somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প হলেও সত্যি ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অনেক দিন আগের কথা । একটা নদীর পাড়ে একটা অনেক বড়
আপেল গাছ ছিল । একটা ছোট্ট ছেলে প্রতিদিন গাছটার
কাছে যেতো এবং গাছটার কাছাকাছি খেলতে পছন্দ করতো ।সে গাছে চরতো , আপেল খেতো এবং ক্লান্ত হয়ে গেলে গাছের ছায়ায়
ঘুমিয়ে পরতো ।
সে গাছটাকে ভালবাসাতো । আর
গাছটা ভালবাসতো ছেলেটার
সাথে খেলতে ।
সময় গড়িয়ে চলল . . . . .
ছোট্ট ছেলেটা বড় হতে লাগলো ,
এবং তখন সে আর আগের
মতো প্রতিদিন গাছটার
চারিদিকে খেলতে যেতো না ।
একদিন ছেলেটা গাছটার কাছে আসলো ।
তার মন খুব খারাপ ছিলো ।
গাছটা ছেলেটাকে বলল "আসো। আমার
সাথে খেলো ।"
ছেলেটা জবাব দিলো "আমি আর ছোট্ট
বাচ্চা না । আমি এখন কোন গাছের
সাথে খেলি না । আমার এখন
খেলনা দরকার । এবং খেলনাকিনার জন্য
দরকার টাকা ।"
গাছটা বলল "দুঃখিত । আমার
কাছে তো টাকা নেই । কিন্তু তুমি আমার
আপেল গুলো নিতে পারো ।
এগুলো বেচে তুমি টাকা পেয়ে যাবে ।"
ছেলেটা গাছের
কথা শুনে উত্তেজিতো হয়ে উঠলো ।
সেগাছের সব আপেল পেড়ে নিল।
এবং খুশি মনে ফিরে গেলো ।
ছেলেটা আপেল গুলো পেড়ে নেবার পর
আর ফিরে আসলো না ।
গাছটার মন খারাপ হয়ে গেলো ।
একদিন ছেলেটা আবার গাছটার
কাছে ফিরে আসলো উত্তেজিতো ভঙ্গিতে ।
গাছটা ছেলেটাকে বলল "আসো। আমার
সাথে খেলো ।"
ছেলেটা বলল "আমার খেলার সময় নেই ।
আমাকে আমার পরিবারের জন্য কাজ
করতে হবে । আমার এখন বসবাসের
জন্য একটা ঘর লাগবে ।
তুমি কি আমাকে সাহায্য
করতে পারবে ?"
গাছটা জবাব দিলো "দুঃখিত।
আমি তো তোমাকে ঘর দিতে পারবো না ।
কিন্তু তুমি আমার ডালগুলো কেটে ঘর
বানাতে পারো ।"
ছেলেটা গাছটার সব ডাল
কেটে নিলো এবং খুশি মনে চলে গেলো ।
গাছটা ছেলেটার আনন্দ দেখে অনেক
খুশি হল । কিন্তু ছেলেটা আর
ফিরে আসলো না ।গাছটা আবার
একাহয়ে গেলো ।
একদিন গ্রীষ্মের একটা প্রচন্ড গরমের
দিনে ছেলেটা আবার আসলো ।
গাছটা ছেলেটাকে দেখে খুব খুশি হল ।
গাছটা ছেলেটাকে বলল "আসো। আমার
সাথে খেলো ।"
ছেলেটা বলল "আমি খুব দুঃখি ।
আমি বুড়ো হয়ে যাচ্ছি । আমি এখন
একটু সমুদ্রে ঘুড়ে আসতে চাই ।
তুমি কি আমাকে একটা নৌকাদিতে পারবে ?"
গাছটা জবাব দিলো "আমার
গুড়ি তুমি নৌকা বানাতে কাজে লাগাতে পারো ।
তুমিঅনেক
দূরে ঘুড়তে যেতে পারবে এবং আনন্দ
পাবে ।"
তখন ছেলেটা গাছের
গুড়ি কেটে নিলো এবং একটা নৌকাবানালো
। সে সমুদ্র
ভ্রমনে চলে গেলো এবং অনেক দিন
পর্যন্ত আর ফিরলো না ।
ছেলেটা অনেক অনেক বছর পরআবার
ফিরে আসলো ।
গাছটা ছেলেটাকে দেখে বলল "আমি খুবই
দুঃখিত বাবু ।
তোমাকে দেওয়ার মতো আমার আর
কিছুই নেই।
তোমার জন্য কোন আপেল নেই।"
ছেলেটা বলল "আপেল খাওয়ারমতো দাত
আমার নেই ।"
গাছটা বলল "আমার পিঠে চড়ার জন্য
কোন গুড়ি নেই ।"
ছেলেটা বলল "আমি অনেক
বুড়ো হয়ে গেছি । তাই তোমার
পিঠে চড়তে পারবো না ।"
গাছটা দুঃখ নিয়ে বলল"তোমার জন্য
আমার কাছে আর কিছুই নেই । যা আছে ,
তা হল কিছু মরমরা শিকড় ।"
ছেলেটা বলল "আমার এখন বেশি কিছুই
চাইনা । শুধুবিশ্রা মের
একটা জায়গা পেলেই আমি খুশি ।"
গাছটা একটু খুশি হয়ে বলল"পুরোনো
গাছের শিকড় বিশ্রামের জন্য আদর্শ
জায়গা । আসো আমার
সাথে এসে বসো এবং বিশ্রাম নাও।"
ছেলেটা গাছটার পাশে এসে বসলো ।
গাছটা অনেক
খুশি হলো এবং অশ্রুমাখা হাসি হাসলো ।

---/এই গল্পটা সবার জন্যই প্রয়োজন
গল্পটা প্রতিকি ।

এখানে গাছটা দিয়ে আমাদের মা-
বাবা কে বুঝানো হয়েছে ।
আমরা যখন ছোট ছিলাম । আমরা মা-
বাবার সাথে খেলতে পছন্দ করতাম ।
যখন আমরা বড় হয়ে যাই তখনতাদেরকে ছেড়ে চলে যাই । আমাদের
প্রয়োজনে অথবা যখন
আমরা বিপদে পরলেই শুধু তাদের
কাছে ছুটে আসি ।
মা-বাবা সব সময় আপনার সাথেই
থাকবে । এবং আপনাকে খুশি করার
সাধ্যমত চেষ্টা করেন ।
আমাদের অনেকের অবস্থাই
অনেকটা গল্পের ছেলেটার মতো ।
যেখানে ছেলেটা "গাছ" টার সাথে নিষ্ঠুর
ব্যাবহার করেছে , গাছটা কে সবসময়
একটা বোঝা মনে করেছে ।
ভুলে যাবেন না , মা-বাবা আপনার জন্য
অনেক বড় সম্পন । আল্লাহতালা র
সর্বশেষ্ঠ উপহার আপনার জন্য ।
তাদেরকে বোঝা মনেকরবেন না ।
আর তাছাড়া মা-
বাবা আপনারসাথে সারাজীবন
থাকবে না ।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×