বিয়েতে নারীর অনাগ্রহ যে কারণে শিরোনামে একটি নিউজ। প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা। কি কি কারণে বর্তমান প্রজন্মের নারীরা বিয়ের কথা শুনলেই নাক সিটকান তা দেখানো উদ্দেশ্য! খবরটি এমন ভাবে প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে মনে হবে বিয়ে না করা অনেক ভাল। বিয়ে মানেই বিশাল ক্ষতি। বিষয়টি তাদের দৃষ্টিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তাই তাদের অনলাইন এডিশনে খবরটি স্ক্রলিং করে সারাদিন দেখানো হয়েছিল।
কেন বিয়ে করছেন না?
১। স্বাধীনচেতা নারীর জন্য বিয়ে নয়।
২। ঘরকুনো হয়ে থাকতে চান না। তাই বিয়েও করতে চান না।
৩। মা-বাবার মধ্যেকার সম্পর্ক খারাপ, তাই আমারও বিয়ের দরকার নেই।
৪। বিয়ে করলে বিচ্ছেদ হয়, তাই বিয়েই নয়!
৫। সংসার বা সন্তানের দায়িত্ব নিতে হয়, তাই বিয়ে নয়!
৬। বিয়ে সময়, শক্তি ও অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়, তাই কোনো দিনই বিয়ে নয়।
প্রথম আলো দেখিয়েছে উপরের ছয়টি কারণে নাকি নারীরা বিয়ের প্রতি আগ্রহী নয় এবং এক্ষেত্রে মাত্র দু'জন নারী ও একজন মনস্তাত্ত্বিক গবেষকের মতামত দেয়া হয়েছে। খবরটি পড়লে মনে হবে বর্তমান প্রজন্মের অধিকাংশ নারী বিয়ে বিরোধী। বিয়ের চেয়ে ক্ষতিকর বিষয় নারীর জন্য আর কিছুই নেই। অবশ্য নিউজের এক জায়গায় বলেছে, "আবার উল্টো চিত্রও কিন্তু আছে। কোনো কোনো নারী কিন্তু আবার বিয়ের জন্য পাগলও।" খেয়াল করুন কোন কোন নারী, অধিকাংশ নারী নয়। অর্থাৎ অধিকাংশ নারী বিয়ে বিরোধী। আবার কোন কোন নারী কেন বিয়ের পক্ষে তার স্বপক্ষে কারো মতামত বা কারণও দেয়া হয়নি।
সমাজ ও মানবজীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কয়েকজন বিয়ে বিরোধী নারীর মতামতের উপর ভিত্তি করে প্রচার করে কি বুঝানো হলো? আর এ খবরটি বাংলাদেশের জন্যও কতটুকু উপযোগী? প্রথম আলোর মতো দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা অজানা কোন ওয়েবসাইটকে সূত্র হিসেবে দেখিয়ে খবরটি প্রচার করার কি উদ্দেশ্য? বাংলাদেশের নারীদের বিয়ে বিরোধী করার উদ্দেশ্য কি এসব প্রচার করা হচ্ছে?
তাহলে কি নারীর বিয়ের প্রয়োজন নেই? বিয়ের বিপক্ষে যে কারণ গুলো দেখানো হয়েছে তার কি আসলে কোন ভিত্তি আছে? বিয়ের বিরুদ্ধে বলার জন্য এসব কোন কারণ হতে পারে? বিয়ের পক্ষে বলার মতো কোন কিছু নেই? তাই বিয়ের পক্ষে বলার মতো কোন নারীকে পাওয়া যায়নি? বিয়ে প্রথা তুলে দিয়ে নারীকে অবাধ ও বেপরোয়া যৌনাচারের দিকে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে?
আগের পোস্ট- ওহ, অবাধ যত্রতত্র যৌনতা তাহলে স্বাভাবিক বিষয়?!