আমেরিকা ভ্রমন ১
বাচ্চাটা মনে হয় পৃথিবীটা এক্সপ্লোর করতে বের হয়েছিলো
এখানে প্রতিদিনই হাটতে বের হই। পরিচ্ছন্ন রাস্তা সাজানো গোছানো পরিকল্পিত ঘরবাড়ী। প্রত্যেকেই ঘরের সামনে রুচি সম্মত বাগান বা গাছ লাগিয়ে রেখেছেন। এতদিন ভিউকার্ডে যা দেখেছি তা এখন স্বচক্ষেই অবলোকন করছি। রাস্তায় মাঝে মাঝে হরিনের সাইনপোষ্ট দেখা যায়, অর্থাৎ মাঝে মাঝেই হরিন রাস্তা পার হয়। শুনলাম রাস্তা পার হওয়ার সময় মাঝে মাঝে ভয় পেয়ে গাড়ীর উইন্ডশীল্ড ভেঙ্গে মাথা ভিতরেও ঢুকিয়ে দেয়। আমার আত্মীয়ের বাসার সামনের বাগানে দুটো খরগোসের বাচ্চা দেখে ছবি তুলে ফেললাম। শুনলাম ঘরের পিছনে হরিন এসে লাউগাছ মরিচ গাছের পাতা ডগা সব খেয়ে ফেলে। আজ আবার দেখলাম একটা সুন্দর কাছিম রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়ীর নীচে পড়ে মরা গেছে ছবি উঠালাম কিন্তু খুব খারাপ লাগছে। সকালে দেখি ওয়েষ্ট কালেকশনের জন্য গাড়ী এসে সব বীন খালি করে নিয়ে যাচ্ছে সব কিছুতে এত ডিসিপ্লিন যে মনে হয় এটা সবাই প্রায় তাদের জীবনাচরনের অংশ বানিয়ে ফেলেছে। এত শত শত গাড়ী চলে কোন ড্রাইভার হর্ন দিলে অন্য সব চালকেরা অপমান বোধ করে। এখানে ঘাস কাটতে হয় নিয়মিত। পরে এগুলো ওয়েষ্ট গ্রাউন্ডে দিয়ে আসতে হয়। ঘাসের জন্য পে করতে হয়না অন্য ওয়েষ্টের জন্য মানে গাছের কান্ড ডালপালা ফেলতে হলে পে করতে হয়। এই ওয়েষ্ট গুলি প্রসেস করে অর্গানিক সার তৈরী করতে খরচ হয় বলেই পে করতে হয় কিন্তু সার বিনা পয়সায় যত খুশী তত নিয়ে আসা যায় । লোকজন এই সার এনে ঘরের সামনে ফুল এবং সব্জীর বাগান করে।
বাতাসে একটুও ধূলা নেই তাই কাপড় নোংরা হয় কম। এখানে শুনলাম বাতাসও নাকি পরিশুদ্ধ করার প্লান্ট আছে। সপিং মল গুলি বিরাট বিরাট আর হরেক রকম আইটেমের বিশাল বিশাল স্টক রয়েছে। অনেক আইটেম দেখলাম একটা কিনলে আর একটা ফ্রী। হে হে তাই বলে একটা বিয়ে করলে আরেকটা বৌ ফ্রী না কিন্তু
ছবির বিষয় বস্তু বলে ফেলেছি তাই ভাবছি ছবির সাথে বর্ননা হয়তো প্রয়োজন হবেনা।
পাশের বাসায় জন্মদিনের উৎসব চলছে তাই আকাশে আতশ বাজীর ঝলক।
শপিংমলের আরো ছবি পরে দেবো তবে অপরূপা প্রকৃতির অঢেল সুধাপানে আমার কখনোই ক্লান্তি আসেনা তাই প্রকৃতির প্রাধান্যই বেশী থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১০