গতকাল বিকেলে গিয়েছিলাম মেসিস চেইন সুপার মলে সেখানে সান্তাক্লজ সহ এই খ্রীষ্টমাস ট্রী টা দেখে ক্যামেরা আপনা আপনিই ক্লীক করে উঠলো।
![:D](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_05.gif)
আজ সকালে বের হলাম প্রাত ভ্রমনে। এবার পূর্ন প্রস্তুতি নিয়েই বের হয়েছি। তাপমাত্রা যথারীতি মাইনাস ৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড।
প্রথমে কান না ঢেকেই চলছিলাম, কিছুক্ষণ পরে মনে হলো কান দুটো সাথে নেই, মনে করতে চেষ্টা করলাম ওদুটো সাথে নিয়ে বের হয়েছিলাম নাকি বাসায় রেখে এসেছি
![:D](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_05.gif)
হাত দিয়ে ধরেও অস্তিত্ব টের পেলাম না, আশেপাশে তাকিয়ে কোন চিলও দেখতে পেলাম না, যাতে ভাবতে পারি চিলে কান নিয়ে গেছে।
![:D](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_05.gif)
আসলে হাতও অবশ হয়ে গিয়েছিলো, তাই তাড়াতাড়ি কান ঢেকে হাত দুটো পকটে পুরে ফেললুম।
পাহাড়ের চূড়ায় উঠে ছবি তোলা শুরু করলাম, তবে ঘরবাড়ী রাস্তাঘাটের ছবি উঠানোর উদ্দেশ্যে নয়।
আমাদের দেশের পাহাড়ের মানে হলো গাছপালা ঝোপ জঙ্গল আর আগাছা, সাথে গরীব পাহাড়ীদের মাচার উপর কিছু কিছু ঘরবাড়ী।
এই ছবিগুলো প্রমান করছে প্রকৃতিকে নষ্ট না করেও আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা সহ কিভাবে পাহাড়কে ইউটিলাইজ করা যায়।
বেড়াতে এবং সুন্দর পরিকল্পিত সাজানো গোছানো দৃশ্য দেখে ভাল লাগলেও মনে সারাক্ষণ খোঁচা মারতে থাকে আমরা কি করছি?
আজকাল আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে কোন কিছুই গোপনীয় নয়। বিদেশের এই দৃশ্য গুলো দেখে আমাদের নেতারা কিছুই শিখছেন না, বরঞ্চ' তারা দেশটাকে আস্তাকুড়ে রেখে নিজেদের বাসস্থান এসব দেশে গড়ে তোলার ভাবনায় মশগুল হয়ে থাকেন অথচ ভোটের সময় কত গালভরা কথার বন্যা বইয়ে দেন।
ফেলে আসা পথ।
সামনের পথ।
আলোছায়া।
ঘরবাড়ীর সাথেই রয়েছে গাছপালা। বর্তমানে পাতা বিহীন হলেও শীতের পরেই এগুলো পত্রপল্লবে ভরে উঠে প্রকৃতিতে সবুজের বন্যা বইয়ে দেবে।
পাহাড়ের একেবারে চূড়ায় অবস্থান করছে বাড়ীটা। এসব বাড়ী তিনতালা। গ্রাউন্ড লেভেলের নীচে একতলা, যেটাকে বেসমেন্ট বলে উপরে রয়েছে আরেকতলা। প্রতিটি বাড়ীতে পানি বিদ্যুত এবং গ্যাস সংযোগ (অপশনাল) রয়েছে। গরমকালে শীতল হাওয়া এবং শীতকালে গরম হাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে একই সাথে গরম পানি ও ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের দেশের মত বিদ্যুত পানি এবং গ্যাসের আসা যাওয়া নেই (লোডশেডিং) সেটা এখানকার অধিবাসীদের কল্পনাতেও স্থান পায়না।
নামার পথে।
কিইইই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন।
হা হা হা পোষ্টবক্স এবং পতাকা পাহাড়া দেওয়ার জন্য দুটো ডগী দাড় করিয়ে দিয়েছে।
![:D](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_05.gif)
বাড়ীর পাশে সান্তাক্লজ উপহার দেওয়ার দেওয়ার জন্য এসে হাজির।
![;)](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_09.gif)
সান্তাক্লজ।
কঠিন ঠান্ডায় সংকোচিত হয়ে রাস্তা ফেটে যায় তারপরও ওগুলো অবহেলায় পড়ে থাকেনা সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা এসে বিটুমিন দিয়ে মেরামত করে যায় ফলে দাগ থাকলেও রাস্তা ফাটা নয়।
এই সবুজগুলি এখনও টিকে আছে।
ঘাসের উপর শিশির পড়েছিল সেগুলো এখন বরফ হয়ে গেছে।
নেমে যাচ্ছি তো যাচ্ছিই।
ফেলে আসা পথ।
গতকাল সন্ধ্যায় তাপমাত্রা ছিল ৩ ডিগ্রী তখন কুয়াশা পড়েছিল যা এখন তুষার হয়ে গেছে।
রাস্তার একপাশে সবুজ পাতায় রোদের ঝলক।
রাস্তার অপর পাশের দৃশ্য, পত্রপল্লব সব বিদায় নিয়েছে, বসন্তে আবার নুতনকুড়ি এসে সব ভরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রেখে, তারপরও মনে হচ্ছে যেন আকাশের ক্যানভাসে কোন শিল্পীর আঁকা ছবি ফুটে রয়েছে।
ঘাস মাঝে মাঝে চিকচিক করছে। শিশিরের আশায় ছবি তুললাম কিন্তু বরফের হীরকখন্ডে পেলাম আলোর ঝলকানি।
![:D](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_05.gif)
অনেক হয়েছে এবার ঘরের মানুষ ঘরে ফিরে যাই এক কাপ গরম কফির স্বাদ নেবার জন্য প্রানটা আইঢাই করছে।
![:)](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_03.gif)