জন্ম-জন্মান্তরে মানুষ একা। একাকীত্ব নিয়েই তার বসবাস। তবু এই একাকীত্ব মানুষ ভুলে থাকে সবার সাথে মিশে গিয়ে। ভীড়ের স্রোতে অবগাহন। কারণ, মানুষ যে একা, এই সত্যের মুখোমুখি হওয়াটা তার জন্য অনেক বেশি কঠিন, যতটা সহজ ভুলে থাকার অভিনয়।
একটা পাখি-মন মানুষের শরীরে জন্ম নেয়। মানুষ তাকে তাদের ছাঁচে ফেলতে পারেনা, কারণ তার মন পাখি। পাখিরা তাকে দেখে দূরে সরে যায়, কারণ তার দেহ মানুষ!...মানবদেহে বন্দী পাখি-মন একাকীত্বের হাহাকার নিয়ে পথ চলে। নিজের ভেতর ডুকরে কেঁদে ভাবে, '' এ কোন অভিশাপ! ''...''কোন পাপের শাস্তি?''......''জন্মই কি তবে আজন্ম পাপ?''...
দূরের আকাশে একটা নীল রঙ্গা মেঘকে তার ভালো লাগে। সেই মেঘের কাছে সে যেতে চায়। কিন্তু তার দেহ যে মানুষ! সে ডানা মেলে উড়তে পারে না! মেঘ ইচ্ছে হলে তার কাছে আসে, আবার ইচ্ছে হয় তো সরে যায় অনেক দূরে! আবার আসে! আবার যায়! পাখি তাকে ধরে রাখতে পারে না, বেঁধে রাখতে পারে না। তার জন্য যে পাখিকে মেঘের উচ্চতায় যেতে হবে! কিন্তু সে তো উড়তে জানে না!
অনন্ত এক হাহাকারের অনলে পোড়ে পাখি মন। দেহের বন্ধন ছিঁড়ে ফেলতে চায়, কিন্তু শক্তি পায়না। উড়তে চায় সে! পাখি উড়তে চায়। ......মানব দেহে বন্দী হয়ে একাকীত্বের হাহাকার নিয়ে সে আর চলতে চায় না!.........