বরাবরের মত আজো star Cineplex -এ গিয়ে সেই একই দৃশ্য দেখলাম। জাতীয় সঙ্গীতের সাথে পত-পত করে উরছে আমাদের আবেগের, অহংকারের, ভালবাসার জাতীয় পতাকা.... । মায়ের মত প্রিয় পতাকাকে অমন করে উরতে দেখে আনন্দে সবার হূদ কম্পন বেরে যাবার অবস্থা ...। সবাই প্রবল বেগে দাড়িয়ে গেলাম প্রিয় পতাকাকে সন্মান জানাতে । সবাই ? সবাই ??? চারপাশে একটু তাকালাম। চমকে উঠে ভাবলাম 'দাড়িয়ে কোন ভুল করলাম নাতো । জাতীয় সঙ্গীতের সময় দাড়াতে হয় বলেইতো জানি। এত লোক বসে আছে কেন ? জারা উদাসিন ভঙ্গিমায় বসে আছেন বা বসে বসে ভাব দেখাচ্ছেন যে খুব চতুর বা মহাবুদ্ধিমানের মত একটা কাজ করে ফেলেছেন... তারা কারা ? বসে বসে যারা দাড়িয়েছেন তারা যে কত বড় বোকা সেটা বোঝাতে মুখ টিপে হাসছেন ।
আসলে এরা কারা...? আমরা কি এদের রাজাকার বলব ? নাকি ভিন দেশি ? না অতি আধুনিকতায় বেড়ে ওঠা উদাসিন বাবা-মায়ের প্রতিবন্ধি সন্তান ? যে চরম অস্থিরতাকে এরা আধুনিকতা বলে জানছে, সেই চরম অস্থিরতার দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্টকেও কি তারা ঠিক ভাবে অনুকরন করতে পেরেছে...?
যারা যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন বা সেখানটা সম্পর্কে নুনতম ধারনা আছে তারা নিশ্চয়ী জানেন সে দেশের নাগরিকরা নিজ দেশকে কতটা ভালবাসেন, কতটা সন্মান করেন। প্রায় প্রতিটি ঘরের বাইরের দেয়ালে সে দেশের পতাকা শোভা পাচ্ছে পরম শ্রদ্ধায়। আর আমরা যারা তাদের অন্ধ অনুকরণ করছি.. তাদের কি অবস্থা..? বিশ্বকাপ ফুটবল এলেই পতাকার প্রতি আমাদের আগ্রহ বেড়ে যায় হু হু করে। কে কার চেয়ে বড় পতাকা বানাতে পারব তার প্রতিযোগিতায় ঝাপিয়ে পরি। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া ঢেকে যায় কোটি-কোটি পতাকায়... তবে তা আমার দেশের পতাকায় না। আমরা তখন ভুলেই যাই অন্য দেশের পতাকা উড়াতে হলে আগে নিজের দেশের পতাকা উড়াতে হয় এবং তার উচ্চতা একটু বেশি থাকতে হয়।
জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা উড়বার সময় যারা হাসি-তামাসা করছেন, ধরে নিচ্ছি তারা কেউ রাজাকারের সন্তান নন...। তাহলে ? তারা নিশ্চয়ী অশিক্ষিত পরিবারের সন্তান নন...। তাহলে ?
তারা বরাবরই নিজেদের বেশ শিক্ষিত, স্মার্ট মনে করেন। আমাদের ধারনাই হয়ে গেছে স্মার্টনেস দেখাতে গেলে আগে ড্যাম কেয়ার ভাব আয়ত্ত করতে হয়। ড্যাম কেয়ার ভাব না থাকলে স্মার্ট হওয়া যাবে না। একটু ফাস্ট ফুড মুখে দিয়ে কথা বলতে হবে এমন টোনে যেন কেউ শুনে মনে করেন 'আহারে উনি বাংলা বলতেই পারেন না, তাও কত কষ্ট করে বলছেন।' ... থাক এসব কথা....।
লেখাটি বেশ ক মাস আগে একবার লিখেছিলাম ফেস বুকের জন্য। তখন কয়েকজন আমার সাথে সহমত পোষন করলেও শ্রদ্ধেয় করি ব্রাত্যু রাইসু দ্বিমত পোষন করার পরপরই অনেকেই দেখলাম বিষয়টি হাসি দিয়ে উরিয়ে দিলেন... । আমি দ্বিতীয়বার চমকে উঠে ভাবলাম আমিই ভুল কিনা ! সে লেখাটির লিংক দেয়া হল...
Click This Link
আজ আবার একই দৃশ্য চোখে পড়ায় খুব ইচ্ছে হল প্রিয় ব্লগ সামওয়ারইনে একবার বিষয়টি তুলি। সামওয়ারইনের হোম পেজে একটি পিটিশান দেয়া আছে... 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই..' । আমি ঠিক বুঝতে পারছিনা য়ে আমরা আসলেই বিচার চাইবার নৈতিক অধিকার আর রাখি কিনা..! আমার খুব জানবার ইচ্ছে হল ব্লগারদের মধ্যে কতজন দেশ, দেশের পতাকাকে সন্মান জানাতে ইচ্ছুক.. আর কতজন একে হাস্যকর মনে করেন...। ধন্যবাদ....
সামওয়ারইনের পিটিশান...'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই' ও জাতীয় পতাকা....
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…
১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)
ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট
মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'
নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ
আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন