আমি আশ্বিনের মাঠে তোমাকে দেখেছি
প্রার্থনার ভঙিতে- উলঙ্গ
দুঃখিত ভ্রূয়াবয়বে- সন্ধ্যানির্জন একাকীত্বে
পার্শ্ববর্তি খানাখন্দের ব্যাঙেরা তোমাকে অনুকরনে চেষ্টারত
বৃষ্টিগানের ফাঁকে ফাঁকে- তুমি সাদাকালো যুগ
থেকে বসে আছো একইভাবে, নতজানুক্রোধে-
বৃক্ষেরা গজিয়ে উঠছে ঠা ঠা শব্দে; আশার কথা শোনাচ্ছে
তৃনদল; আকাশ থেকে খসে পড়ছে ফর্সা ফর্সা
মেঘেরা তোমার উন্মুক্ত পিঠপ্রান্তে, ডান হাতের কুনুইতে
লেপে দিচ্ছে উপকথার শীত, নাতিদীর্ঘ চুল থেকে
হর্ষধ্বনিরা সব বাতাসে ছাড়িয়ে দিচ্ছে রূপকথার দিন।
তোমার কোমরে কর্ষনের (হায়!) দাগ দেখছে
একটি সুস্পষ্ট পেঁচা নিঃসঙ্গতাময় ডালে বসে বসে
দূরবর্তি গাছের আড়াল থেকে ধীরে ধীরে নেমে আসছে
অজাগর- ডোরাকাটা অবরোধ-
তুমি আশ্বিনের বিকেলে আমাকে নিহত
হতে দেখেছো-
আমার সামনে নতজানু হয়ে
দীর্ঘদিন অপেক্ষায় ছিলাম আমি তোমার; তবু
বিমূর্ত আশ্বিনকেই দেখালে তোমার অমিয়রূপ, হে শারদীয়া
আমিও পূর্বাশ্রম ভুলে মহিষাসুর বনে যাচ্ছি দিনে দিনে