somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গোষ্ঠীকৃত্য ও শূণ্য দশকের ব্যক্তিগত লাইসেন্স

০২ রা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এইখানে প্রবেশ করিতে কোনোরূপ ভিসা, পাসপোর্ট লাগে না; কেবল ইন্টারনেট কানেকশন থাকিতে হয়।
ফেলে আসা দশকের ১২টি কবিতা ১২ জন কবির।

`গুরুচন্ডালী’ বিষয়টা লইয়া যদি কেউ বিবাদ ঘটাইতে চান; তবে তাহাকে আমি স্মরণ করতে বলি যে _ “ বাঘে মহিষে এক ঘাটের জল খায় ”। এখানে জল কিন্তু আলাদা করে পাওয়া যাচ্ছে না কেবল ঘাট-এর অবস্থানগত জায়গাটাই আলাদা। তাই সাহস করে বলেই ফেলা যায় যে, ব্রাক্ষ্মন্যবাদ যতোটাই প্রভাব বিস্তার ঘটাক না কেনো শুদ্রদেরও রয়েছে নিজস্ব ভাব-ভঙ্গি-ভাষা।

মাত্র দশ বছর আগের কথা। আজিজ সুপার মার্কেটে আমি ও আমার গোষ্ঠীকৃত্যের কতিপয় বন্ধু যাতায়াত শুরু করি। কেবল লেখা-পড়ার দিকে ঝোঁক ও দৃশ্য-চিত্র-কথা-কাব্যের আলোচনার প্রতি ব্যাপক উৎসাহী। ধীরে- ধীরে আমরা একটা কামড়া বানিয়ে ফেলি দোতলার পশ্চিমের খোলা বারান্দায়। এই ক্ষণে আসিয়া এই কথা বলিতে চাই _ যাহার প্রাণকেন্দ্র আমাদের কালনেত্র পত্রিকার মধ্যে দিয়েই শুরু হয়। পথে হলো দেখা _ ৯০ দশকের তথাকথিত বিখ্যাত সাহিত্যিকদের সাথে এবঙ আমাদের নিতান্ত শিশু পাইয়া কতিপয় সাহিত্য বুড়োরা বেশ কিছু বাণী প্রদান পূর্বক মাগনা চা-বিড়ি খাইয়া গ্যাছে যাহা আজো মনে পরে। কখনো বোরিঙ লাগলে নগদেই হিসাব মিটিয়ে ফেলা হতো। আবার এমনো কাউকে পেয়েছি যা এখন মহাফেজখানায় চর্চ্চা হয়। তারপরেও সেই সময়ে নিজেদের, পরেদের; এমনকি যারা শিল্প-সাহিত্য থেকে বহুদূরে বিচরণ করে তাহাদের সাথেও ইন্টারেকসন ঘটাবার চেষ্টা করেছি, আমাদের কাব্য-কথা-দৃশ্য-গান দিয়ে। আর আজ, সেই আজিজ সুপার (নিউ) মার্কেট হয়ে এক টিকিটে দুই ছবি মতান্তরে তারো অধিক ছবি ঝুলিয়ে ঝলসাচ্ছে চোখ! আর শ্রোতৃমন্ডলী, ইহাই স্বাভাবিক যে _ নতুন ডিজিটাল দেশ গড়বার লক্ষ্যে আজ এখনো আমাদের ঘড়ি ও মাথার ১২টা বেজে গেছে, যাচ্ছে ...

ইশকুলে বিষয় ভিত্তিক প্রবন্ধ লিখিতে বরাবরই আমি খানিকটা হিম-শিম খেতাম; দেখা যেতো উপসংহারটিকেই ভূমিকা করে ফেললাম। কিছু অভ্যাস বদলানো দায়। যার মধ্যে অন্যতম _ দশক নিয়ে মাতামাতি; আমি তার নিরাপদ দূরত্বে থাকতে পছন্দ করি। কিন্তু যখন দেখি _ বাঙলা একাডেমীর সাহিত্যিক ঘোড়দৌড়, প্রথম আলোর সু-নির্বাচিত লেখক প্রকল্প, তথাকথিত এ্যান্টিস্টাব্লিস্টের দরজা বন্ধ করে রাখা, ‘সাম্রাজ্যবাদ’ শব্দ ছাড়া বামপন্থী সাহিত্যিকের কলম নড়ে না, এলিটিস্ট (পলিটিকাল!) সাহিত্যিকেরা খুউব সেয়ানা; তখন আমার গোষ্ঠীকৃত্যের হাওয়া দেওয়া নিতন্তই জরুরী বলে মনে হয়; কেননা ‘শিল্প আমায় এ দায় দিয়েছে’।

