আঘাত প্রাপ্ত মনের ঘুমেই একমাত্র ওষুধ। তাই ভাবছে ছায়াবাজ। কিন্তু ঘুমকে নিমন্ত্রণ করে আনাও যাচ্ছে না । মাথার মাঝে বিভিন্ন ধরনের বিষণ্ণতা কড়া দিয়ে যাচ্ছে। ইদানিং যতটুকু ঘুমানোর প্রয়োজন তা মনেহয় হচ্ছে না। কিছু গবেষকদের গবেষণায় দেখা গেছে ঘুম মানুষের স্মৃতিশক্তিকে অনেক বেশী শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করে। কিন্তু সঠিকসময়ে ঘুম না আসার কারণে মানুষের স্মৃতিশক্তিকে অনেক সময় এলোমেলো করে তোলছে। আর সেই সুযোগে মাথায় চিন্তা ডুকে যায়। চিন্তামুক্ত থাকার উপায় খুঁজতে যাওয়াও একটি চিন্তা।
দূরে দেখাযাচ্ছে একটি লোক ছায়াবাজে দিকে আসছে, লোকটি ছায়াবাজের বন্ধু যদিও ছায়বাজে চেয়ে বয়সে অনেক বড়। বড় হলেও ঘনিষ্ঠ বন্ধু, আর বন্ধু হচ্ছে দুঃখ-কষ্টের সঙ্গী। ছায়বাজের বন্ধুর ডাকনাম চৈতা পাগল তার সুন্দর একটি নামও রয়েছে মোঃ রুহুলা হেলাল বিল্লা খান(চৈতা পাগল) নাম শুনে বুঝাযায়, নামটি অনেক বড়। কাউকে যদি একবার নামটি তাড়া-হুরা করে বলা হয় তাহলে কেউ সহজে নামটি মনে রাখতে পারবেনা। নাম নিয়ে আছে বিপদে।
চৈতা পাগলে নামরে পিচনে রহস্যরয়েছে। চৈতা পাগলের পান খাওয়ার অভ্যাস আছে। যারা অত্যাধিক পান খেতে অভ্যস্ত তার পান ছাড়া একটি ঘন্টা কাটানো তাদের জন্য খুব মুশকিল হয়ে পড়ে। চৈতা পাগল কিছুদিন সৌদী আরবে ছিল কিন্তু পানের নেশা তাকে বিদেশ থেকে দেশে আসতে হয়েছে। নেশা মানুষকে পশু বানায়।অনেকই বলে আমাদের দেশের আলেমগন নাকি পান খাওয়াকে জায়েয মনে করেন। কিন্তু আরব দেশের আলেমগন পান খাওয়াকে হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছেন। চৈতা পাগল মনে করে বাঙ্গালীর ঐতিহ্য মাঝে পানও রয়েছে। পান পাতা স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে হে ক্ষতিকর তখনই হবে যদি কেউ পান পাতায় ফরমালিন মিশিয়ে রাখে। মাঝে মাঝে পত্রিকায় দেখাযায় পানে ফরমালিন দেয়া হচ্ছে। চৈতা পাগল ছায়বাজকে বলছে বন্ধু চলো পান খাই
- না ভাই, আমার পান খাওয়া অভ্যাস নাই।
- আরে ভাই পান খাওয়ার অভ্যাস লাগে না। আর মাঝে মাঝে পান খেলে ক্ষতি হবে না। তুমি তো আর আরব দেশে যাবে না, যে পান খাওয়ার কারণে বিদেশ থেকে দেশে ফিরতে হবে।
- পান খাওয়ার সৌন্দর্য নারীদের বানায় পুরুষদের না। নারীরা পান খেয়ে তাদের ঠোঁট রাঙায়। আমাদের দেশের নারীরা যদি পান খেতো তাহলে দেশে অনেক উন্নতি হতো।
- নারীরা খাবে পান আর দেশের হবে উন্নতি ঠিক বুঝলামনা ছায়াবাজ ?
