খেজুর গাছের গায়ে কমলা রং এর অর্কিড দেখে ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারলাম না।
ঢাকা থেকে যমুনা নদীর ওপারে পদ্মানদী বিধৌত বিভাগীয় শহর রাজশাহী । শাহ্ মখদুমের পরশখ্যাত পূন্য ভূমিও রাজশাহী। পাকিস্তান আমলে পূর্ব পাকিস্তানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী। এখানে মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী কলেজ, ইন্জিনিয়ারিং কলেজ, ক্যাডেট কলেজ ইত্যাদি স্বনাম ধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। রাজশাহী সিল্কের জন্যও বিখ্যাত।
রাজশাহীর প্রাচীন নাম রামপুর বোয়ালিয়া। তবে রাজশাহীকে পুন্ড্র নগরীও বলা হত। এখানকার অধিবাসীরা পুন্ডা প্রজাতির আখ চাষ করতেন এছাড়াও এই এলাকার মানুষেরা পান্ডু (জন্ডিস) রোগে ভুগতেন বলেও ঐ নামকরন করা হয় বলে কথিত আছে।
শাহ্ মখদুম তার বড় ভাই সৈয়দ আহমেদ (মিরন শাহ্) সহ বাগদাদ থেকে বরেন্দ্রভূমি রাজশাহী আসেন ইসলাম ধর্ম প্রচার করার জন্য আনুমানিক হিজরী ১৬৮৭ সনে। সুফি শাহ্ মখদুমের এপিগ্রাফিক থেকে জানা যায় রাজশাহী নগরের পত্তন হয় ১৬৩৪ সালে। বাংলাদেশের একমাত্র বরেন্দ্র যাদুঘরটি রাজশাহীতে অবস্থিত। রাজশাহী বিমানবন্দরটি সূফী শাহ্ মখদুমের নামে নামকরন করা হয়েছে।
মোগল সাম্রাজ্যের শাসনকালে সম্রাট আকবর রাজশাহীর শাসনভার পুটিয়ার রাজপরিবারের হাতে ন্যস্ত করেন।
রাজশাহীকে আমের দেশ ও বলা হয়। রাজশাহীর পুরো জোনেই প্রচুর আমবাগান রয়েছে যা ভারতের সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত। রাজশাহীর উত্তরে ভারতের মালদহ জেলা অবস্থিত।
রাজশাহীতে একটি শিশুপার্ক এবং সফুরা সিল্ক পল্লী রয়েছে।
রাজশাহীর অধিবাসী এবং ভ্রমন পিপাসুরা প্রাকৃতিক নৈস্বর্গিক দৃশ্য উপভোগ করতে এবং মুক্ত হাওয়ায় বিচরনের জন্য পদ্মা নদীর তীরকেই বেছে নেন। পদ্মার টি বাধ বা গ্রোয়েনে ভ্রমন কালে স্মৃতি এখানে শেয়ার করলাম যারা দেখেন নি তাদের জন্য।
কিছু তথ্য গুগল থেকে নেওয়া এবং ৩টি ছবিও গুগল থেকে নেওয়া।
১। রাজশাহীতে একটি আম চত্তর আছে যারা কখনো আম দেখেন নি আমার মত তারা আম কেমন দেখে নিন।
২। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন। গুগল।
৩। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সৈন্যরা শহীদ ডঃ শামসুজ্জোহা হলে ক্যাম্প করে এবং শতশত বাঙ্গালীকে ধরে এনে মেরে ফেলে যাদের মধ্যে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের প্রফেসর এবি সিদ্দিকীও ছিলেন।
৪। এপিটাফ।
৫। রাজশাহী কলেজের প্রশাসনিক ভবন। গুগল
৬। রাজশাহী শিশুপার্ক গুগল।
৭। খেজুর গাছে বেগুনী এবং হালকা বেগুনী রং এর চমৎকার অর্কিড।
৮। পদ্মার পারে।
৯। গোধূলী লগ্নে মেঘের আলোয় আলোকিত পদ্মা মাঝে নিঃসঙ্গ নৌকা চলছে বৈঠার টানে।
১০। কোথা থেকে আসা কোথায় হারিয়ে যাওয়া।
১১। সারাদিনের কাজের পর ঘাটে ফিরে আসা নৌকা।
১২। সারা দিনের কর্ম ব্যস্ততার শেষে একটু শান্তির আকাংখা।
১৩। ভাঙ্গন রোধের প্রস্তুতিতে স্তুপ করে রাখা বস্তা।
১৪। নদীর পারে এক টুকরো কাশ বন।
১৫। নৌবিহারের আয়োজন। কোলাহল পিছে ফেলে নিজেদের মধ্যে মগ্ন হওয়ার জন্য একটু সময়ের খোঁজে।
১৬। আমাদের জন্য বাহারী বিলাসবহুল ইয়ট অপেক্ষা করছে ।
এখানে একটা ব্যাপার ঠিক হিসাবে মিলছেনা। গ্রোয়েন তৈরী করা হয় নদীর স্রোতকে ধীর গতি করে দেওয়া এবং চর পড়ে তীর তৈরী হওয়ার জন্য। সেক্ষেত্রে এখানে ভাঙ্গার কথা নয় অথচ ভাঙ্গছে।
১৭। নদীর একেবারে পাড় ঘেষে চেয়ার বসানো চটপটি ব্যবসায়ীদের কাজ নদীর দৃশ্য উপভোগ একই সাথে পেটেরও সেবা। এই ছবির বিশেষত্ব হলো আকাশে মনে হচ্ছে কেউ বসে মুখ থেকে ধুয়া বের করছে অথবা কোন মল্ল যোদ্ধা মুগুর হাতে দাড়িয়ে আছে।
১৮। বাঁধানো পাড় আরাম করে বসে সময় ক্ষেপনের জন্য চমৎকার আয়োজন।
১৯। ভ্রমনকারীদের নৌবিহারের সুখ বিলাবার অপেক্ষায়।
২০ ।
২১। ভাঙ্গন রোধের জন্য স্তূপ করে রাখা বস্তার উপর বসেই সুখ এবং শান্তি খুঁজে ফেরা।
২২।
২৩। বাঁধের উপর ইটের গাথুনি এগুলো আবার তারের নেট দিয়ে সুরক্ষিত করা তবে রক্ষনাবেক্ষনের কথা মনেহয় কর্তৃপক্ষ ভুলে গেছেন। আমাদের দেশে যেখানেই ঘুরতে যাই সরকারী ব্যবস্থাপনার অধীন যত স্থাপনা আছে সেগুলোর ভীষন করুন অবস্থা। প্রাইভেট গুলি ঠিক আছে। মানুষ টিকিট কেটে সেগুলো উপভোগ করছে। এখানে মানুষের ট্যাক্সের টাকা ব্যায় করার কথা। একটা হাচ্ছি (মানে হলো চালডাল তেলনুন মায় জীবনধারনের জন্য খাবার পানিতেও ধনী গরীব সবাই সমান ভ্যাট দিচ্ছে। ) দিলেও যেখানে ভ্যাট কাটা হয় সেখানে টাকা নাই বলা যাবে কি ?
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