ইনফ্যাক্ট আমি চাই-ই না, ওরা এই জগতে আসুক। তার চেয়ে আমার বড় মেয়ে বিয়ে করতে চাইলে, তাও আমার কাছে প্রিয় হবে।”
নিজের মেয়েদের সিনেমা জগতে আসা নিয়ে উপমহাদেশের রঙ্গিন জগত কাঁপানো শ্রীদেবীর কঠিন মনোভাব ও সিদ্ধান্ত।
খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার। শ্রীদেবী যে পথে দুনিয়া জোড়া খ্যাতি অর্জন করেছেন, ধনী হয়েছেন, জীবনকে উপভোগ করেছেন, সে শ্রীদেবী নিজের মেয়েদের ওই পথে আনতে চান ন। এমনকি ১৫ বছর বয়সী তার বড় মেয়ে জাহ্নবী পড়ালেখা করা অবস্থায় বিয়ে করে সংসার জীবনে পদার্পন করুক তাও মা হিসেবে শ্রীদেবী পছন্দ করেন। কিন্তু সিনেমা জগতে পদার্পন, অবশ্যই না। শ্রীদেবীর কথা, তার মেয়েরা পড়ালেখা করুক, ভিন্ন পেশায় জীবন গড়ুক। শ্রীদেবী শুধু সিনেমার ব্যাপারে মেয়েদের নিরুৎসাহিত করেন তা নয়, কোনো ফিল্মি পার্টিতেও নিয়ে যান না!
এই অনুভূতি-রিয়েলাইজেশানের গুরুত্ব অনেক। সেটা যেমন এক দিকে দুনিয়া শ্রেষ্ঠ এক অভিনেত্রীর অনুভূতি তেমনি এক স্নেহময়ী মায়ের অনুভূতি। এখান থেকে শিক্ষা নেয়ার আছে তাদের যারা শ্রীদেবীদের নানা আঙ্গিকে-ভঙ্গিতে রূপ-যৌবন-প্রেমের অভিনয় দেখে নিজেদের জীবনকে বিপন্ন করেছে বা করছে। শ্রীদেবীর চেয়ে বড় অভিনেত্রী এদেশের কেউ হতে পারবেনা। কিন্তু সেই শ্রীদেবীর অনুভূতি যদি এই হয় তাহলে বাংলাদেশের যারা সুন্দরী প্রতিযোগীতার নামে বিভিন্ন ভাবে মেয়েদের ওই পথে যাওয়ার জন্য উৎসাহী করে তুলছে তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে ভাবা উচিত।
শ্রীদেবী বুঝতে পেরেছেন কারণ তিনি নিজে ওই দুনিয়ার রং-মাখা ক্যামেরার পিছনে যে রং-হীন কঠোর বাস্তব আছে তার মুখোমুখি হয়েছেন, তার ছোঁয়া নিজের মেয়েদের গায়ে লাগুক তা তিনি একেবারেই চান না।
কারণ রিল-রিয়ালের পার্থক্যটা যে তিনি ভালোভাবেই বোঝেন...
রিলেটেড পোস্ট- আদৃতা, আর কি হারানোর পর তোমরা সচেতন হবে?
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৪৬