পূর্ণ চন্দ্রের মায়াবী জ্যোৎস্নায় সবাই অবগাহন করতে চায়
শুধু আমি চাইলেই দোষ ।
প্লুটোর মতই বামন হলাম
কেউ রাখেনা খোঁজ ।
মায়াবী চাঁদের ঐ রূপালি আলো আজ তোমরা কিনে নিয়েছ
তোমাদের যোগ্যতা , অর্থ প্রাচুর্য, মহীমা , গরিমা আর ক্ষমতার দাপটে ।
তোমরা চাঁদের রূপালি আলোয় তাজমহল দেখে আত্মাকে তৃপ্ত কর
সাগরের উন্মাদ জলে গা ভাসিয়ে দাও ,
চাঁদের আকর্ষণে তোমাদের মনে প্রেমের জোয়ার দোলা দিয়ে যায় ,
তোমাদের অর্ধনগ্ন শরীর দেখে চাঁদ মুচকি হাসে ,
তোমাদের রঙিন মুহূর্তগুলো চাঁদের আলোয় বর্ণালী ছড়ায় ,
তোমরা চাঁদের রূপে মধু ঢেলে মধুচন্দ্রিমায় মেতে থাক ,
শুধু আমি চাইলেই দোষ ।
আমিও ভেবেছিলাম চন্দ্রস্নান করব –
চাঁদের দ্বিখণ্ডিত বুকে ব্যথার প্রলেপ লাগিয়ে দিব,
মধুচন্দ্রিমায় আমার চন্দ্রমুখী কে নিয়ে সাগর তীরে ঝিনুক কুড়াব
আর তাতেই আমার দোষ হয়ে গেলো ।
ভালবাসার প্রিয় মানুষটি চাঁদ হল তোমাদের কাছে-
আর আমাকে বানালে বামন ।
ভালবাসার প্রিয় মানুষটিকে কেড়ে নিলে
উপহাস , বিদ্রুপ আর অবহেলায় আমার হৃদয়কে ভেঙে চাঁদের বুকের মতই
দ্বিখণ্ডিত করে দিলে ।
ব্যথিত হৃদয় নিয়ে আমি আজ নিরবে কাঁদি ।
যে বামনত্ব আমার জীবন থেকে চাঁদের আলো কেড়ে নিল
তাতে আমার কি দোষ বল ?
তোমরা- মানুষেরা, যোগ্যতার মাপকাঠি তুলে প্লুটোকে বামন বানিয়েছ –
আমার মত হাজারো মানুষকে বামন বানিয়ে তার ভালবাসার মানুষকে বানিয়েছ চাঁদ ।
তাইতো আজ চাঁদের আলো আর গায়ে মাখি না
বড্ড ভয় হয় সেই বিদ্রুপের –
শখ কত ! বামন হয়ে চাঁদ ধরতে চায় ।
যে ভালবাসা নিয়ে সাত সাতটি দশক প্লুটো সদর্পে টিকে ছিল সৌরজগতে
সে ভালবাসা হারিয়ে প্লুটো আজ বামন .........
ঠিক তেমনি আমার এক যুগের ভালবাসা হারিয়ে আমিও আজ বামন
তাইতো আমি আর প্লুটো আজ নিরবে চেয়ে থাকি দুজনার দিকে ।