somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পিস অফ মাইন্ড !

১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘটনা ১
অপলার মার পরচর্র্চার অভ্যাস অপলার খুব খারাপ লাগে। একসময় আনেক বুঝিয়েছে তার মাকে। কাজ হয়নি। সময়ের সাথে অভ্যাস টা এতোই ভয়াল আকার ধারন করেছে যে মহিলা এখন দিনের যতক্ষণ সময় সজাগ থাকেন কার না কার ব্যাপারে পরনিন্দা করেই জান।হোক তা উনার মৃত শাশুড়ি কিংবা অপলার মামিদের কেও।

ঘটনা ২
রমিজ সাহেব মুলত অসফল একজন মানুষ। তার বাবার সোশ্যাল নেটওয়ার্ক অনেক বড় হওয়ার পরও রমিজ সাহেব তেমন কিছুই করতে পারেন্নি।তাই হতাশ রমিজ এখন সাকসেসফুল মানুষ কে হিংশে করেন এবং পরচর্র্চা তো করেনই!
উপরের দুটো ঘটনা আমাদের বাস্তব জীবনের দুটি উদাহরন। আমাদের মাঝে এরকম লক্ষ অপলার মা আর রমিজ সাহেব রয়েছেন, যাদের মাঝে কয়েকজন কে আমারা এরিয়ে চলতে পারি,কয়েকজন পারিনা।

সত্যি বলতে যখন নিজের মা, স্ত্রী, প্রেমিকা, কখনো স্বামী কিংবা ভাইয়ের এরকম অদ্ভুত আচরন দিনদিন বেরেই চলে তখন তা হজম করা খুবই কষ্টকর!!
তবে যা দেখলাম,এ ধরনের মানুষ ফ্রাস্ট্রেশন মানেজমেন্টের একটি প্রক্রিয়া হিসেবে পরচর্চাকে দ্যাখে।
খুব সুক্ষ একটা বিশ্লেষণ - মানুষ মানুষকে ঈর্ষা করবেই।এটা সহজাত প্রবৃত্তি। একমাত্র বিবেক, বুদ্ধিই পারে মানুষকে বড় করতে।
কোথায় যেন পড়েছিলাম বয়সের সাথে মনের পরিধি টাকে বারাতে হয়, তবেই বড় হওয়া যায়। তবে এটাও টিক বাংলাদেশের মতো দেশে বড় মনের মানুষের কপালে খারাপ বই ভালো কিছু জুটবেনা। কেননা এখানে ভালো মানুষের জায়গা খারাপ মানুষের জুতোর তলায়!!কারন এখানে সবাই সবাই কে ঈর্ষা করে!!
ঈর্ষা থেকে ঘৃণার জন্ম!! এটা আমাদের সমাজের প্রচলিত রীতি, দীর্ঘ ১০ বছরের ঈর্ষার ফল অনেক ক্ষেত্রে ঘৃণার জন্ম দেয়।
আমার মতে কনসেপ্ট টা একদম ভুল!!
মানুষকে নয় মানুষের খারাপ কাজকে ঘৃণা করতে জানতে হয়। ধরুন আপনার রক্তের সম্পরকের একজন যে আপনাকে ছোটবেলায় আদর স্নেহ দিয়েছেন, বড় হয়ে জানতে পারলেন তার বড় কোন একটা দোষ আছে । আপনি পারবেন ঘৃণা করতে??হয়তবা না! আপনি তার কাজ যে ঘৃণা করবেন।


হিন্দি সিরিয়াল এখন দুর্বল একটি ভাইরাস নতুন পরাক্রমশালী ভাইরাস হোল ফেইসবুক, টুইতার,হয়াটস অ্যাপ ,ভাইবার! অথবা বলতে পারেন পরচর্চার ছদ্দবেশে এরা ঈর্ষার বিজ বুনছে, অনেক বছর পর যে গাছ টা বড় হবে তা হবে ঘৃণা বৃক্ষ!হয়তোবা প্রত্যেক বাড়িতে একটি করে থাকবে এই গাছ ।
আমি এটাই বলতে চাইছি আমরা যেন ঈর্ষা আর ঘৃণার মাঝে প্যাঁচ না লাগিয়ে ফেলি!!
খুব রংচঙে পোশাকে, নাদুশ নুদুশ কোন মেয় যখন কারো দিকে আটিচিউড দেখিয়ে বলে ওহ আই হেইট হার!! খ্যাতের ডিব্বা একটা কিংবা আই হেইট হিম!! লুইচ্ছা একটা!! ওই মেয়টির বন্ধু রুপি চামচা কিংবা চামচিরা তখন দাঁত কেলিয়ে মজা দেখে! নিতান্ত অপছন্দ করা মানেই কি ঘৃণা করা? এর মানে ছোট কাল থেকে ঘৃণা শব্দের ভুল ব্যাবহার করে বড় হচ্ছি আমরা!
ঘৃণা খুব গভীর একটা ব্যাপার। যেমন ফিলিস্তিনিদের ইসরাইলীরা সত্যিকার অর্থে ঘৃণা করে! !
আমি বুঝিনা আমাদের নিজেদের মাঝে আমরা কেন মিছেমিছি ঘৃণার জন্ম দিচ্ছি?!তাই নয়তো কি??নিজনিজ জায়গা থেকে ভেবে দেখুন তো!!
খুব ছোট গণ্ডীতে আলোচনা করলাম,জানিনা কয়জনের ভালো লাগবে!
সত্যি বলতে কি,চ্যারিটি বিগিন্স এট হোম!!
আমরা পরচর্চা, ঈর্ষা কে বয়কট করি!!একটু শান্তিতে থাকার চেষ্টা করি!
নিজেদের মগজটাকে ক্রিয়েটিভ কাজে এঙ্গেইজ করি ।
লাইফ ইস রিএলি বিউটিফুল!

সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৫
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×