যাহা বলিবার চাই তাহা বলিয়াই ফেলি; কেননা আমার উদ্দেশ্য সম্বন্ধে খানিক বয়ান তুলিয়াও ধরিয়াছি। ইহাকে কেউ প্রথম আলোকিত ঘটনা হিসেবে দেখিতে পারেন, কেহবা ধরিতে পারেন এ্যান্টিস্টাব্লিস্ট মুভমেন্ট-এর গতি পথ ধরে। যদিও আমি এর কোনো পক্ষেই নাই; কেননা প্রাণের ভিতর প্রথম আলোর ছোঁয়া জাগাইবার কোনো প্রকার স্বাদ, আহ্লাদ, ইচ্ছা বা ক্ষমতা কাঠামো নিতান্তই আমার মাঝে স্বয়ংক্রীয় নয়। আবার অন্য দিকে রক্ষনশীলতাও সাহিত্যের রস সংগ্রহে বিপত্তি ঘটায়; অতএব সেই দিকেও আমার মনোনিবেশ ঘটে নাই। তাহলে ঘুরে-ফিরে সেই গুরুচন্ডাল বিষয়টিই কি প্রাধাণ্য পেয়ে উঠবে ?

কেবলমাত্র কিছু ধান্দা-বাজির কারণে আমাদের লেখক কূল দশক নিয়া এতোটাই উত্তেজিত থাকে; যাতে করে তার পকেটে টু-পাইস ভালো আসলেও তার লেখার কোনো উন্নতি বা অবনতি ধরা পরে না। যা পরে তার নাম স্থবিরতা। আর বিদগ্ধজনেরা’তো চশমার কাঁচ ঘষে ঘষেই টায়ার্ড। ফুকো, দ্বেরিদা, চমস্কির ভীরে কী পড়া যায় _ এইসব কবিতার বই ? এর চে’ ফ্ল্যাপ পরে, সেমিনার করা চলে!
তবু ‘হয় না’ (শূণ্য) দশকে অন্তত ১২ জন কবিকে এনে আমি বলতেই পারি শেষ ১০ বছরে অন্তত ১২টি কবিতা আমি পেয়েছি কিন্তু এর কোনো ফার্স্ট, সেকেন্ড, থার্ড ক্লাস আমার এ অভধানে নাই। আর সেইসব কবিগণ আমারই বন্ধু; কেননা তাদেরও বন্ধু হয়েছি আমি সাহিত্যিক বাহাস চালিয়ে, একত্র যাপনের ভেতর। নেই শুধু কবি শেডিস্ট পাপন এই বঙ্গদেশে আর সুমন প্রবাহণ’তো স্থান নিয়েছে এমন এক স্তরে, যার বর্ণনা জীবিতের করা সম্ভব নয়।

অনিবার্য কারণ হিসেবে ধরে নিয়ে মনে হলো _ যাদের লেখা এইখানে স্থান পেলো তা আমার কেবলই ব্যক্তিক অভিরুচি। তাই হয়তো কোনো কবির ব্যক্তিক ভাবে খানিক কম পছন্দ বা অপছন্দের লেখাটাও আমার কাছে অনেক গুরুত্বের দাবী রাখে। আর প্রসঙ্গক্রমে বলে নেয়া ভালো যে, কবিতাগুলোর মধ্যে একধরণের যাত্রা আছে এবঙ যার ভিতর থেকে উঠে আসে একত্রিত চিন্তার নির্যাস। যদিও প্রত্যেকের লেখার ধরণের মধ্যে আছে স্ব-স্ব বৈশিষ্ট্য।

শ্রোতৃমন্ডলী, আসুন আমরা মূল লেখার কাছা-কাছি চলে যাই। তারপরে না হয়, যাহারা এই সকল লেখা সমূহকে উড়াইয়া দিবার চায় তাহাদের কাছে আমি এই সময়ের কিছু কবিতা পড়িবার চাই; প্রয়োজনে শিখতেও চাই কী করে লেখা সমূহ খারিজ করা যায় ? যদি কারো ভালো লাগে কারণ দর্শান ?
ফেলে আসা দশকের ১২টি কবিতা ১২ জন কবির।

