কিন্তু সময়ের চাকা থেমে ছিলনা। বাঙালী জাতি জেগে উঠতে লাগল নতুন চেতনা আর আত্মপ্রত্যয় নিয়ে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালী জাতি আপন পরিচয় তৈরী করতে সংকল্পবদ্ধ হ্য়। অবশেষে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা, শক্তিশালী পাক হানাদার বাহিনীর নৃশংসতা, দেশীয় রাজাকার বাহিনীর ষড়যন্ত্র মিলিয়ে এই কঠিন অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে বাঙালী জাতি মুক্তিযুদ্ধে নামে। দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিসংগ্রামে জীবনবাজি রাখা লড়াইয়ে আমরা জয়ী হলাম অসংখ্য শহীদদের আত্মত্যাগে, আমাদের মা-বোনদের মান সম্ভ্রমের বিনিময়ে। সৃষ্টি হলো নতুন এক জাতি, নতুন এক দেশ, নতুন এক আত্মপরিচয়ের। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ইতিহাসের পাতায় লিখে দিয়েছিলো বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার নামভূমিকা।
আজ সেই গর্বের দিন। আসুন আমরা শহীদদের অমর আত্মত্যাগের প্রতি প্রাণভরে শ্রদ্ধা জানাই। আমাদের মনে রাখতে হবে মুক্তিযুদ্ধের সার্থক সমাপ্তি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ছাড়া কখনোই সম্ভব নয়। এই বিজয় দিবসে তাই আমাদের শপথ হোক যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আমাদের এবারের যুদ্ধে আমরা আর পরাজিত হব না। এই বাংলাদেশের মাটিতেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তঋণ শোধ আমাদের করতেই হবে।
সবাইকে রইলো বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২৩