উয়ারি-বটেশ্বরের নাম শুনেছিলাম তবে যাবো যাবো করেও যাওয়া হয়ে উঠছিল না। একদিন তিনজন মিলে তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে রওনা হলাম।
ঢাকা পূর্বাচলের ৩০০ ফুট চওড়া রাস্তা দিয়ে মসৃন গতিতে ফুরফুরে মন নিয়ে ছুটে চলছিলাম। কাঞ্চন ব্রীজে টোল দিয়ে ঢাকা বাইপাস রোড দিয়ে ভূলতার দিকে চলতে গিয়ে বারবার হোচট খেয়ে দমে যাচ্ছিলাম। ঢাকা বাইপাস সড়কটি চার লেন হওয়া দরকার ছিল। ব্যপারটা এমন ধরুন দুই নদীকে সংযোগ দিতে গিয়ে বাচ্চার হিসু করার মত পানি যাওয়ার নালা (রাস্তা) তৈরী করলে যে অবস্থা দাড়াবে সেরকম।
ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের গাড়ী গুলি দুই লেনের সরু বাইপাস রাস্তা দিয়ে গিয়ে আবার ঢাকা-উত্তরবঙ্গ, ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে পৌঁছাতে গেলে যে দুরবস্থায় পড়তে হয় সেখানে গিয়ে পড়লাম। আমাদের সামনে পিছনে বামে বিরাট বিরাট ১৮ চাকার ট্রেলার ১০ চাকার কভার্ড ভ্যান, ট্রাক এবং গোদের উপর বিষফোড়াঁর মত আর্টিকুলেটেড বিআরটিসি বাস(ডেমো ট্রেনের মত এগুলোও কিনেছিলো পকেট ভারী করার নায়কেরা এত লম্বা বাস টার্ন নেওয়ার মত যানজটের শহর ঢাকায় রাস্তা নেই)। এত গাড়ীর ভীড়ে আমরা হারিয়ে গিয়ে ভাবছি এত উঁচু উঁচু অবস্থান থেকে মহামান্য এবং শ্রদ্ধেয় ড্রাইভারগন আমাদের দেখতে পাচ্ছেন তো ?? দেখতে না পেলে তো ওনাদের চালিত দানবের নীচে আমরা পিঁপড়ের মত পিষে গেলেও ওনারা টের পেতে পেতে দেখা যাবে আমরা সৃষ্টি কর্তার দরবারে বেহেস্তে যাবার আবেদনপত্র নিয়ে লাইনে দাড়িয়ে আছি।
এই বাইপাসে জ্যামের আরেকটা বড় কারন হলো যাওয়া আসার গাড়ীগুলির টোল অফিস সড়কের দুই প্রান্তে না বসিয়ে একই প্রান্তে বসানো হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত উপরওয়ালার অসীম করুনায় আমরা ঢাকা-সিলেট রোডে পৌছে বামে মোড় নিয়ে সিলেটের দিকে রওনা দিলাম। মরজাল পৌঁছে বামে মোড় নিয়ে চললাম উয়ারি-বটেশ্বরের দিকে। পথে কিছুদুর গিয়েই পেলাম ছায়াবিথী সরনী । এত ঘন গাছপালা যে প্রখর রোদও পত্র-পল্লব ভেদ করে মা ধরনীকে স্পর্শ করতে পারছিলো না। ছায়ার মধ্যেই দেখলাম লটকনের অসংখ্য বাগান। এছাড়াও রাস্তার দুপাশে অনেক কলা-বাগান (ঢাকার কলাবাগান নয়) পেঁপে বাগান।
নরসিংদী বাংলাদেশের সব্জী উৎপাদনে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে কৃষিতে জিডিপিতে খুব ভাল অবদান রাখছে।
মাঝে মাঝে রৌদ্রকরোজ্জ্বল পথ পাড়ি দেওয়ার সময় দুপাশে সবুজ ধান ক্ষেতের বিস্তৃতি দেখে চক্ষু জুড়িয়ে যাচ্ছিলো।
এখানকার মাটি মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিলো লাল। মাটি সম্ভবত এঁটেল কারন যখন লোকালয় পাড়ি দিচ্ছিলাম তখন রাস্তার দু-পাশে প্রচুর মাটির ঘর দৃষ্টিগোচর হচ্ছিলো। একসময় পৌছে গেলাম উয়ারি-বটেশ্বরের পুরাকীর্তি স্থলে।