নৃপ অনুপ ২০১০ সালের পয়লা তারিখ



ইমরান মাঝি
বাসর রাতে পতি মরলো গলায় ফাঁসি দিয়া

মোদের সাহেবী ভূষণের মাঝে আছে চাষার মন
সেই অতৃপ্ত হৃদয়ের জন্য এই না আয়োজন।

বাসর রাতে পতি মরলো গলায় ফাঁসি দিয়া

এমন লক্ষী মেয়ে

এমন লক্ষী মেয়ে বক্ষ বেয়ে পড়ে জলের ঢেউ
এই ঘটনার আসল সত্য জানলো না তো কেউ।

হবে কেমনে বিচার

হবে কেমনে বিচার নুরুর মাচার উপর বসলো সবে
বাসর ঘরে বধূ ছিল মরলো কেমনে তবে।

বলবে নতুন বধূ

বলবে নতুন বধূ যদ- মধু ভাবছে গালে হাত
সকল লোকের দৃষ্টি সেথা মিনিট গেল সাত।

বধূর ঠোঁট নড়িল

বধূর ঠোঁট নড়িল হেয় মরিল তার আমি কি জানি
আমার মনে কষ্ট কেমনে স্বামীর মরণ মানি

আমায় ক্ষমা করবেন

আমায় ক্ষমা করবেন মনে ধরবেন আমি চাঁদের হাসি
বাসর ঘরে গিয়ে দেখি স্বামীর গলায় ফাঁসি।

সবাই মিথ্যে ভাবে

সবাই মিথ্যে ভাবে বিচার হবে বধূর হবে জেল
পুলিশ আসলে নিয়ে যাবে দেখলে পাকা বেল।

জলদি শিকার কর

জলদি স্বীকার করো পায়ে ধরো মোল্লা- মাঝি সবার
তবে কিছু আশা থাকে অল্প শাস্তি হবার।

মেম্বর গর্জে ওঠে

মেম্বর গর্জে ওঠে গত ভোটে করছে তিনি ফেল
চিৎকার দিয়া বললো- বেটি হইবে শেষে জেল।

বধূ চুপচাপ থাকে

বধূ চুপচাপ থাকে ফাঁকে ফাঁকে মোছে চোখের জল
জলের বদল পরে যেন দেশি খেজুর ফল।

হঠাৎ কি ঘটিল

হঠাৎ কি ঘটিল প্রৌঢ় এলো শীর্ন আসর মাঝে
সকল লোকের চোখ পড়িল ফকির বেটার সাজে।

তাহার লম্বা দাড়ি

তাহার লম্বা দাড়ি অঙ্গে শাড়ি দেখতে লাগে ডর
বললো পাগল চাঁদের দেশে তাহার আসল ঘর।

সবাই বিশ্বাস করে

সবাই বিশ্বাস করে বাসর ঘরে মরলো কেমনে স্বামী
এই ঘটনার আসল সত্য বলতে পারি আমি।

তোমরা ধৈর্য ধরো

তোমরা ধৈর্য ধরো বন্দী করো জাহান্নামী নারী
স্বামীকে সে মারছে রাতে গলায় দিয়া শাড়ি।

ফকির চলে গেল

ফকির চলে গেল মেম্বর পেল নিশিত এক ছেনি
কার্য দেখে যাচ্ছে খুলে লক্ষ মাথার বেণী।

হইলো বিচার শুরু

হইলো বিচার শুরু বাঁধলো নূরু বেটির হাতে পায়
নতুন বধূর কোমল পরাণ আল্লার কাছে যায়।

মতিন কাটলো গলা

মতিন কাটলো গলা মহিষ বলা যেতে পারে ভাই
বৃক্ষরাজী শূন্য এখন পাখি পত্র নাই।

আসলো অনেক কুকুর

আসলো অনেক কুকুর মধ্য দুপুর ছিল তখন দেশে
টুকরো টুকরো বধূর মাংশ খাইলো সর্বশেষে।

সবাই মর্মাহত

সবাই মর্মাহত আছেন যতো দর্শনার্থী ভাই
একটা কিন্তু দুরে ছিল কাছে আসে নাই।

সেটা স্বামী ছিল।



মুয়ীয মাহফুজ
লিখে রাখি

তোমাদের কাছে আমার কত ঋণ কত হলো? লিখে রাখো;

আমি আমার আত্নাবিহীন দেহ দেখে দেখে কেন লিখে গেছি
ফলের ভেতরের শাস নয়,বীজ আমাকে টানে,এই কথা।
কোন এক শয়তানকে না দেখেই বলেছি
আয়,আমার শত্রু হোস না তুই,ভালোবাসা নে-
এই কথা লিখে গেছি।

