somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মা তোমার জন্য ভালবাসা :: প্রতিদিন

১১ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




মা দিবসে মায়ের জন্য প্রাতরাশ বানাতে গিয়ে ২ শিশু তাদের রান্না ঘড়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।

ঠিক সকালের দিকে মা বিছানায় থাকা অবস্থায় একটা শব্দে জেগে উঠ'ল... শব্দের উৎপত্তি স্থল ছিল কিচেন... যেখান তার দুই সন্তান প্রাতরাশের আয়োজনে ব্যস্ত মায়ের অগোচরেই... মা দিবসে মাকে আসলে আজকে সারপ্রাইজ করার জন্য তাদের একটা প্লান ছিল এটা। ঘটনাটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার Lower Templestowe এ।

ঘটনাটা ঘটেছিল যেভাবে... বাচ্চারা ফ্লাশ পেনে ব্রেকফাস্ট বানাতে ছিল ... হঠাৎ ফ্লাশ পেনের উপর আগুন উঠে যায়.. যেখান থেকে আগুন ছড়ায় কাপবোর্ডে... মায়ের কান হয়ে দ্রুত আগুনের সংবাদ অগ্নি নির্বাপক দলের কাছে পৌঁছায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে অগ্নি নির্বাপক দল ঘটনস্থলে পৌঁছলে আগুন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। বাবা অগ্নিদগ্ধ হয় এবং মেয়েরা ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে অসুস্থ হয়ে পরে। বাবা এবং তাদের দু'সন্তান এখন হসপিটালাইজড।


সংবাদটা পড়েই ভাল লাগল একটা জায়গায় ... মায়ের জন্য ভালবাসা। মায়ের প্রতিদিনের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘবের আপ্রাণ চেষ্টা ছিল এই দিনটাতে ... যেখানে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন কোন চিন্তা ওই ছোট্ট শিশু দুটার মাথায় ছিল না। দুই সন্তান তার মাকে একটা সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য কিচেনে ঢুকে প্রাতরাশ তৈরি করছে... মা ঘুম থেকে জাগলে তার বেডের সামনে নিয়ে মাকে বলবে "মা তোমার জন্য ব্রেকফাস্ট বানিয়েছি..." বিষয়টা আসলেই অনেক সুইট ছিল ... ভাবতেই চোখে পানি চলে আসে...

গতকাল ছোট ভাই শাতীল একটা লিংকু পাঠালো ম্যাসেঞ্জারে... সাথে এটাও বললো "যাইয়া একটা চড় মাইরা আসেন"... পড়লাম... চড় মারার কথা মাথায় এলো না... ভাবলাম আমরাতো এইটুকুও করি না... ওদের যেই ভাবনাটি ছিল ... আমারা বড়রা তো সেভাবে ভাবি না :(



একটা চেইন মেইল ... যার বক্তব্য এরম...

কোন এক বাদল দিনে... বাইরে প্রচণ্ড বৃষ্টি... কাক ভেজা হয়ে বাসায় ফিরছি... ছোট ভাইটা দেইখাই কইলো সকালে বের হওয়ার সময় ছাতাটা সাথে নিলে তো এরম ভিজন লাগতো না... বোনটা উপদেশ ঝাড়ল “বৃষ্টি থামার পর বাসায় আসলে তো এরম কাক ভেজা হতে হতো না”। আর ওইদিকে বাপজান রাইগা আমারে কতক্ষণ ধমকাইয়া কইলো যে, “যখন জ্বর-জারি আইবো তখন বুঝবা ঠেলা”।

কিন্তু আমার মা জননী? কোন কথাই বললো না... দ্রুত কাছে এসে আঁচলটা দিয়ে মাথাটা মুছে দিচ্ছিল আর বলতে ছিলা হারামজাদা বৃষ্টি... একটু পরে আসলে কি হৈত? আমার বাবাটা বাসায় পৌঁছার পর আসলে কি খুব সমস্যা হতো?

এটাই হলো আমাদের মা




ঠিক সকাল ৯টার মধ্যেই যেভাবেই হোক অফিসের দরজায় কড়া নাড়তে হবেই। ক্ষমাহীন পাষণ্ড কর্মস্থলের কর্পোরেটীয় আচরণ। প্রস্তুতির জন্য নীদ্রাদেবীর সাথে বিমাতীয় ব্যবহার। মায়ের ঘড়ের বাতাস ভারী... সিলিং ফ্যানের যাত্রা বিরতি... কারণ? আমার প্রিয় মা জননীর শরীর ভালো নেই... কোথায় মুড়ান মা আমার শয্যাশায়ী ... কপাল উত্তপ্ত...জেগে উঠেই বললেন “কিছু হয় নাই”... তোর অফিসে দেরি হয়ে যাচ্ছে... :( ... কি বলি... এই মায়ের মিথ্যার সাথে আমি পরিচিত... প্রচণ্ড জ্বর নিয়েও বলবে তার কিছুই হয়নি ... আমরা হুদাই চিন্তা করি :(

মা আমার জন্য প্রতিদিন... মা আমরা তোমার জন্য প্রতিদিন... বিশেষ একটি দিনে তুমি আবদ্ধ নও...
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৯

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???



আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×