somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাংবাদিক ও সংবাদপত্র!

১৭ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাজনীতি, রাজনীতিবিদ, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, হত্যা, হামলা, মামলা ইত্যাদি বিষয়গুলি নিয়ে আমাদের প্রতিটি দিনের অবসর কাটে তর্ক-বিতর্কে। অনেকটা তার্কিক হয়ে গিয়েছি আমরা। যেহেতু প্রতিটি ব্যক্তিরই মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে, তাই মত প্রকাশ করতে অসুবিধা কি? সেটা সমাজের জন্য উপকারী হোক কিংবা অপকারী! এখানে বলে রাখা ভাল, উপকার আর অপকার নিয়েও এখানে বিতর্ক চালু হতে পারে। যেমন কোন মত উপকারী আর কোন মত অপকারী, তা কিভাবে, কে নির্ধারণ করবে? একজন যেটাকে উপকারী মনে করতে পারে, অপরজন তাকে অপকারও ভাবতে পারে। তাই মতামত প্রদানকে অনুৎসাহিত করা উচিত নয়। অন্ততঃ গনতান্ত্রিক সমাজে। গণতন্ত্র! যেখানে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হয়ে প্রতিটি নাগরিককে প্রতিটি পদক্ষেপে। কিন্তু সেই দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক কি এসব তর্ক-বিতর্ক?
যে প্রসঙ্গে লিখতে বসা। একটি রাষ্ট্রের উন্নয়নের অন্যতম চাবিকাঠি হলো- দল, মত, ব্যক্তি নির্বিশেষে রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক-অর্থনৈতিক বিষয়ে একটি জাতীয় ঐক্যমত থাকা। যা বিতর্কের মাধ্যমে তৈরী হতে পারে, কিন্তু সেটাকে বিতর্কিত করা উচিত নয়। আমাদের হতাশ হতে হয় এখানেই। আমাদের কোন বিষয়েই জাতীয় ঐক্যমত নেই। প্রতিটি বিষয়ই এখানে বিতর্কিত। অন্ততঃ জনগণ বিভক্ত।
জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা অন্যতম। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি তো আমাদের আছে অসীম ক্ষোভ আর অবজ্ঞা। তারা যে দেশের জন্য কোন কাজ করেন না, এমন একটা ধারণা সর্বক্ষেত্রে, যা আমাদের দেশকে রাজনীতিবিদ শূণ্য করেছে। আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গন দখল করেছে প্রাক্তন আমলা, কামলা, অবসরপ্রাপ্ত সেনানায়ক আর মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা। যেহেতু রাজনীতি ছাড়া দেশ অর্থহীন, সেখানে রাজনীতি সম্পর্কে যথাসম্ভব দায়িত্বশীল আলোচনা-সমালোচনা হওয়া উচিত, কারন এরাই আমাদের দেশকে পরিচালনা করবেন, এদের ওপরই আমাদের অগ্রগতি নির্ভরশীল।
রাজনীতির বাইরে থেকে আমরা যারা রাজনীতির শুদ্ধতা কামনা করি, তারা কি করছি, তারই একটি উদাহরণ দিতে গিয়ে এতো কথা। আজকের দৈনিক সমকালে একটা সংবাদ আছে, পুলিশে কতজন কোন দলের আছে, তারা কে কে? নাম উল্লেখসহ সংবাদটি পরিবেশন করা হয়েছে। বলাবাহুল্য, আমাদের প্রশাসনে দলতন্ত্র কায়েম হয়েছে অনেক আগেই। সেখানে গোয়েন্দা সংস্থার রির্পোটের বরাদ দিয়ে যে নামসহ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, তা জনমনে কি প্রভাব ফেলবে? যে দেশের জনগণ দলীয় ভাগে বিভক্ত, সেখানে এভাবে নামপরিচয় প্রকাশ করার মাধ্যমে প্রশাসনকে জনগনের সামনে বিভক্তিকর অবস্থায় ফেলবে। আওয়ামীলীগের কর্মী সরাসরি বিএনপি সমর্থক পুলিশ অফিসারকে হুমকি দিয়ে নিজের আখের গোছানোর চেষ্টা করবে, যা আমরা কোনভাবেই কামনা করতে পারি না। প্রশাসন দলীয়করন হলেও দেশের ব্যাপক জনগণ জানে না, কোন অফিসার কোন দলের। এটা সংবাদপত্রে প্রকাশ হওয়ার ফলে বিতর্কের পাশাপাশি সাধারন জনগণও জানতে পারলেন। বিশেষতঃ আপনি আমি তা খুঁজে না দেখলেও যারা সর্বদাই সরকার ও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের উন্নয়ন কামনা করতে উৎসাহী, তারা এসব নাম টুকে রাখবেন এবং প্রয়োজন মতো তা ব্যবহার করবেন। এভাবে প্রশাসনে একটা অস্থিরতা তৈরী হবে, যার ফলে দেশের সার্বিক ক্ষতি সাধিত হবে। প্রথম প্রশ্ন, গোয়েন্দা সংস্থার এই রির্পোট কিভাবে সাংবাদিকের হাতে এলো? এটা কি দূর্নীতি নয়? দ্বিতীয় প্রশ্ন, গোয়েন্দা সংস্থার যেকোন রির্পোট হাতে এলেই কি তা সাংবাদিক হিসাবে প্রকাশ করা উচিত? এটাকে কি দায়িত্বশীলতা বলে? তৃতীয় প্রশ্ন, এই খবরটা ব্যাপক জনগণের কি জানার খুব প্রয়োজন ছিল?

সংবাদপত্রের কাজ সংবাদ পরিবেশন করা। কিন্তু কোনটি সংবাদ আর কোনটি অপসংবাদ, তা মনেহয় বিবেচনা করা প্রয়োজন। ঋণাত্বক সংবাদ, তথ্য, উপাত্ত পরিবেশন করার মাধ্যমে এভাবেই আমরা দেশের রাজনীতি, সমাজ, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অরাজকতা তৈরী করতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করছি, আর সবদোষ গিয়ে পড়ছে নন্দঘোষের ওপর। দায়িত্বশীল সংবাদিকতা মানে কি ক্ষতিকর হলেও তা প্রকাশ করা?
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট



পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×