তোমার অবর্তমানে আমার ঘরে আমিই আছি,
অন্যকোথাও নয়,তবুও আমার ঘরে আমিই ফিরে ফিরে
দেয়ালের ইটের পোড়া কি ঠিক পরিমাণ হয়েছে কিনা যাচাই করি,
বজ্রবিহীন আকাশ কারো কারো জন্য নিরাপদ,তবু আমার জন্য নয়।
বেসিনের মাঝে জল আটকে রাখি,
বেসিনের মাঝের জল ছেড়ে দেই,
নিস্কাশনের শেষধাপে গোল্ডফিশটিও জেনে ফেলেছে যে
সে আসলে জলের কোন অংশ নয়।
অধিক বিশুদ্ব বায়ু কারো কারো মৃত্যু নিয়ে আসে।
তবুও প্রবাহের দিকে নয়, ঢাল ভালোবেসে পতন টেনে নিয়ে
যায় জলের স্বচ্ছতা, রেখে যায় মীনদেহ,আড়চোখে,অসাড়তা
-এই কথা লিখে রাখি।

তন্ময় সরণী বেকে গিয়ে
বন্ধুর দরজায় নিয়ে যায় আমাকে।আনাগ্রহী এ বিষয়ে আমি-
তবু এই কথা লিখে রাখি।


সাদি তাইফ
পাখিশাস্ত্র

গন্তব্য ছিল না কোনো, পৃথিবীতে মেঘ ছিল আর
আমি খুব আস্তে হেঁটে দূরে চলে যেতে চাইছিলাম।

অপরাধবোধে কেঁপে উঠি পাখির খাঁচায়,
পালকে জমেছে মেদ আর ব্যথা, তার শোকে
কাঁদে বুঝি আকাশের মেঘ, কিছু পাখি প্রতিবাদী
নিজেকে জড়িয়ে রাখে নিজেরই ডানায়।
অন্যদরজায় ডাকে প্রিয়ছায়াপথ, মহুয়ার ঘ্রাণ, অচেনা ক্যাম্পাস,
কচিকলাপাতা তার অদ্ভুত সবুজসহ দুলে ওঠে রোদে।
আমি তার পাদদেশে দৃশ্যমুগ্ধ, আরও দেখি
মুকুলিত বৃক্ষ ছুঁয়ে উর্দ্ধবাহু মৃতগাছ এশিয়ার ইকেবানা, জাহানারা আর
প্রীতিলতা মখোমুখি, দুজনে নীরব, শুধু এক জলাধার ব্যবধান।
আমি তাকে পিরামিডের কাহিনি বলি, বলি
মানুষের ইতিহাস, উর্দ্ধমুখী অস্ত্রের কাহিনি।

পরিচিতা পাখি তবু চশমাটি খুলে রাখে দ্যাখার সময়,
ভেতরে ভেতরে পোষে পালকের শোক, পতনের সাধ।
আমি তারে পাখি দিবসের কথা বলি, বলি আকাশ কাঁপিয়ে
একসাথে ফিরে যায় অতিথি পাখিরা, সেইসব চোখে শত শত
মাইলের দৃশ্যচিত্র জমে থাকে, আর আমি
অকারণে আরও আরও ভয় পেতে থাকি, হারাবার।

তবু তার সফেদ পালক ছুঁয়ে কিন্তুহীন উড়ে যাই, ছায়াপথে,
নিত্যরাতে স্বপ্নের ভেতরে।


শেডিস্ট পাপন
তফাৎ

মেঘ আর মাটিতে সম্পর্ক নিবিড় _ এ কথাটি
তেমন চমকপ্রদ নয়। জানোতো এখন ডিজিটাল সবকিছু!
তোমার ছুঁয়ে দিলেই শুরু হবে স্বপ্ন... সারারাত
স্বচ্ছ লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে। তারপর স্বপ্নানুক্রমিক সূচীপত্র খুঁজে
বের করো তিন’শ তেইশ পৃষ্ঠায় আছে স্বপ্নের বাস, আমি
তার কাছাকাছি থাকি _ যেখানে সবুজ শুধুমাত্র একটা রঙ-এর ব্যাখ্যা করে,
যেখানে মাটি মানে শেকড়ে বীজের গন্ধ; মধ্যাকর্ষণ মানে প্রেম।
অতি অভ্যস্ত হাতে অক্ষরবৃত্তের ব্যাসার্ধ নির্ণয় কিংবা
সংখ্যাতত্ত্বে পারদর্শী সেজে তুমি তো হতে পারো কবি...
অথচ, খুব ভোরে যে কিশোর মাটিপথ ছেড়ে অযথাই নেমে গেছে মাঠের দিকে
_ তার ফিকে রঙ চুল আরেকটু পরিণত হলে গড়ায় দুপুরের দিকে; শোন
আয়না প্রয়োজন নেই মাঠে, তার জন্য বাতাসে চিরুনী আছে, স্থির জলে ভাসে তার মুখ।
তোমার দেয়ালে দরজা, আছে জানালায় উঁকি দেয়া মুখ।

