somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমেরিকায় শীতের প্রহর-২

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


গতকাল বিকেলে গিয়েছিলাম মেসিস চেইন সুপার মলে সেখানে সান্তাক্লজ সহ এই খ্রীষ্টমাস ট্রী টা দেখে ক্যামেরা আপনা আপনিই ক্লীক করে উঠলো। :D



আজ সকালে বের হলাম প্রাত ভ্রমনে। এবার পূর্ন প্রস্তুতি নিয়েই বের হয়েছি। তাপমাত্রা যথারীতি মাইনাস ৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড।
প্রথমে কান না ঢেকেই চলছিলাম, কিছুক্ষণ পরে মনে হলো কান দুটো সাথে নেই, মনে করতে চেষ্টা করলাম ওদুটো সাথে নিয়ে বের হয়েছিলাম নাকি বাসায় রেখে এসেছি :D
হাত দিয়ে ধরেও অস্তিত্ব টের পেলাম না, আশেপাশে তাকিয়ে কোন চিলও দেখতে পেলাম না, যাতে ভাবতে পারি চিলে কান নিয়ে গেছে। :D
আসলে হাতও অবশ হয়ে গিয়েছিলো, তাই তাড়াতাড়ি কান ঢেকে হাত দুটো পকটে পুরে ফেললুম।
পাহাড়ের চূড়ায় উঠে ছবি তোলা শুরু করলাম, তবে ঘরবাড়ী রাস্তাঘাটের ছবি উঠানোর উদ্দেশ্যে নয়।
আমাদের দেশের পাহাড়ের মানে হলো গাছপালা ঝোপ জঙ্গল আর আগাছা, সাথে গরীব পাহাড়ীদের মাচার উপর কিছু কিছু ঘরবাড়ী।

এই ছবিগুলো প্রমান করছে প্রকৃতিকে নষ্ট না করেও আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা সহ কিভাবে পাহাড়কে ইউটিলাইজ করা যায়।

বেড়াতে এবং সুন্দর পরিকল্পিত সাজানো গোছানো দৃশ্য দেখে ভাল লাগলেও মনে সারাক্ষণ খোঁচা মারতে থাকে আমরা কি করছি?
আজকাল আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে কোন কিছুই গোপনীয় নয়। বিদেশের এই দৃশ্য গুলো দেখে আমাদের নেতারা কিছুই শিখছেন না, বরঞ্চ' তারা দেশটাকে আস্তাকুড়ে রেখে নিজেদের বাসস্থান এসব দেশে গড়ে তোলার ভাবনায় মশগুল হয়ে থাকেন অথচ ভোটের সময় কত গালভরা কথার বন্যা বইয়ে দেন।


ফেলে আসা পথ।


সামনের পথ।


আলোছায়া।


ঘরবাড়ীর সাথেই রয়েছে গাছপালা। বর্তমানে পাতা বিহীন হলেও শীতের পরেই এগুলো পত্রপল্লবে ভরে উঠে প্রকৃতিতে সবুজের বন্যা বইয়ে দেবে।




পাহাড়ের একেবারে চূড়ায় অবস্থান করছে বাড়ীটা। এসব বাড়ী তিনতালা। গ্রাউন্ড লেভেলের নীচে একতলা, যেটাকে বেসমেন্ট বলে উপরে রয়েছে আরেকতলা। প্রতিটি বাড়ীতে পানি বিদ্যুত এবং গ্যাস সংযোগ (অপশনাল) রয়েছে। গরমকালে শীতল হাওয়া এবং শীতকালে গরম হাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে একই সাথে গরম পানি ও ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের দেশের মত বিদ্যুত পানি এবং গ্যাসের আসা যাওয়া নেই (লোডশেডিং) সেটা এখানকার অধিবাসীদের কল্পনাতেও স্থান পায়না।




নামার পথে।


কিইইই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন।


হা হা হা পোষ্টবক্স এবং পতাকা পাহাড়া দেওয়ার জন্য দুটো ডগী দাড় করিয়ে দিয়েছে। :D


বাড়ীর পাশে সান্তাক্লজ উপহার দেওয়ার দেওয়ার জন্য এসে হাজির। ;)


সান্তাক্লজ।




কঠিন ঠান্ডায় সংকোচিত হয়ে রাস্তা ফেটে যায় তারপরও ওগুলো অবহেলায় পড়ে থাকেনা সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা এসে বিটুমিন দিয়ে মেরামত করে যায় ফলে দাগ থাকলেও রাস্তা ফাটা নয়।


এই সবুজগুলি এখনও টিকে আছে।


ঘাসের উপর শিশির পড়েছিল সেগুলো এখন বরফ হয়ে গেছে।


নেমে যাচ্ছি তো যাচ্ছিই।


ফেলে আসা পথ।




গতকাল সন্ধ্যায় তাপমাত্রা ছিল ৩ ডিগ্রী তখন কুয়াশা পড়েছিল যা এখন তুষার হয়ে গেছে।


রাস্তার একপাশে সবুজ পাতায় রোদের ঝলক।


রাস্তার অপর পাশের দৃশ্য, পত্রপল্লব সব বিদায় নিয়েছে, বসন্তে আবার নুতনকুড়ি এসে সব ভরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রেখে, তারপরও মনে হচ্ছে যেন আকাশের ক্যানভাসে কোন শিল্পীর আঁকা ছবি ফুটে রয়েছে।


ঘাস মাঝে মাঝে চিকচিক করছে। শিশিরের আশায় ছবি তুললাম কিন্তু বরফের হীরকখন্ডে পেলাম আলোর ঝলকানি। :D


অনেক হয়েছে এবার ঘরের মানুষ ঘরে ফিরে যাই এক কাপ গরম কফির স্বাদ নেবার জন্য প্রানটা আইঢাই করছে। :)

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০১
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×