ফেরার সময়টা আর তেমন ঘটনাবহুল ছিলনা । ওখানে একটা ডাক-বাঙ্গলো ছিল কিন্তু আগে থেকে যোগাযোগ না করলে লাঞ্চ করার সুযোগ হয় না। ডাক-বাঙ্গলোর কেয়ারটেকার বললেন, "ফেরার পথে নরসিংদীর জেলখানার মোড়ে একটা হোটেল আছে বেশ ভাল।" আমরা গিয়ে আবিস্কার করলাম হোটেল মেজবান। বেশ ভালই মনে হলো, করলা ভাজি, ডাল, সব্জী, সহযোগে উদরপূর্তীতে বিপুল বিক্রমে ঝাপিয়ে পড়লাম । ওখানকার বাতাসী মাছের ঝোলের চমৎকার স্বাদ এখনও জীভে লেগে আছে।
আবার ও পথে গেলে নির্ঘাৎ হানা দেবো কুনু সন্দো নাইক্যা
উয়ারি-বটেশ্বর:
২০০৬ সালে শস্যক্ষেতের নালা কাটার সময় হঠাৎ স্থাপত্যটির ইট বেরিয়ে আসে। পরবর্তিতে ২০০৭,২০০৮,২০০৯ সালের প্রত্নতাত্ত্বিক খননে ৩২ফুট বাই ১৮ ফুট আয়তনের ইটের তৈরী স্থাপনাটির ভিতরের অংশ উন্মোচিত হয়। এটা ভুমিকম্পে ডেবে যাওয়া কোন নগরী নয় । মাটির নীচেই এই নগরী তৈরী হয়েছিল। অদ্ভুদ ব্যাপার হচ্ছে এই স্থাপনায় কোন দরজা জানালা নেই । মেঝে ২৮৮০ কিউবিক সেন্টিমিটার সাইজের ইট দিয়ে তৈরী। স্থাপত্যটি ধাপে ধাপে নীচের দিকে নেমে উল্টো পিরামিডের আকৃতি ধারন করেছে। কেন এবং কোন কৌশলে কাজটি করা হয়েছিল তা জানতে আরো খননের প্রয়োজন রয়েছে।
যতদূর ধারনা করা যায় প্রাগৈতিহাসিক সময়ে উয়ারি বটেশ্বর অঞ্চলে প্রথম মানব-বসতি আরম্ভ হয়েছিল।
এখানে তামা-প্রস্তর যুগের নিদর্শন হিসাবে গর্ত-বসতিও আবিস্কৃত হয়েছে। কার্বন-১৪ ডেটিং (রেডিওএক্টিভ কার্বন আইসোটপ পদ্ধতিতে) ফলাফলের ভিত্তিতে ধারনা পাওয়া যায় যে খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০ বৎসর আগে এই অঞ্চলে কোন মহা জনপদ গড়ে উঠেছিল এবং ৫০০ বৎসর আগে নগরায়ন হয়েছিল। এ অঞ্চল মৌর্য সাম্রাজ্যের অধীনেও ছিল। এখানে শুঙ্গ যুগের পোড়ামাটির যক্ষ পাওয়া গিয়েছে। বিষয়গুলো প্রাচীনত্বের নির্দেশক।
এ অঞ্চল সমতট বিধায় গুপ্ত শাসনের প্রভাব পড়েছিল কারন সমতট গুপ্তদের করদ রাজ্য ছিল।
গুপ্ত শাসকদের পরে এই অঞ্চল বিশেষ করে বাংলার পূর্ব-দক্ষিন দিকে স্বাধীন রাজ্য স্থাপিত হয়েছিল । এসময় রাঢ়,খড়গ,দেব,এবং চন্দ্রবংশের শাসনের প্রমান পাওয়া যায়। নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার আশ্রাফপুর থেকে ৮০০ খ্রিষ্টাব্দের খড়গবংশীয় শাসক দেবখড়গ-এর তাম্র-শাসনের (তামার পাতে খোদাই করা রাজা-আজ্ঞা) নমুনা পাওয়া গেছে। এই আজ্ঞানুসারে রাজা দেবখড়গ চারটি বিহারের জন্য ভূমি দান করেছিলেন।
সাম্প্রতিক প্রত্নতাত্ত্বিক খননে জানখারটেকে ২৪মিটার বাই ২৪ মিঃ একটি বৌদ্ধ বিহার আবিস্কৃত হয়েছে।
ধুপিরটেকে ১১মিঃ বাই ১১মিঃ ইটের তৈরী বৌদ্ধমন্দির পাওয়া গেছে। চাকবাড়ি আশ্রাফপুরে একটা ইট নির্মিত স্থাপনার আংশিক খনন করা হয়েছে ধারনা করা হচ্ছে এটাও রাজা দেবখড়গের তাম্রশাসনের একটি অংশ (বৌদ্ধ বিহার)। টঙ্গীরটেকেও চলমান প্রত্নতাত্ত্বিক খননে একটি অসাধারন বৌদ্ধ পদ্ম মন্দির আবিস্কৃত হয়েছে। (এই মন্দিরটি সংরক্ষনের মাধ্যমে বৌদ্ধ পদ্ম-মন্দির প্রত্নস্থান যাদুঘর তৈরী করা হয়েছে, এই ধরনের উন্মুক্ত যাদুঘর বাংলাদেশে এই প্রথম।) কার্বন ডেটিং অনুসারে এগুলো ৭৩০-৭৪০ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত।