নাহ্ আসলে যেভাবে বুঝতে বলো আমি তার কাছাকাছি বাস্তবে পারি না যেতে।


সাঈদ জুবেরী
অভিযাত্রী

আনত লজ্জ্বায় মুখ লুকাবার
অবসর পেয়ে গেলে
ধ্বস নামে পাহাড়ে পাহাড়ে

কয়েক রাত না ঘুমালে
মাতাল হতে কোন দ্রব্যগুণ লাগে না
-শুনে, আমাদেরও না ঘুমানোর অভ্যাস
শুধু মাতাল জেগে থাকা আছে

ঘুম উৎপাদনকারী একটা গ্রহের নাম এই পৃথিবী
যে নিজে না ঘুমাতে ঘুমাতে ঘুমভারানত
-কে তাকে ঘুমাতে দেয় না
-কে তার হরণ করেছে নিরবতা; জিজ্ঞাসিলে
উত্তর দেয় না, চোখ থেকে অনবরত
পিচুটীর স্রোত উগড়ে আসে...

চক্রবৃদ্ধির এই ঘুম
পারমানবিক ঘিরে দাড়ায় আর
প্রার্থনা অস্থির হয়ে ওঠে নৈরাজ্যের কাতারে

আনবিক ঘুম দাও মুঠো মুঠো আনবিক ঘুম
বিস্ফোরিত হোক সব নিউক্লিয়ার
সিনথেটিক না, ধাতবঘুম নেমে আসুক

পৃথিবীর সম্পন্ন হয়েছে ঘুমাবার সকল আয়োজন,
আ মি ন!!!


বিবৃতি তানভীর
একটি উচ্ছিষ্ট

আমি দুঃখিত। আমি আসলেই দুঃখিত। আমি আপনাদের সাথে পরিচিত হয়েছি। দেখেছি আপনারা কেমন। আমি ভেবেছি আপনাদের সাথে চলা যায় কিনা আর বিশ্বাস করা চলে কিনা। আপনারা ছিলেন মহাকালের তপ্ত পাউরুটির মতো প্রডাক্ট এবং চোখে পড়ার মতো মেধাবী। কিন্তু আমি ছিলাম আদতে গ্রাম্য। শহরের চালচলন ঠিক বুঝতাম না। কিন্তু আমি জানতাম, মেধাবীদের বিশ্বাস করা চলে না। কারণ পৃথিবীর পাছাটা মেধাবীরাই মেরে থাকেন। ইতিহাসে প্রমাণ রয়েছে। যদিও আমি ইতিহাসকে সন্দেহ করি। কিন্তু আপনাদের যেটুকু সরলতা ছিল তা আমার ভালো লেগেছিল। যার কারণে আমি আপনাদের প্রেমে পড়ি। আর আপনাদের অদ্ভুত নৈতিকতা আমার আবেগ একটু চেতিয়ে দিয়েছিল। আমি এও জানতাম প্রতিটি মেধাবীদের থাকে একটি নীতি। যা তার অস্ত্র; আবার পাশাপাশি আত্মঘাতী হাতিয়ার। সে চিৎকার করে না। কিন্তু বিনয়ের সাথে খুন করে আপনাকে। যা কিনা আপনি টেরই পাননি। আমি এই খুনীদের ভালোবেসেছি। কারণ একজন কুমার অবস্থা হতে মৃত্যুই তার জন্য একমাত্র সফলতা। যেমন কামিনী ফুলের ঘ্রাণ আমাকে মৃতদের কথা মনে করিয়ে দেয়। কিন্তু আপনারা ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাদেরকেই বেছে নিলেন যারা ঋতুর সুফল সম্বন্ধে সম্যক ধারণা রাখে না। শুধু মনে রাখতে পারে শীত আর শরতের কথা। যা ছিলো নেহাতই কথা বলার খাতিরে কথা বলা। কিন্তু জ্ঞানীদের মতো আমি কখনোই ভাবি নি মানুষের কাছে নিজেকে প্রয়োজনীয় করে তোলার পদ্ধতির কথা। কারণ তোমার কাছ থেকে কিছু ছিনিয়ে নিয়ে তার অভাববোধটা তৈরি করতে হয়। বিষয়টা সেরকমই যেটা তোমার প্রাপ্ত প্রেমিকাকে সরিয়ে রেখে তোমাকে বস্ত্র পরানো হয়েছে। আর মিছে মিছে বুনতে দেয়া হয়েছে অদৃশ্য পুষ্পমাল্য। আর তোমার জ্ঞানকে করেছে অপবিত্র। কিন্তু আমি দুঃখিত। আমি ঐ ভদ্রলোকের এলিট পার্টিতে লুঙ্গি আর স্যান্ডেল পরে গিয়েছিলাম বলে তারা হেসেছিলো। যদিও আমি তার বন্ধু (বোদলেয়ার বিশ্বাস করে না) তথাপি সবাইকে রেখে-আমাকে বিদায় করতে পারলে যেন তার স্বস্তি মেলে। ওফ্ আপনাদের ভদ্রতা। আপনাদের প্রেমিকাগুলো। যেন কচি কচি মাল। ওফ্ আমার তো চুদতে ইচ্ছা করে। কিন্তু আপনাদের উৎসবমুখর চোদার রুলস তো আমি জানি না। তাই পিছনে পড়ে থেকেছি। নিস্পৃহ একটি ভাব নিয়ে মেয়েদের দিকে তাকিয়েছি। আর সুন্দরীদের পাত্তা না দিয়ে তাদের নিজেদের সম্বন্ধে সন্দেহ ধরিয়ে দিয়ে নজর কেড়ে নিয়েছি। কিন্তু ওফ্ আমার অযোগ্যতা কোনো নারীকে অর্জন করতে দেয়নি আমাকে। আমার নুনু একটু ছোট হলেও সে ছিলো তীব্র ক্ষুধার্ত। তাই বেশ্যালয়ে গিয়েছি। সঙ্গম করেছি। আর চুমু খেয়েছি বহুতাপে শীতল যোনীতে। কেননা ওটাই আমার কোরান অথবা বাইবেল। ঈশ্বর এবং তার প্রতিনিধি ওই পথ ব্যবহার করে। আর আপনারা যা মহান বলে ধরে নিয়েছেন আমি তাদের ঊষর করে দিয়েছি। ভালোবাসার বোধ থেকেই আপনাদের অশুভতে নাক ঢুকিয়েছি। কিন্তু আপনারা ভুল অর্থ করেছেন তার। আমি দুঃখিত। কারণ আমি আপনাদের পাছা মারামারি সম্পর্কটা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি।


