দুপুরে আকাশজোড়া মেঘ- এ বুঝি আকাশটাই ভেঙ্গে পড়বে।
একটা সময় দু’ ফোটা বৃষ্টি নামলো
তাতে না ভিজে আমার মন- না ভেজে ওর শরীর।
না জাগলো চোখে প্রেম!!
এটা কেমন একটা মিথ্যা প্রকাশ।
আমরা যতটা সাজি- ততটা কী প্রকাশিত হই!
না হই যবে- তবে সাজি কেন?
এটা কী জবাব হয়, যদি বলি
আমি তোমাকে সাজাবো বলেই সাজি
তোমাতে ভিজতে চাই বলে সাজি!
না, এটা কী যুক্তি হলো!
আমার সাথে যুক্ত কোথায়?
আমি আমার বিশ্বাস প্রকাশ করি
তোমার জন্য।
আমার বিশ্বাস আসনপেতে বসে
তোমার বিশ্বাসের তরে।
কথায় কি আর চিড়ে ভিজে
না- কথায় মালা চোখে আসে।
মালা সাজানো কি থেমে থাকে?
আচ্ছা, শব্দে মালা কি নিষিদ্ধ হয়েছে-এ তল্লাটে!
যদি হয়?
যদি হয়- কী হবে
আমার স্বপ্ন কি পুলিশ আটক করবে
আমার হৃদয় কি জল্লাদেও খড়গের নিচে কাটা পড়বে শেষমেশ।
আমার হৃদয়নিসৃত শেষ রক্তশীষ
তোমাকে জপবে
প্রিয়তমা।
নিছক আড্ডা অথবা মুক্ত বাতাস
প্রশ্রয় অথবা জামিন
আত্মআটক আ মুক্তি।
তবে,
সত্য যে, কোলাহলভরা মেলায়
কেউই হারালো না;
সুরটা প্রকাশ পায় কিন্তু
গলাটা খোলো না।
কানে আমার কী যেন
একটা অট্টহাসি।
আমি কার খুরের শব্দ শুনতে পাই
মুক্তি আমাকে কোন
বন্দিত্বের দিকে টানে।
কার শব্দ
কিসের সুবাস
কোন ছলনা!
একদিন প্রশ্নও তুলেছিলাম- আমরা আমাদেও প্রতি
এমন করে প্রকাশ হচ্ছি কেন?
এ বেলায় মনে হচ্ছে- অনর্থক প্রশ্নে কেন আটকা পড়ি।
প্রকাশ হবার ডালটা পাতা দেয় না
অসহিষ্ণু উষ্ণ তীব্রতায়, হয়তো।
কারণ কী হতেই হবে
প্রকাশ নাকি আড়াল করা।
২৭ জুন’ ০৯
বরাইপাড়া, গাজীপুর।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




