জ্বলি অমানিশায় প্রতিক্ষণ,স্বপ্নের মোহে শুধু স্বপ্ন দেখি নিরন্তন। খেলা ভাংগে, খেলাঘর ভাংগে,উচ্ছ্বাস ভাংগে,উল্লাস ভাংগে,কাব্যের আসর ভাংগে, শিল্পীর প্রতিমা ভাংগে,শিল্পীর মনন ভাংগে।সন্ন্যাসির ধ্যান ভাংগে, পাশবিকতার উল্লাসে দাঁতাল বনো শুয়োরের উন্মাদনা ভাংগে, অন্ধকার রাতে নক্ষত্রের স্ফুলিংগ ভাংগে,জটর জ্বালার উন্মাদনায় দূর কোনো গাঁয়ে স্নেহময়ি মাতার ঘুম ভাংগে ।কিন্তু এক স্বর্ণালী স্বপ্ন বুননের অভিলাষে আর সেই অভিলাষ তৈরর মোহে,দ্রষ্টার দৃষ্টির চালিয়াতি মায়ায় আটকা পড়ে ,এক অদেখা স্বপ্ন বুননের ভীতে শুধু শাসকের চালিয়াতি ভাংগে না আর।জন্মাবধি, শুনি শাসকের নিরন্তর অভিলাষ। আর সেই মোহনিয় অভিলাষের উন্মাদনায়-বুকের ধূসর হ্বদয়ে শুধু স্বপ্নতিথির এক অরুপ চিহ্ন আঁকি।জন্মাবধি শাসকের নিনাদ শুনি, অসীম স্বর্গদুয়ার খুলে দেয়ার প্রতিশ্রুতি শুনি।শুনি,এখনো ঢের সময় আছে ,হবে আমাদের স্বর্গাংগিনা একদিন। বাস্তুহারার ভিটায় স্বর্ণের প্রসোবন হবে,ফুটপাতে ঠিকানা বিহীন মানুষ শ্যামলিমায় ঠাঁই পাবে।কোনো কংকাল সার ক্ষুধায় নিভে যাওয়া জীবন, জীবনের আস্বাদনে আবার এই বদ্বীপ পলল ভূমে ধানের আঘ্রানে মুখরিত হবে। অন্ধকারে মৃত্যময় অধিকার আবারো জীবনের কোলাহলে হ্বদিত হবে।কিন্তু,যথারীতি,সময়ের মাঝে মৃত্যু হয় সময়ের।আশার মাঝে কবর হয় আমাদের সব আশার। মহান অধিপতি যখন, শাসক হয়-হবেই কি?ছিলোইতো যুগ যুগ ধরে।মাঝে মাঝে হয়তোবা পোষাকের কোন পরিবর্তন।কিন্তু সব শাসকের মন যে একি। আর আমরা শাসকের আশীর্বাদে নেড়ি কুকুর হয়ে তাদের পদাশ্রিত হই। এরপর নিজের অধিকার সব বেমালুম ভুলে গিয়ে,আমাদের ও স্ফীত চর্বির লোভে-নরককীটের মতো উপগত হয়ে আপন অধিকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াই,এরপর বাস্তুহারার বিরুদ্ধে, এরপর বুভুক্কু মানুষের বিরুদ্ধে ।অবশেষে যখন সব লুটেপুটে শেষ হয়, স্বর্গাংগিনা আশার অনলে পুড়ে ছাই হয়,শাসকের হুংকার নবরুপে প্রতিধ্বনিত হয় তখন,চোখ খুলে দেখি - সনাতনী শাসকরা সব ক্লান্তির আবেশ শেষে আবারো রাজাসন অভিমূখি হয়েছে। পুরানো পুরোহিতরা আসিছে ফিরে আবারো ক্ষমতার দেবালয়ে। এবার আর কোনো চন্দ্রিমা ভাংগেনা, ইন্দ্রধনু ধরিবার আশায় কোনো কিষানীর দুঃখ ভাংগেনা।ভাংগনের মাঝে এবার ভিটে মাটি ভাংগে, উনুনের হাড়ি ভাংগে,এক নিপতিত অন্ধকারে ক্ষুধার মুখ গুজে দিতে কোনো মুনিয়ার এবার সতিত্ব ভাংগে।এতো ভাংগনের মাঝেও আমরা শুধু রাজসিংহাসন ভাংগনের শব্দ পাইনা । যুথিবদ্ধ হাতে রাজমস্তককে শশ্মানের পোড় খাওয়া পাথরে আছাড় দিয়ে ভাংগতে পারিনা। বারে বারে শুধু রাজাসনের শোভা বর্ধন করে আমরা আরো বিগলিত হই, এক পাষন্ড নিভৃত কুহক আমাদের পরানের গভীরে বারে বারে আশার সুর তুলে,আর স্বপ্ন দেখি সব দুঃখ গুছে যাবে একদিন, যে স্বপ্ন সময়ের সিঁড়ি ভাংগতে ভাংগতে আজ ভূতলে ঠেকেছে।
শ্রদ্ধেয় পত্রিকার সম্পাদক বন্ধু,লিখা ফিরিয়ে নিয়ে,তোমাকে দায়ভার থেকে মুক্তি দিলাম
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
২৯টি মন্তব্য ৭টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।