
১। শিক্ষায় সমতা (দেশের সর্বস্তরের জনগণকে শিক্ষিত করার প্রয়াসে এলাকাভিত্তিক/জাতিগত/গোত্রভিত্তিক/*পরিবার ভিত্তিক কোটা ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে)
(*যে সকল পরিবারে কেউই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত নয়, কেবল তারাই এর অর্ন্তভুক্ত হতে পারে।)
২।চাকুরী কিংবা প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে সমতা আনার লক্ষে এলাকাভিত্তিক/জাতিগত/গোত্রভিত্তিক/*পরিবার ভিত্তিক কোটা ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। তবে প্রতিনিধিত্বেরক্ষেত্রে পরিবার ভিত্তিক কোটা প্রযোজ্য নয়।
কারা এই কোটায় অর্ন্তভুক্তি পেতে পারেঃ
১।পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সমাজ তথা রাষ্ট্রের মূলস্রোতে আনার জন্য ।
২।বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী যারা অনুন্নত জীবন ধারায় অভ্যস্ত।
৩। বিভিন্ন এলাকা/গ্রাম/মহল্লা/এমনকি পরিবার(অনগ্রসর ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত)।
কি অনুপাতে হতে পারেঃ
১। কোটার অনুপাত জনসংখ্যার অনুপাতে বন্টন করা যেতে পারে। ধরুন, নৃগোষ্ঠীর অনুপাত মোট জনসংখ্যার ২%। সুতরাং, তাদের কোটা ২% এর বেশী হতে পারে না।
২।মাতৃভাষায় শিক্ষা প্রদানের লক্ষে ওই একই ভাষাভাষীদের অতিরিক্ত কোটা প্রদান করা যেতে পারে।**
(** কোটাধারী শিক্ষকগণকে অবশ্যই ট্রেনিং এর মাধ্যমে যোগ্য করে তুলতে হবে।)
কোটাব্যবস্থার মেয়াদ কি তাহলে অসীম???? না। সরকার কোটা নির্ধারণের সময় অবশ্যই সময়সীমা উল্লেখ করবে। যেমন, সিলেটের খাসীয়াদের জন্য ০.১% কোটা নির্ধারন করল। এই দশ বছরে যাতে ওখানকার জনগন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে তৎজন্য বৃত্তি প্রদান, ভাল শিক্ষক নিয়োগ, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন, বিদ্যুৎ সরবরাহ সহ জীবনযাত্রারমান উন্নয়নে বলিষ্ট ভুমিকা পালন করতে হবে। অন্যথায় হাজার বছর ধরে এই পদ্ধতি চালু থাকলে ও কোন কাজ হবে না। যেমন, নৃগোষ্ঠীর কোটা তুলনামূলকভাবে চাকমারাই এককভাবে ভোগ করছে। অন্য কোন গোষ্ঠীর উন্নয়ন চোখে পরে না।
চাকরির ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থার অর্থ হল, কোটাধারীর শিক্ষা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত নয়। তার শিক্ষায় গলদ রয়েছে। একজন কোটাধারী যখন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সুবিধায় আসন লাভ করে, তখন তাকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত গড়ে তুলতে কর্ত্তৃপক্ষকে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তবে এটা ভাল হবে যদি রাষ্ট্র ঠিক করে দেয় যে, কোটাধারী তার জীবনে একবারই কোটা প্রয়োগ করতে পারবেন।
রাহুল রাজ
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