উয়ারী বটেশ্বর ও সংলগ্ন ৫০টি প্রত্নপীঠ থেকে উপমহাদেশের প্রাচীনতম মুদ্রা ‘ছাপাঙ্কিত রূপারমুদ্রা’ ছাড়াও উত্তরাঞ্চলীয় কালো মসৃন মাটির পাত্র, রোলেটেড মৃতপাত্র (ঘূর্নায়মান পদ্ধতিতে তৈরী মাটির পাত্র) ধাতব নিদর্শন, স্বল্প মূল্যের পাথর, কাঁচের পুতি, পোড়ামাটি ও পাথরের শিল্পবস্তু এব বাটখারা ইত্যাদি আবিস্কৃত হয়েছে। (কিছু শিল্পকর্ম বেশ তাৎপর্যপূর্ন যেমন কুঠার দ্বারা শত্রু বিনাশ, কচ্ছপ দ্বারা দীর্ঘজীবন, এবং হাতী দ্বারা সার্বভৌমত্ব বুঝানো হয়েছে।)
নগরীতে পাকা রাস্তা পার্শ্বরাস্তা এবং ইট নির্মিত স্থাপনা একটি উন্নত নগর পরিকল্পনার পরিচয় বহন করে।
ধারনা করা হয় উয়ারী-বটেশ্বর একটি প্রাচীন জনপদের রাজধানী এবং একে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে একটি নগর সভ্যতা। বলা হচ্ছে উয়ারী-বটেশ্বরের সঙ্গে দক্ষিন-পূর্ব এশিয়া ও ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের বানিজ্যিক সম্পর্ক ছিল।
মনেকরা হয় এই এলাকাটি টলেমি বর্ণিত বানিজ্যিক কেন্দ্র সৌনাগড়া। ধারনা করা হয় গ্রিক সম্রাট আলেকজান্ডার গঙ্গা নদীর পূর্বতীরে যে পরাক্রমশালী গঙ্গাঝদ্ধ জাতির কথা শুনেছিলেন তা আজকের এই উয়ারী-বটেশ্বর।
২৩০০ বৎসরের প্রাচীন ৪০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ বিশ্ববিখ্যাত সিল্ক রুটের সঙ্গেও উয়ারী-বটেশ্বর যে সংযুক্ত ছিল নানা নিদর্শনগত প্রমানে তা উজ্জ্বল হয়ে উঠতে শুরু করেছে।
উয়ারী-বটেশ্বরে তাম্র-প্রস্তর সংস্কৃতির গর্ত-বসতিও আবিস্কৃত হয়েছে। মাটিতে গর্ত করে বসবাসের উপযোগী ঘরের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।
গর্ত বসতির দৈর্ঘ ২.৬০ মিটার প্রস্থ ২.২০ মিটার এবং গভীরতা ০.৫২ মিটার।
আদি লালমাটির (এই এলাকার মাটি লাল) উপর পুকুর বা বিলের নীচ থেকে সংগ্রহ করা সাদা বেলে দোআঁশ মাটি দিয়ে মেঝে লেপা হয়েছে।
মূল গর্তের ভিতর আরেকটি ২৭২ সেঃমিঃ পরিধির ৭৪ সেঃমি গর্ত পাওয়া গিয়েছে যার মেঝে চুন-সুরকি দিয়ে গঠিত । ধারনা করা হচ্ছে এটা একটা শস্যাগার।
গর্ত বসতির পাশে পাওয়া গেছে এটি কূপ নির্মানশৈলী অনুসারে এটি একটি ধাপ কূপ (Stepped well) ধাপ অংশে একটি খুটি পোতার গর্ত রয়েছে যেখানে একটা নারকেলের অংশ পাওয়া গেছে।
গর্ত বসতির পশ্চিম পার্শ্বে একটি ছাই ভর্তি চুলা পাওয়া গেছে যেটার মেঝেতে একটি পাথর রাখা ছিল সম্ভবত অতিরিক্ত তাপপাওয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা।
ভারতের মহারাষ্ট্রের ইমামগাঁও-এ প্রত্নতাত্ত্বিক খননে অসংখ্য গোলাকার,আয়তাকার,বর্গাকার গর্ত বসতির চিহ্ন আবিস্কৃত হয়েছে। গর্ত বসতির দেয়াল চুনকাম করা এবং নামার জন্য সিড়ি রয়েছে।