- না বুঝারি কথা, আপনার বয়স আমার চেয়ে অনেক বেশি তাই সহজে কিছু ঢুকেনা।
- ঠিক আছে তুমি একটু বুঝিয়ে বলো শুনি।
- কিছু কিছু নারী আছে তাদের ঠোঁট রাঙানোর জন্য বিদেশি ব্র্যান্ডের লিপস্টিক বেশি পছন্দ করেন। তাঁরা যদি দেশের কথা ভেবে বিদেশি ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ব্যবহার না করে পান খাওয়া শুরু করে দেশের অনেক উন্নতি হবে।
- ছায়বাজ আসলেই তোমার মাঝে দেশপ্রেম আছে। ঠিক আছে চলো পানের দোকানে যাই।
ছায়াবাজ ও চৈতা পাগল দু’জনে চলছে পান দোকানের সন্ধানে কিছুক্ষন হাঁটার পর পান দোকান পেয়েগেলো। ছায়বাজ মনেমনে ভাবছে পান খাওয়ার প্রভাবে দাঁত লাল হয়ে যাবে। আর যদি পান খাওয়া অভ্যাস হয়ে যায় তাঁহলে অল্প বয়সে মাড়ি থেকে দাঁত আলাদা হয়ে যাবে দাঁত না-থাকা মানে বুড়ো হয়ে যাওয়া। কোন এক জ্ঞানী মানুষ বলেছিলো যে বাঙ্গালী দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বুঝলনা। আমি আমার দাঁতে মর্যাদা দিতে চাই। আমি আজকেই পান খাবো আর খাবেনা। চৈতা পাগল ছায়াবাজকে জিজ্ঞাসা করলো ছায়বাজ তুমি মনে হয় কিছু ভাবছো ? জী ভাই, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি কিন্তু আজই পান খাবো আর কোন সময় আমাকে পান খাওয়া অনুরোধ করবেনা। কারণ আমি আমার বয়স হারিয়ে বুড়ো মানুষ হতে চাইনা। ছায়াবাজ তোমার কথা শুনে শিয়াল পন্ডিতে কথা মনেপড়ে গেলো।
একদিন একশিয়াল জঙ্গলের মাঝে একা একা যাচ্ছে হঠাৎ দেখে এক হাতির বিশাল বড় লেদা. লেদা মানে(পায়খানা বা গু) শিয়াল ভাবলো এখন থেকে সেও হাতির মতো লেদা দিবে, সেই কিছুক্ষনপর চিন্তু করে দেখে না এ-হয়না হাতি আমার ছেয়ে অনেক বড় তাঁর সাথে পাল্লা দেওয়া ঠিকনা। তাঁর সামনে একটি গাবগাছ গাবগাছের নিচে পাকা-পাকা অনেক গাব পড়ে আছে, শিয়াল ইচ্ছেমত পাকা গাব খাওয়া শুরু করলো। গাব খাওয়ার কারণে পরের দিন শিয়াল পন্ডিতের পায়খানা বন্ধ হয়েগেলে। শিয়াল পন্ডিত কাঁদছে কাঁদতে বলছে-
‘’আর গাব খাবোনা’’
‘’আর গাব খাবোনা’’
হঠাৎ শিয়ালে পায়খান হয়েগেলো। পায়খানা হওয়া পরপর বলছে
‘’গাব না-খেলে খাবো কি. গাবের মত স্বাদ কি’’
‘’গাব না-খেলে খাবো কি. গাবের মত স্বাদ কি’’
তোমার কথা শুনে বুঝাযাচ্ছে তুমিও শিয়াল পন্ডিতের মতো চিন্তা পরেছো। আগে খাও তাঁরপর না-হয় দেখাযাবে। ছায়াবাজ পান দোকানধারকে বলো
- ভাই, দুটি পান দেন।
- কি পান দিবো নাম বলেন।
- আপনার এখানে কি ধরনের পান আছে ?
- ভালবাসার পান, হানিমুন পান,কাশ্মীরি পান, জামাই-বউ পান, প্রেমিক-প্রেমিকা পান,শাহি পান।
- ঠিক আছে আর নাম বলতে হবেনা। মিষ্টি মসলা মিশিয়ে দুটি পান দেন।
- এই ধরেন দুটিপান।
- দোকানধার ভাই আমার পানে মিষ্টি মসলা কম হয়েছে। আরেকটু মিষ্টি মসলা দেন।
- ভাই, মাফকরবে, মিষ্টি মসলার দাম অনেক বাড়ছে আর দেওয়া যাবেনা।
- কেনো ভাই আপনি তো-আর আমাকে বিনা টাকায় দিচ্ছে না, যে আপনার কাছে থেকে ভিক্ষা নেবো। নগত টাকায় পান ক্রয় করছি। দেখুন, আমার পানে মাঝে একটু মিষ্টি মসলা বেশি লাগে।
- এতই যখন পানে মাঝে মিষ্টি লাগে তাহলে সাথে চিনি রাখবে, মিষ্টি কম হলে চিনি মিশিয়ে নিবেন। দেখবে পান মিষ্টি হয়ে গেছে
- আরে ভাই, আমি মিষ্টি রাখি আর ঝাল রাখি একটা আমার বিষয় আপনার জ্ঞান দিতে হবেনা। আপনি-তো পানে সাথে চুন দিবেন , আমার চুন লাগবেনা তার বিনিময় মিষ্টি মসলা দেন।
- আমি পানে সাথে চুন ফ্রী দেই, আপনার ইচ্ছে হলে ফ্রী চুন নিতেও পারেন নাও নিতে পারেন।
- হু । মানুষ মারা জিনিস ফ্রী, ভালোই-তো। চুন পিত্তথলিতে পাথর তৈরীতে সহায়তা করে। তাই পাবলিক মারা কারখানা। ঠিক আছে মসলা লাগবেনা।.........
আজকের মত এখানে বিরতি।