বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানে এবার যাচ্ছেন পর্বাতারোহী সজল খালেদ। আগামী মাসে সজল খালেদ নেপাল থেকে এভারেস্ট অভিযান শুরু করবেন।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব (বিএমটিসি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। অভিযানে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক।অনুষ্ঠানে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামীম ইকবাল ও মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মৃধা বেনু মাউন্ট এভারেস্টে নিয়ে যাওয়ার জন্য সজলের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন। সংবাদ সম্মেলনে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক হারুনুর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা আমিন আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএমটিসি'র প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক বলেন, অভিযাত্রী দল আগামী ৫ এপ্রিল নেপালের উদ্দেশ্য রওয়ানা হবে। একই সঙ্গে একটি ট্রেকিং দল বেস ক্যাম্প ট্রেকিং এ অংশ নেবে।
আগামী ১০ এপ্রিলের পর সজল এভারেস্ট অভিযান শুরু করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ৫০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে সজলের এভারেস্ট জয়ের সম্ভবনা রয়েছে।
সজল খালেদ বলেন, আশা করছি এ অভিযানে দেশবাসী আমার সঙ্গে থাকবে। সহযোগিতার জন্য আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
২০০০ সালে হিমালয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পর্বতারোহণ শুরু করেন সজল খালেদ। এ যাবৎ হিমালয় ও আল্পসে ১০টি অভিযানে তিনি অংশগ্রহণ করেছেন।
গতবছর বাংলাদেশের প্রথম ব্যক্তি হিসাবে এভারেস্ট জয় করেন মুসা ইব্রাহিম। মুসার সাথে সজল অতীতে একসাথে কয়েকটি অভিযানে অংশ নিলেও পরবর্তীতে তাদের মধ্যে বিরোধ তৈরী হয়। মুসার এভারেস্ট অভিযানের বিরুদ্ধে প্রথম কলম ধরেছিলেন সজল, পরে যা হিমুর নেভারেস্ট সিরিজের মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিলো। এবার সেই সজল নিজেই এভারেস্ট অভিযানে যাচ্ছেন।
এভারেস্ট অভিযান আসলে এমন একটা ব্যাপার যেখানে সাহসের সাথে সব প্রতিকূলতা মোকাবেলা করলেও অর্জনকে প্রতিষ্ঠিত করতে দরকার হয় উপযুক্ত প্রমাণাদির, নতুবা উল্টো প্রতারণার দায় মাথায় একে পড়ে। ইতিহাসে অনেক অভিযাত্রীর অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়েছে উপযুক্ত প্রমাণ এবং উপাত্ত হাজির করতে না পারায়। মুসাকে নিয়েও শোরগোল হয়েছিলো প্রচুর। অবশেষে হাই রেজ্যুলেশন ছবি এবং আনুষাঙ্গিক প্রমাণের ভিত্তিতে বিতর্কের অবসান হয়। সেক্ষেত্রে অন্য পর্বতারোহীদের জন্যেও এই ব্যাপারে যথাযথ সাবধানতা এবং প্রমাণ সংরক্ষণ করার দায়িত্বশীলতা আশা করা যাচ্ছে।