দারিদ্র্য মোচনের সেমিনার শেষে
শীতাতপ রথের,কোমল কেদারায়
নীলাভ আলোর বিচ্ছুরনে,অবশেষে
তোমরা যখন সভ্যতার পশার বিকিয়ে চলে যাও
আর আমার ক্ষুধাতুর,অভুক্ত ভাই
শুধু একটুকরো রুটির আশায়,বাগাড় অন্বেষন করে।
তখন আমার ঝুলিতে সঞ্চিত একমুটো সাদা ভাত
তার মুখে তুলে দেই,
তখন আমি নিজেই ঈশ্বর হয়ে যাই।
নারী অধিকারের তাত্বিক বুদ্ধিজীবির তকমা লাগিয়ে
তোমরা যখন,দীপ্তিমান সময়ের আসর বসাও
সুস্থ সামাজিকতা বিনির্মানের আরজি পেশ করো
আর আমার ষোড়শী বোন , ধর্ষিতা হয়ে কোন ল্যাম্পপোস্টের নীচে সারারাত মৃত্যুকে আলিংগন করে,নগ্ন দেহে পড়ে থাকে,
আমার পরনের একটুকরো বস্ত্র যখন তার লজ্জাস্থান ঢেকে দেয়
তখন আমি নিজেই ঈশ্বর হয়ে যাই।
সুসজ্জিত ড্রয়িংরুমে বসে,চা আর কফির অতি আমোদিয় উস্নতায়
বিশ্বপরিবেশ পরিবর্তনের জ্ঞানগর্ভ আলাপে
যখন "ধরিত্রী বাঁচাও"এর মুখপাত্র সাজো, আর
শ্রাবনের বারিধারা তোমাদের বিলাসি কবিতার মাধুর্য্য বাড়ায়। কিংবা,শীতের রাতে মখমলের লেপের নীচে শারীরিক উস্নতা ভাগাভাগি করো
ঠিক তখনি প্রচন্ড শীতের রাতে বস্ত্রহীন কোনো শিশুর বুক কেঁপে কেঁপে ওঠে।
আমার পরনের শেষপরিধান শিশুর গায়ে জড়িয়ে,
এতটুকু উত্তাপ দিই,
তখন আমি নিজেই ঈশ্বর হয়ে যাই।
এবার হে সভ্য মানুষ,
হাড়কংকালসার,রোগাগ্রস্থ,নগ্ন আমার রুপ দেখে বিস্মিত হচ্ছো।
আমার মুঠোভাত একবেলা আহার দিয়েছে কোনো শিশুর,
আমার একটুকরো জামা লজ্জা ঢেকেছে কোনো ষোড়শি বোনের,
আমার শেষ পরিধান শীতে উত্তাপ দিয়েছে কোনো শয্যাশায়ীর।
এখন আমি একজন দুর্বল,অক্ষম,নগ্ন ঈশ্বর।
আমার মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করো,
আর এগিয়ে নিয়ে যাও তোমাদের সভ্যতা।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৩:৫২