প্রবর রিপন
আমার নাম অসুখ

আমার নাম অসুখ
যে গ্রাম থেকে আমি এসেছি
সেখানের বুড়ো চাষারা
তাকে আদর করে ডাকে বেহেস্তের খামার নামে।

সূর্যের অসময়ের ছেলে আমার বাবা
মাকে সে ডাকতো পরাণ পাখি নামে,
যেখানে তারা আমাকে পাঠিয়েছে
সেখানের সুন্দরীরা তাকে আদর করে ডাকে
"হাইই হ্যাণ্ডসাম দো্যখের বাগান'।

সব ভালবাসার গল্প যদি আমাকে ছুড়ে ফেলে দেয়
তবে কি কোন নির্জন গুহা আমাকে ডেকে নেবে না?
পরিত্যাক্ত আমরা দুজন দুজনের ভেতর খুজে নেব আশ্রয়
যেখান থেকে পৃথিবী্র দিকে ছড়াবে না
আমাদের ছোয়াচে রোগ শোক ।

যেখানে আমি এসেছি
সেখানে দেখি পুড়ছে হাজার হাজার বেহালা
তাদের কাছে জানতে চাইলাম
কই, কোথায় তোমাদের গান?
আগুন বললো "দ্যাখো আমি পুড়ছি- এটাই আমার গান"।

আমাকে খুজে বের করতে হবে
সেই মরা তেজী ঘোড়া
যার লেজের পশম দিয়ে বানাব বেহালার ছরা
বেহেস্তের খামারের শিশুদের
আমি যে কথা দিয়েছি গান শোনাবো।
তাই সেই মরা তেজী ঘোড়া খুজতে বেরলাম পথে
কিছুদুর গিয়ে দেখি এক ঈশ্বর কেনাবেচার হাট
নানা ধরনের, নানা আকার আর নানা রঙের ঈশ্বর !!!!
কোনোটার দাম আমার হৃদয় এর সমান
কোনোটা কিনতে হলে বেচে দিতে হবে মগজ
কোনোটা পেতে হলে দিয়ে দিতে হবে চোখ
আর সবচেয়ে সুন্দর ঈশ্বর কিনতে হলে
বেচে দিতে হবে আমার নিজেকেই;
আমার নাম অসুখ
যে এক বিষ বিক্ক্রেতার ছেলে
পালালাম তাই বিশ্বাষী আর অবিশ্বাষীদের হাট থেকে
আশা ছেড়ে দিলাম সেই বেহেস্তের খামারের
শিশুদের গান শোনানোর।

