শুক্রবার র্যাব ৪ ও ১০-এর সহযোগিতায় ভেজাল বিরোধী মোবাইল কোর্ট যাত্রাবাড়ি থানার গোবিন্দপুর এলাকায় এশিয়ান ফুড কোম্পানির কারখানায় অভিযান চালিয়ে নোংরা-অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আদা-সুপারি পচিয়ে এনার্জি ড্রিংক, কেমিক্যাল ও রংয়ের সংমিশ্রণে আচার, জেলি, সসসহ নানা ধরনের খাদ্যসামগ্রী তৈরির কারখানার সন্ধান পায়। বিএসটিআইয়ের অনুমোদনবিহীন এসব কারখানায় আদা-সুপারি পচিয়ে এবং সঙ্গে অতিমাত্রায় সোডিয়াম বেনজুয়েট সংমিশ্রণে নোংরা-অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এনার্জি ড্রিংক তৈরি ও বাজারজাত করে আসছিল। ঐসব কোম্পানি এনার্জি ড্রিংক তৈরি করে ড্রাম ভরে রাখে। এনার্জি ড্রিংক ভর্তি ড্রামে মরামাছি ও তেলাপোকা পড়ে থাকতে দেখতে পায় মোবাইল কোর্ট। বোতলসমূহও বাইরে নোংরা ও আবর্জনায় ফেলে রাখে। এই সকল বোতল ওয়াসার পানি দিয়ে কোনরকমে পরিষ্কার করে এর ভেতরে এনার্জি ড্রিংক ভর্তি করে বোতলজাত করা হয়। বছরের পর বছর চলছে এই বিষাক্ত এনার্জি ড্রিংক।
এনার্জি ড্রিংকের প্রতি কিশোর-কিশোরী থেকে তরম্নণ-তরম্নণীদের আকর্ষণ বেশি। তারাই বেশি এনার্জি ড্রিংক পান করে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই এনার্জি ড্রিংক পান করা আর সরাসরি বিষপান করা একই। ইহা সেবনে দ্রম্নত কিডনি, লিভার ও ক্যান্সারসহ মরণব্যাধি দ্রম্নত হওয়ার আশংকা বেশি। এছাড়া উক্ত কারখানায় আচার, জেলি, সসসহ নানা ধরনের খাদ্যপণ্য কেমিক্যাল ও রংয়ের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়ে থাকে। এই সকল খাদ্যপণ্যের বেশির ভাগ মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। এই সকল পণ্য বাজার থেকে এনে পাত্র কিংবা বোতলের গায়ের মেয়াদ উত্তীর্ণের লেভেল ফেলে নতুন করে মেয়াদ বাড়িয়ে লেভেল লাগানোর প্রমাণ পায় মোবাইল কোর্ট।
এশিয়ান ফুড কোম্পানির তৈরি এনার্জি ড্রিংকের নাম হচ্ছে ‘পাওয়ার প্লাস’। মোবাইল কোর্ট এই কোম্পানির মালিক আবু বক্কর সিদ্দিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের জেল প্রদান করে।
গত বছরও মোবাইল কোর্ট একই কারণে এশিয়ান ফুডের মালিককে জেল-জরিমানা করেছে। কিন্ত্ত তারপর বিষাক্ত ভেজাল ও নকল এনার্জি ড্রিংকসহ খাদ্যপণ্য উৎপাদন করে দেদারছে বাজারজাত করে আসছে।
সূত্রঃ Click This Link