এক
------
- পিনাকড্রিম (প্রিন্স এ ওয়াকী )
আমরা বাঙালি
আমরা বাংলায় কথা বলি
আমরা বাংলায় স্বপ্ন আঁকি
আমরা বাংলায় করি ভাব বিনিময়...
প্রতিদিনই আমরা কথা বলি।
নিজের সাথে- স্বগতোক্তি।
প্রিয়ার সাথে।
পরিবারের সদস্যদের সাথে।
বন্ধু-বান্ধবদের সাথে।
পাড়া- মহল্লায় অফিস আদালতে।
এবং নৈমিত্তিক আরও নানাবিধ জায়গায়।
লিখিত রূপ নিয়ে বানান প্রমাদের ব্যাপার থাকে এবং কিছু প্রচলিত ভুলভাল প্রায়শই দেখা যায়।
এ নিয়ে নানা রকম কথা হয়ে থাকে।হাস্যরসেরও উদ্রেক হয়।
তবে আজকের প্রেক্ষাপটে শব্দের বানান নিয়ে কোনও আলোচনা করবো না।
প্রতিদিন নিয়মিতভাবে কিছু কিছু শব্দের উচ্চারণ কীভাবে হয়ে থাকে সে নিয়ে জানার চেষ্টা করে যাবো।
বিষয়টি বেশ উপভোগ্য হবে।
বেশ জটিলতায় যাবো না।
প্রাথমিক কিছু বিষয়ের অবতারণা করে আমরা শুধু শব্দের উচ্চারণ কীভাবে হবে সেটাই করে যাবো।
সবাই জানি,বাংলা ভাষাভাষী বর্ণমালাকে দুটো শ্রেণিতে ভাগ কর হয়েছেঃ-
* স্বরবর্ণ শ্রেণি
* ব্যঞ্জনবর্ণ শ্রেণি
এজন্য উচ্চারণ সূত্রকেও দুটো শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছেঃ
- স্বরবর্ণের উচ্চারণ সূত্র
- ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণ সূত্র
উপরোক্ত উচ্চারণ সূত্রের মধ্যেও শ্রেণিবিভাগ রয়েছে।
আগেই বলেছি আমরা শুধু শব্দের উচ্চারণ নিয়েই এখানে আলাপচারিতা করবো।বিরক্তিকর কিছুতেই প্রবেশ করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নাই।
তবে আর একটা বিষয় না জানালেই নয়,সেটা হচ্ছে লিখিত রূপ আর উচ্চারিত রূপ বেশ আলাদা। লিখছি এক কিন্তু দেখা যাচ্ছে উচ্চারণ অন্য রকম। অবশ্য এজন্যই নানান সূত্র বিভাজন।
প্রতিদিন ১৫ টি শব্দ।
লিখিত রূপ এবং উচ্চারিত রূপ।
তো শুরু হয়ে যাকঃ
দিন- ০১
০১)
লিখিতঃ দই
উচ্চারিতঃ দোই
০২)
লিখিতঃ রক্ষিত
উচ্চারিতঃ রো ক্ খি তো
০৩)
লিখিতঃ বই
উচ্চারিতঃ বোই
০৪)
লিখিতঃ অলি
উচ্চারিতঃ ওলি
০৫)
লিখিতঃ ভগ্নি
উচ্চারিতঃ ভো গ্ নি
০৬)
লিখিতঃ রই রই
উচ্চারিতঃ রোই রোই
০৭)
লিখিতঃ অধিক
উচ্চারিতঃ ওধিক
০৮)
লিখিতঃ খচিত
উচ্চারিতঃ খোচিতো
০৯)
লিখিতঃ ঘনিষ্ঠ
উচ্চারিতঃ ঘো নি শ্ ঠো
১০)
লিখিতঃ বলিষ্ঠ
উচ্চারিতঃ ব লি শ্ ঠো
১১)
লিখিতঃ অভিমান
উচ্চারিতঃ ও ভি মা ন্
১২)
লিখিতঃ অতিরিক্ত
উচ্চারিতঃ ও তি রি ক্ তো
১৩)
লিখিতঃ ঘড়ি
উচ্চারিতঃ ঘোড়ি
১৪)
লিখিতঃ হরিণ
উচ্চারিতঃ হো রি ন্
১৫)
লিখিতঃ পঁচিশ
উচ্চারিতঃ পোঁ চি শ্
সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ আশা করা যায় আপনারা উপকৃত হবেন।এভাবেই আমরা প্রতিদিন ১৫টি করে শব্দের প্রমিত উচ্চারণ জেনে নেবার পাশাপাশি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রমিত শুদ্ধ উচ্চারণে আমাদের ভাব প্রকাশের চেষ্টা করে যাবো। এতে করে নিজস্ব আত্মবিশ্বাস যেমন বেড়ে যাবে,যখন নিজেই সচেতনভাবে বুঝতে পারবো আমার প্রতিটি শব্দ নিয়ম মাফিক প্রমিত উচ্চারণে উচ্চারিত, তখন একজন শ্রোতাও বেশ মনযোগী হয়ে ওঠেন।
অপেক্ষা ২য় দিনের জন্য।
১৯০২
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:০৫