আরটিএনএন
নারায়ণগঞ্জ: ত্বকী হত্যার প্রতিবাদে আন্দালন করায় নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি প্রদীপ ঘোষ বাবু ও জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি হাফিজুল ইসলামকে স্বপরিবারে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম শামীম ওসমান এই হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এই দুই নেতা। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
প্রদীপ ঘোষ ও হাফিজুল জানান, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের গেইটের সামনে একটি কালো রংয়ের গাড়িতে বসে দুইজনকে লোকমারফত ডেকে এনে স্বপরিবারে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে দুইজনই জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করলেও এখন পর্যন্ত জিডি হিসেবে গ্রহণ করেনি।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ৮ মার্চ ত্বকী হত্যা পর থেকে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে তারা নিয়মিত আন্দোলন করে আসছেন। শুক্রবার দুপুরে হাফিজুল ও প্রদীপ ঘোষ শহীদ মিনারে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের পূর্ব নিধারিত শহীদ তাজুল স্মরণসভার প্রস্তুতির তদারকি করছিলেন।
দুপুর দেড়টার দিকে যুবলীগ নেতা বাদল রায় হাফিজুল ইসলামকে ডেকে বলেন- তোমাকে শামীম ওসমান ডাকছে। তখন হাফিজুল ইসলাম, অঞ্জন দাস, আবু নাঙ্গম খান বিপ্লব গেইটের দিকে এগিয়ে যায়।
মূল গেইটের বাইরে দাঁড়ানো কালো রঙের গাড়িতে বসা সাদা পাঞ্জাবি পরা শামীম ওসমান বাদল রায়কে দেখিয়ে বলে ওই মালাউনের বাচ্চাকেও ডাক। তখন বাদল প্রদীপ ঘোষ বাবুকেও ডেকে আনে।
এ সময় শামীম ওসমান আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে বলেন, ‘অনেক বাইড়া গেছস, অনেক গভীরে হাত দিয়া ফালাইছস, সামাল দিতে পারবি না। বউ পোলাপান নিয়া শহরে থাকতে পারবি না। আজ থেইকা নারায়ণগঞ্জে কি অবস্থা হয় দেখবি।’
একথা বলে ড্রাইভারকে গাড়ি চালাতে বলেন। পরে গাড়িটি মহিলা কলেজের দিকে চলে যায়।
এ হুমকির ঘটনায় হাফিজুল ইসলাম ও প্রদীপ ঘোষ বাবু নিরাপত্তার দাবিতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করার জন্য লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু পুলিশ জিডি হিসেবে গ্রহণ না করে অভিযোগ দুটি রিসিভ করে রাখেন।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঞ্জুর কাদের জানান, ‘লিখিত অভিযোগ দুটি পুলিশ রিসিভ করে রেখেছে। আমি থানার বাইরে আছি। থানায় গিয়ে অভিযোগ দেখে ব্যবস্থা নেব।’