আজ ঐতিহাসিক ৬ই মে যা ইতিহাসে বালাকোট দিবস নামে পরিচিত।
১৮৩০ সালের আজকের এই দিনে শাহাদত বরণ করেছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশে স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রদুত, ঈমানী চেতনার প্রাণপুরুষ, আযাদী আন্দোলনের অকুতোভয় সিপাহসালার আমীরুল মুমিনীন, ইমামুত তরীকত হযরত সাইয়িদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র)
তিনি শাহাদত বরণ করেছিলেন ব্রিটিশ এবং তাদের মিত্র শিখদের অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
তিনি একদিকে যেমন ছিলেন একজন মহান ওলী ঠিক অপরদিকে তেমন ছিলেন একজন অকুতোভয় সিপাহসালার। গভীর রাতে তার দুচোখ যেমন স্রষ্টার পানে অশ্রু ঝরাতো ঠিক তেমনীভাবে দিনের আলোতে তার তরবারি ইসলামের শত্রুদের রক্ত ঝরাতো।
তিনি ও তার সহযোদ্ধাসহ যেভাবে অতুলনীয় বীরত্বের স্বাক্ষর রেখে আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে গেলেন তাতে মুতা, ইয়ামামা ও কারবালার শহীদদের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। ঐ দিন তারা পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও তাদেরই প্রেরণায় ভারতে মুসলমানগণ আজাদী আন্দোলনের মাধ্যমে পৃথক আবাসভূমি লাভে উজ্জীবিত হয়েছিলেন।
তার প্রতিষ্ঠিত তরীকা, তরীকায়ে মোহাম্মদীয়া আমাদের দেখিয়েছে একটি আলোকোজ্জ্বল পথ। তার এই তরীকাতে দীক্ষিত হয়ে আমাদের পীর ও মুর্শিদ হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.) তার জীবদ্দশায় ইসলাম এবং ইনসানের খেদমতে কাজ করে গেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় তার ইন্তেকালের পর থেকে তার যোগ্য উত্তরসূরিরা এ তরীকার খেদমত করে যাচ্ছেন আর ইনশাল্লাহ অনাগত ভাবিষ্যতেও যাবেন।
আসুন বর্তমান সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে বালাকোটের চেতনায় উজ্জীবিত হয়।