
পাসপোর্ট।
কাঁটা তারের বেড়ার ফাঁকা
দিয়েই প্রিয় স্বজনদের এক পলক
দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন
অনেকেই। পুড়ো সীমান্তে এক
আবেগ ঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ
সময় কেউ স্বজনদের হাত ছুঁয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন আবার কেউ
স্বজনদের জন্য আনা উপহার
সামগ্রী বিনিময় করে। এবার
কেউ কেউ নববর্ষ উপলক্ষে
ভারতীয় স্বজনদের ইলিশ মাছ
উপহার দেয়। আত্মীয় স্বজন না
থাকলেও মিলন মেলার মহোৎসব
দেখতে আসে তরুণ প্রজন্মের
ছেলে মেয়েরাও। কেউ কেউ
আবার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে
মিলন মেলার কাঁটা তারের
সাথে সেলফিও তোলে।
জানা যায় ৪৭’এ পাক-ভারত
বিভক্তির পূর্বে পঞ্চগড় জেলার
পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া, বোদা ও
দেবীগঞ্জ উপজেলা ভারতের
জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে
ছিল। পাক-ভারত বিভক্তির পর
এসব এলাকা বাংলাদেশের
অর্ন্তভূক্ত হয়। দেশ বিভক্তের
কারণে উভয় দেশের নাগরিকদের
আত্মীয়-স্বজন দুইভাগে বিভক্ত
হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ স্বাধীন
হওয়ার পরও দুই দেশের নাগরিকরা
তাদের আত্মীয় স্বজনের
বাড়িতে যাওয়া-আসার সুযোগ
পেলেও ভারত সীমান্ত এলাকায়
কাঁটাতারের বেড়া নির্মান
করায় অবাধ যাতায়াত বন্ধ হয়ে
যায়। পরবর্তীতে উভয় দেশের
নাগরিকদের অনুরোধে প্রায়
একযুগ ধরে বিজিবি ও বিএসএফের
সহযোগিতায় অমরখানা
সীমান্তে দুই বাংলার
মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
এবছরও ভারত-বাংলাদেশের
নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর জড়ো হয়
সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে
বিজিবি-বিএসএফ সদস্যদের
হিমশিম খেতে হয়। বেলা ১ টায়
বিএসএফ বিজিবি একমত হয়ে
কাঁটাতারের বেড়ার কাছ
যাওয়ার অনুমতি দিলে
বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মতো
ঊভয় দেশের বিভিন্ন বয়সি
মানুষজন নোম্যান্সল্যান্ডে
প্রবেশ করে। আবেগ, কান্না,
¯েœহ ভালোবাসায় ভরে উঠে
পুড়ো সীমান্ত।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার
ভাউলাগঞ্জ থেকে এসেছেন
সরদিনী রাণী (৫০)। ওপারে
জলপাইগুঁড়ির কাশিবাড়ি
এলাকায় তার মেয়ে সরস্বতীকে
বিয়ে দিয়েছেন ৮ বছর হলো।
কিন্তু অর্থকড়ি না থাকায়
পাসপোর্ট ভিসা করে মেয়েকে
দেখতে যেতে পারেন না।
কিন্তু বছরে একবার এইভাবে
মেয়েকে দেখার সুযোগ হয়।
মেয়ে ও নাতি সবাইকে
আর্শিবাদ করেন সরদিনী। এ সময়
তিনি একবার মেয়েকে ছুঁয়ে
আদর করেন। সীমান্তে কাঁটা
তারের বেড়ায় সে আবেগ
ছাপিয়ে যায়।
তার মতো পঞ্চগড়ের টুনিরহাট
থেকে জগদিস চন্দ্র রায় এসেছেন
ভারতের শিলিগুড়িতে থাকা
আপন ভাই ফনিভূষণকে দেখতে।
শত আবেগ আর প্রিয় স্বজনদের এক
পলক দেখার লোভে লাখো
বাঙালি প্রতি বছর দুই বাংলার
এই মিলন মেলায় যোগ দেয়। এ সময়
তারা ওই সীমান্তে একটি
সীমান্ত হাটের দাবি জানান।
কপি পোষ্ট
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১৬
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×