আজগুবি এক মৃত্যুর বৃষ্টিতে সব ধুলো যদি হয়ে যায় কাদা
নতুন জন্মের রোদ এসে জড়িয়ে ধরতে পারে তাকে
তখন সেই কাদা আবার ধুলো হয়ে উড়বে হয়তো
দোযোখের কমলা রঙের আকাশে
কিন্তু এসব থেকে দুরের অশরীরি দিগন্তে
ডুবেছে আমার অসুস্থ সূর্য।


লুবনা চর্যা
মহাকালের আইসক্রিম

আমি তো মহাকালের আইসক্রিম,
জাগতিক বাতাসে গলে গলে যাচ্ছি।
পুরোপুরি নিঃশেষিত যখন হবো
তখন কাঠিটার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করবে তোমরা
গুরুগম্ভীর সমারোহে। কেননা, মৃত্যুতে
কান্নাকাটির রেওয়াজটা ধীরে ধীরে উঠে যাচ্ছে।
সেটাই ভালো। রোদ চিকচিকে এই খোলা মাঠে
কতো আইসক্রিমই তো আসে যায়,
তুমুল নাটকীয় ঘটনা ঘটায়। আমি কতোজনের
সাথে কতোবার সঙ্গম করেছিলাম বা
ওয়াটার কালার করতে গিয়ে কতোগুলো পেজ
নষ্ট করেছিলাম, সেটা কোনো ব্যাপারই না।
নশ্বর আইসক্রিমদের যৌগ অণু থেকে আমার
জন্ম, তই আমার মধ্যে স্বর্গীয় সরোবর ও নরকের
জলাশয়_দুটোরই জল বিদ্যমান। যদি
ঈশ্বরের ডিপফ্রিজে রাখা অমর আইসক্রিমগুলোর
বংশধর হতাম, তাহলে আমার মধ্যে
যাজকদের শুভ্র দাড়ি বা নানদের শুভ্র পোশাকের
মতো শুধু শুভ্রতাই বিরাজ করতো।
তা হয় নি বলে আমি বেশ খুশি, নশ্বরতায়
প্রচুর আনন্দ পাচ্ছি। দ্যাখো, বৃষ্টি ভেজা এক চিলতে
মাঠের কোণে আমার সবুজ মিষ্টি দেহ দ্রুত
গলে যাচ্ছে, জাগতিক বাতাসে যাচ্ছে গলে
সমুদ্রের লবণাক্ত বুদবুদে বিলীয়মান
বেদনার্ত মৎস্যকন্যার মতো।


অভিজিৎ দাস
এ্যাম্বুলেন্স

আমাদের মধ্যে কে আছে এমন
একটি ব্যক্তিগত নীল বেদনার এ্যাম্বুলেন্স
সাথে নেই যার!
আমরা প্রত্যেকেই গোপনে বা প্রকাশ্যে
একটি গমগমে নিস্তব্ধ এ্যাম্বুলেন্স
নিয়ে ঘোরাফেরা করছি,
মহাকাশগামী এক এ্যাম্বুলেন্স সাইরেন বাজিয়ে
প্রায়শই আমাদের ঘিরে আবর্তিত হয়।
তাকে দেখি, মূমূর্ষ স্বপ্নদের নিয়ে গানের ক্লাসে যাচ্ছে
মৃত্যুর স্বরলিপি শিখতে,
বেসুরো কন্ঠে যে কিছু ইস্পাতের
ধ্বনিরাগ ছুঁড়ে দিয়েই খালাস!
আমি আমার দেহের গ্যারেজে ঐ ব্যক্তিগত নীল বেদনার্ত
এম্বুলেন্সটিকে রেখে পথে নেমেছি,
আগামীকাল ওকে সঙ্গে নিয়ে যখন ঘুরতে বেড়োব,
রঙ পালটে কৃষ্ণচূড়া বর্ণের এই লেলিহান এ্যাম্বুলেন্সটি
তখন ব্রহ্মান্ডের সকল মানবযানের পথে
জ্যামের কারণ হয়ে উঠবে,
ভেতরে গুমরে ওঠা বিভৎস স্বপ্ন
যারা আপাত নিস্ফল,
কুণ্ডুলি পাকিয়ে উঠবে,
বিস্ফোরণের এক মুহূর্ত আগে
আমি আমার ব্যক্তিগত লাল এ্যাম্বুলেন্সের সাথে
একবার লিপ্ত হতে চাই সহ বাসে।


দুপুর মিত্র
তেরটি কবিতা [ দুই ]

