somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোথায় যাচ্ছি আমরা?

২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ৮:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দিন কয়েক আগে আমার প্রিয় এক বন্ধুর বাবাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি হৃদযন্ত্রের জটিলতায় ভুগছিলেন। ফেরার সময় বন্ধুটি বলেস্না "ওকেইজ দোসত্দ... নেট এ দেখা হবে"। সেই তখন থেকেই এই প্রশ্নটা মাথার মধ্যে ঘুর-পাক খাচ্ছে। কোথায় যাচ্ছি আমরা? আর কতো বদলাবো আমাদের জীবন ধারনের স্টাইল? এখন কারো সাথে সরাসরি দেখা হওয়ার দরকার হয়না। মেসেঞ্জারে এ্যড করা আছে। যে যখন আসে দেখা হয়.. কথা হয়.. এক সাথে অনেক বন্ধুর আগমনে জনসভার (কনফারেন্স) সৃষ্টি হয়... কত্তোকি...

নেট এর বদৌলতে ঘড়ে বসেই জাম্পেশ আড্ডার আয়োজন হয়ে যায় পৃথিবীর যেই প্রানত্দেই থাকিনা কেন। ওয়েব ক্যাম এর বদৌলতে রিয়েল লাইফ ফিলিংসটা বাড়তি পাওয়া... একটা সময় আড্ডাতে অত্যাবশ্যকীয় ছিলো মুড়ি ভাজা আর ধুমায়িত চা ... আহ.. কত্যোদিন এই সুবাস টা পাই না... খুউব মিস করি... আচ্ছা মান্নাদে যদি আগে বুঝতে পারতো পৃথিবীর এই সিচুয়েশন হবে... কফি হাউজে আর আড্ডা জমবে না... সেই 7 জন বন্ধুকে ঘরে বসেই ধরা সম্ভব... তাহলে তার গান টা ক্যামন হতো? আদৌ কি এমন একটা গান আমরা পেতাম?

মুখে কথা বলাটা সেই কবেই শেষ হয়ে গেছে... না ভরকাবেন না... আমি শব্দ প্রতিবন্ধী না... আসলে বদলে গেছে কথা বলার ধরন... এখন কথা হয় ইমেইল এ, কথা হয় ইয়াহু/এমএসএন/স্কাই পি/এমআইআরসি/আওল/আইসিকিউ-তে... এখন আর মুখে কোন কথা বলা লাগে না... কথা হয় আঙ্গুল দিয়ে... আমার সমসত্দ আবেগ, অনুভুতির দৃশ্যমান হয় হাতের দশটি আঙ্গুলের মাথা থেকে... ইমোটিকন এর মাধ্যমে... আরো কত্তোকি যে দেখবো...

বাল্যকারে পাড়ার লাইব্রেরীতে গেলে অনেক বইএর ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলতাম। কোন একটি বিশেষ বই এর জন্য সমসত্দ লাইব্রেরী তন্ন তন্ন করে খুজতাম। আর আজ? ঘরে বসে দেশ বিদেশের বিখ্যাত বই/জার্নাল/রিপোর্ট/এনসাইক্লোপিডিয়া কয়েকটি আঙ্গুলের আলতো ছোয়ায় নিমিশেই হাজির করে ফেলছি। এই তো কিছুদিন আগেও বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীটা কখন মহলস্নায় আসবে আর সদ্য সমাপ্ত বইগুলো বদল করে নতুন কিছু বই নিবো। সময় পেলেই মহানগর পাঠাগার এ ও যাওয়া হতো। কত্তো স্মৃতীবিজরীত বৃটিশ কাউন্সিল। অথচ এখন? ছোট্ট এই যাদুর বঙ্টা সব কিছু কি দ্রম্নত গতিতে বদলে দিচ্ছে। কিন্তু পাচ্ছিনা সেই নতুন বইয়ের গন্ধ... যেটা বই এর সাথে অনত্দরের একটা টান তৈরী করতো।

সেই প্রশ্নটা আবারো চলে আসছে.. আসলে এর শেষ কোথায়? আর কতো বদলাতে হবে নিজেকে? প্রযুক্তির এই দ্রম্নত সম্প্রসারণে আমাদের অনুভুতীগুলো কি ভোতা হয়ে যাচ্ছেনা? আমার একটা কাজিন ইংলিশ মিডিয়ামের ক্লাস থ্রিতে পরে... সে ঊনসত্তর/ঊনত্রিশ কতো-তে হচ্ছে সে জানে না... ইংরেজী মাধ্যমের একটা অংশ বের হচ্ছে বিকৃত উচ্চারনে কথা বলতে বলতে। নিজ দেশে প্রবাসী? মনটা খারাপ হয়ে গেলো... আর লিখতে ইচ্ছা করছে না...

কেউ যদি কষ্টকইরা এই পর্যনত্দ আইসা থাকেন... তাইলে আপনেরে ধন্যবাদ... ভালো থাইক্যেন
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এমন রাজনীতি কে কবে দেখেছে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০


জেনজিরা আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামল দেখেছে। মোটামুটি বীতশ্রদ্ধ তারা। হওয়াটাও স্বাভাবিক। এক দল আর কত? টানা ১৬ বছর এক জিনিস দেখতে কার ভালো লাগে? ভালো জিনিসও একসময় বিরক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রবাসীর মৃত্যু ও গ্রাম্য মানুষের বুদ্ধি!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩০



একজন গ্রামের মানুষের মাথায় ১০০ জন সায়েন্টিস্ট, ৫০ জন ফিলোসফার, ১০ জন রাজনীতিবিদ এবং ৫ জন ব্লগারের সমপরিমাণ জ্ঞানবুদ্ধি থাকে, তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন এসব লোকজন বাংলাদেশের এক একটি সম্পদ।

বিস্তারিত:... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন নারী শিক্ষিকা কীভাবে কন্যা শিশুর সবচেয়ে অসহায় মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করতে পারেন?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৩


বাংলাদেশে মাঝে মাঝে এমন সব মানুষ রূপী শয়তানের সন্ধান মেলে যাদের দেখে আসল শয়তানেরও নিজের উপর হতাশ হওয়ার কথা। এমন সব প্রজাতির মানুষ বাংলাদেশে বসবাস করেন যাদের মস্তিষ্ক খুলে দেখার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মানুষ মানুষকে কীভাবে এত অপদস্ত করে এই ব্লগে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৪

আমি তো কারও সাতেও নাই পাঁচেও নাই। এত সময়ও নাই মানুষকে ঘাঁটার। ব্লগের ব্লগারদের সম্পর্কেও তেমন কিছু জানি না। তবে পোস্ট পড়ে কিছুটা আন্দাজ করা যায় -কে কী রকম। আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×