প্রকাশ্যে বলা হয় নি কিছুই, জানি
পুরুষের দস্যুতা মহামারির মতো জাপটে রেখেছে তোমায়, আর
সেটাই তোমার জীবনের সবচেয়ে নিয়মিত অপ্রকাশিত কষ্ট!
সেই কবে কোন এক অবিচক সময়কে সাথি করে-
গোলাপ অথবা গ্লোডিওলাসের লোভ দেখিয়ে
তোমার সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছিল যে পুরুষ-
তুমি আজও তার মহামিথ্যা প্রতিশ্র“তি
বুকে আগলে রেখেছ মহামূল্যবান ঈশ্বরের বাণীর মতো!
আমি একসাথে দেখেছি ফুলের মৃত্যু আর কুমারী মেয়ের কান্না-
কতো কষ্টে অবিরাম ডুকরে ডুকরে-
ফুলে ফুলে ওঠে ওর পিঠ আর সমাপ্ত বুক!
সেই কষ্টের কথকতা আমি কোন দিন বোঝাতে পারি নি কাউকে
নারী, আলিঙ্গনের প্রতিটিক্ষণ তুমি ডুবে ছিলে মুগ্ধভালবাসায়
জানি, পুরুষের অমীমাংসিত সংবেদনায় তুমি ক্লান্ত, ব্যথিত।
যদি কোন দিন প্রকাশ্যে বলি, নারী
আমি এক অন্ধ কবি-
ভিক্ষে চাইতে এসেছি তোমার ভালবাসা
সৃষ্টির আদি থেকে অপেক্ষমান এই আমি
তোমার ভালবাসা পাবো বলে সব চাওয়া থেকে বঞ্চিত করে রেখেছি আমারই দগ্ধডানা!
সকল কামুকতা আর নষ্ট তনুকে অগ্রহ্য করেছি গভীর ঘৃনায়-
তোমার অক্ষত রোমাঞ্চিত যমুনায় পবিত্র অবহাগনের আশায়!
নারী, একবার- শুধু একবার চোখ মেলে দ্যাখো
আমি পুরুষ নই! তোমারই সেই অন্ধ কবি-
যাকে তুমি প্রত্যাশা করেছিলে শতপ্রার্থনায়।