উপকূলের দিকে আরো এগিয়ে এসেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’। আর ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সমুদ্রবন্দরসহ উপকূলীয় এলাকায় জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৯ নং বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ সামান্য উত্তরদিকে সরে গিয়ে বর্তমানে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
এটি আজ সন্ধ্যা ৬ টায় (১৪ মে, ২০১৩ ইং তারিখ) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০১৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিম এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল (১৪.৩০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.২০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ)। এটি আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এটি আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। উপকূলের কাছাকাছি আসলে এর গতি আরো বাড়তে পারে। বুধবার নাগাদ ‘মহাসেন’ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকট সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৪ (চার) নম্বর পুনঃ ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।