জাতিতাত্বিক গবেষনায় দেখা গেছে ইমামগাঁও-এ এখনো গর্ত-বসতির সংস্কৃতি রয়েছে।
ইমামগাঁও এর গর্ত-বসতির সময় কাল যীশুখ্রীষ্ট জন্মের ১৬০০-৭০০ ।
উয়ারী বটেশ্বরের Absolute Time নির্ধারন করা না গেলেও সংস্কৃতিক নিদর্শনানুসারে আপেক্ষিক সময় বিচারে এটা তাম্র-প্রস্তর যুগের সমসাময়িক। পশ্চিম বঙ্গের তাম্র-প্রস্তর যুগও ইমামগাঁওয়ের সমসাময়িক।
ইমামগাঁও-এ শুষ্ক ও উত্তপ্ত আবহাওয়ায় গর্ত-বসতির যৌক্তিকতা পাওয়া গেলেও উয়ারী-বটেশ্বরের মত বৃষ্টিবহুল ভাটি অঞ্চলে গর্ত-বসতি সংস্কৃতি বিরাট প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে কারন বৃষ্টি বা বন্যায় গর্ত-বসতি তলিয়ে যাওয়ার কথা বা পানি চুইয়ে ভেসে যাওয়ার কথা।
এ বিষয়ে যথাযথ গবেষণা হলে সেই সময়ের আবহাওয়ার প্রেক্ষিত উন্মোচিত হলে সঠিক কারন জানা যাবে।
নিকট অতীতের পরিবেশ বিষয়ে আমাদের জ্ঞান সীমিত হলেও একটি গবেষণায় দেখা গেছে খ্রীষ্টপূর্ব ১৫০০ শতকে বা তার কিছু আগে থেকে প্রায় ১০০০ শতক পর্যন্ত এই উপমহাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক ছিল এবং ইউরোপের ক্ষেত্রেও তাই ছিল।
১৯৩০ এর দশকে স্থানীয় স্কুল শিক্ষক হানীফ পাঠান প্রথম এই প্রত্নপীঠটি সুধী-সমাজের দৃষ্টি গোচরে আনেন। পরবর্তিকালে ওনার পুত্র জনাব হাবিবুল্লা পাঠান জায়গাটির গুরুত্ব তুলে ধরে গবেষনা ও লেখালেখি অব্যাহত রাখেন।
২০০০ সাল থেকে সুফি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে “ঐতিহ্য অন্বেষণ” এর ব্যবস্থাপনায় প্রত্নতাত্ত্বিক খনন চলমান রয়েছে।
হানিফ পাঠানের পুত্র জনাব হাবিবুল্লাহ পাঠান
কিছু টাইলসের ছবি সময়াভাবে এগুলোর উৎস সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়ে উঠেনি।
গবেষক ঐতিহ্য অন্বেষণ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষনায় অংশগ্রহন করছে।
সহৃদয় ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ সরকারের সীমিত আর্থিক সহায়তা এবং স্থানীয় জনগনের সহযোগীতায় খনন ও গবেষনার কাজ এগিয়ে চলছে।
(আমি মনে করি, অনেক ধারনা, অনেক মনেকরা হয়, কে অনুসন্ধান ও গবেষনার মাধ্যমে সত্য প্রতিষ্ঠা করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে, ছাত্র ছাত্রীদের জ্ঞান অর্জনের সুযোগও রয়েছে তবে এক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ,অর্থ সংকটই প্রধান প্রতিবন্ধক বলে প্রতীয়মান হচ্ছে )
একটি তথ্যঃ নরসিংদীর পাঁচদোনায় অবস্থিত পবিত্র কোরান শরিফের বাংলা অনুবাদক ভাই গিরিশচন্দ্র সেনের বাড়ীটি প্রত্নতাত্ত্বিক সংরক্ষনের মাধ্যমে ভাই গিরিশচন্দ্র সেন যাদুঘরে রূপান্তর করা হয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ ঐতিহ্য অন্বেষণ এবং বাংলাদেশ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়। কিছু তথ্য গুগল থেকে সংগৃহীত।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১০