এক সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসে ঝিমোতে ঝিমোতে জানালা দিয়ে দিয়ে তাকিয়ে দেখি ইনিও ঝিমোচ্ছেন। এরপর থেকেই ভালোলাগা এবং বন্ধুত্ব
মুরগী খাওয়ার পরে হাড়গোড় থাকলে রেখে দিতাম। আমার কলিগরাও রাখতো। বলতো, "তোমার বন্ধুরে দিও।" এরপর থেকে ওর নাম হয়ে যায় আমার বন্ধু।
আমার বন্ধু খুবই সুন্দর। চোখের দুপাশে দুটো দাগ পিছনে চলে গিয়েছে। দেখতে খুবই ভালো দেখায়। সেদিন হঠাৎ জানতে ইচ্ছে হলো, ওকি ছেলে নাকি মেয়ে। ছেলে বিড়াল গুলো নাকি লুলগিরি করে বেড়ায়, আর মেয়ে বিড়াল গুলো খালি ঢং দেখায়
এই কৃষ্ণ ভদ্রলোককে আবার বাসার সামনের চেয়ে পিছনে রান্না ঘরের দিকেই বেশী দেখা যায়। আমার মনে হয়, সব কালো বিড়ালই এরকম ছ্যাঁচড়া টাইপ হয়
একদিন দেখি, এই লাল বিড়ালীটি (যেহেতু ঢং করছিল, তাই বিড়ালীই হবে) আমার বন্ধুর সামনে এসে অনেকক্ষণ মেকি কান্নার সুরে প্রেম নিবেদন করছে
এবার অফিসের গল্প। অফিসের গেটের পাশে এই বিড়ালটিকে সেই প্রথমদিন থেকেই বসে থাকতে দেখছি। আমার কলিগরা যখন পাশ দিয়ে যায়, বিড়ালটি তখন খামচি দিয়ে প্যান্ট ধরার চেষ্টা করে।
অফিসে অনেক গুলো বিড়াল আছে। একবার একসাথে মোট ৬টা গুণেছিলাম। বিড়ালগুলো আমাদের কোম্পানীর জনৈক জাপানী উর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্নেহ, মমতা, আদর আর ভালোবাসায় মানুষ হচ্ছে
আমার দুই কলিগ বিড়ালগুলোর উপর মহাক্ষ্যাপা। সুযোগ পেলেই কোনটার লেজে পাড়া দেয় অথবা জুতো দিয়ে ওদের মাথায় হালকা ধাক্কা দেয়
মাঝে মাঝে ওদেরকে বেশ মজার ভংগিতেও দেখা যায়
একবার দেখি অফিসে অনেক কিউট দুটো বিড়াল ছানা (এটি বেশ কয়েকমাস আগের ঘটনা)
তবে কয়েকদিন পরেই ছানাদুটি হাওয়া হয়ে গেল
সবচেয়ে ছোট আকৃতির বিড়ালছানা দেখেছিলাম কান্দান বাজারে গিয়ে। সাদাকালো ছানাটির অভিভাবক হিসেবে একটি কালো রঙের বিড়াল ছিল। তবে চর্মরোগে আক্রান্ত ছিল বলে ছানাটিকে খুব একটা কিউট লাগেনি :-< ।
এবার বড়দিনের ছুটিতে আমাদের সেই জাপানী কর্মকর্তা ছুটি কাটাতে জাপানে গিয়েছিলেন। তখন এইটাকে একা পেয়ে আমার কলিগ খুব খুশী (অনেকটা আজকে তোরে পাইছি, খাইয়ালামু টাইপ)
অবশেষে সেই নতুন অতিথির আগমন। লোমগুলো খাড়া খাড়া, অনেকটা সজারুর মত
আবার ঘরের গল্প বলে বিদায় নিচ্ছি। কৃষ্ণ কুমারের সাথে আমার বন্ধুর যে ভালো বন্ধুত্ব আছে, তা এই কিছুদিন আগে টের পেলাম। দেখি দুজনে মিলে খুব সুন্দর গল্প করছে
বিদ্র: সবগুলো ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরায় তোলা

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