বড় রাস্তাগুলো হবার পর
এলাকাটির অনেক উন্নতি হয়েছে
অনেক দালানকোঠা হয়েছে
দোকান বসেছে
শিক্ষিত মানুষ এসেছে
এসেছে বিদেশী জিনিস
এই এলাকায় নতুন আসা লোকজন খুব খুশি
বড় রাস্তা দিয়ে চলে এসেছে অনেক সুখ

কেবল যারা এই এলাকার মানুষ
তারা বড় রাস্তার দিকে কখনোই যাননা
তাদের ভয়
বড় রাস্তায় গেলে হারিয়ে যায় মানুষ


নৃপ অনুপ
বোধের কলস

যে নৌকাতেই পা রাখি তাই যেনো ডুবে যায়। আমি কি আদতেই এতোটা ভারী! কি এক আশ্চর্য সৌন্দর্যবোধ নিয়ে তোমার কাছে এসে দাঁড়াই; আর হয়ে উঠি এক অবুঝ শিশু_ যে কেবল অভিমান করতে শিখেছে। যে এখনো বোঝে নাই, পৃথিবীতে তোমাকে কেন্দ্র করে কতো-শত যুদ্ধ ঘটে গেছে, ঘটেছে কতো সাধারনের মৃত্যু। তুমি কি তাহলে এতোটাই পরাক্রমশালী...

যে রমন ক্রিয়ায় ঘটে পুর্ণ বীর্যের প্রপাত, তাই যেনো ভালোবাসা হয়ে ওঠে! অথবা সত্যি বুঝি নি আমি এখনো, ভালোবাসা কারে কয়? কেবল নিশাচর রাত্রি যাপনের নির্জন একাকীত্বে শুনি পাড়ার কুকুরগুলোর একত্র সঙ্গীত। জানি খানিক বাদে ভোর হলে হ্রাস পাবে এইসব অমূলক বাস্তবতা। তবু আমি এই অর্থহীন আনন্দে আনন্দিত হই আর কোন পথে পা রাখলে পথেরা বিচূর্ণ হবে তাই নিয়ে ভাবি।

পথ যদি তোমার সামনে আমায় স্থাপন করে আমার’তো ভয় নেই কিন্তু তুমি যে পাথর হয়ে যাবে। ধাক্কা দিয়ে জলে ফেলে দিলে ডুবে যাবো; কিন্তু মাছেরা যে আমায় ঘুড়িয়ে আনবে সাগরের তলদেশ থেকে। কেবল অক্ষরের সামনে দাঁড়াতেই যতো ভয়... যদি বোধের কলস থেকে জল না পরে কলমের ডগায়?

জেনে নাও আজ আর কোথাও রাখবো না পা; কেবলই হাত রাখবো। শীতল কুয়াশার বাতাস এসে হাতটি খানিক ভিজিয়ে দেবে। ছুয়ে দেখো, নৌকার ছইয়ের মাঝে তুমি আর আমি, মাঝখানে কোনো কিছু নাই | কোনো তাড়া নাই।

এই নৌকাটিও কি ডুবে যাবে যখন জেগে উঠবো? নাকি নৌকার থেকে নেমে চুপিসারে চলে যাবো ঢেউয়ের কাছে...



সুমন প্রবাহন
একা

একাকীত্ব বোধ তৈরির অনেক আগে থেকেই
আমি একা
একা দিঘী একা ঘাট
একা নদী একা পথ।
একা রাতে একা পথে
একা এক একা রথে
পৌঁছে যাই ঈশ্বরের গৃহে
আর কথায় কথায় জেনে যাই
ঈশ্বরের অসীম একাকীত্বও
আমার একাকীত্বের কাছে একা।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৪১
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নারী একা কেন হবে চরিত্রহীন।পুরুষ তুমি কেন নিবি না এই বোজার ঋন।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১২:৫৪



আমাদের সমাজে সারাজীবন ধরে মেয়েদেরকেই কেনও ভালো মেয়ে হিসাবে প্রমান করতে হবে! মেয়ে বোলে কি ? নাকি মেয়েরা এই সমাজে অন্য কোন গ্রহ থেকে ভাড়া এসেছে । সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=সকল বিষাদ পিছনে রেখে হাঁটো পথ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮



©কাজী ফাতেমা ছবি

বিতৃষ্ণায় যদি মন ছেয়ে যায় তোমার কখনো
অথবা রোদ্দুর পুড়া সময়ের আক্রমণে তুমি নাজেহাল
বিষাদ মনে পুষো কখনো অথবা,
বাস্তবতার পেরেশানী মাথায় নিয়ে কখনো পথ চলো,
কিংবা বিরহ ব্যথায় কাতর তুমি, চুপসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×