চোখ বন্ধ করার পর চারিপাশে শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার। আর সেই অন্ধকারে যদি বৈদ্যুতিক বাতি হাজার ওয়াটের জ্বালিয়ে রাখা হয় বা সূর্যকেও সামনে রাখা হয়। তাহলে বৈদ্যুতিক আলো বা সূর্যের প্রখর তাপে ঝলসে যাবে দেহ। তারপরও আলোর দেখা মিলবে না। আমি মাঝে মাঝে আমার চোখদুটি বন্ধকরে দেখি অন্ধ মানুষেরা কিভাবে দেখতে পায়। আসলে অন্ধাকার জীবন খুবই কষ্টর। মানুষের দেহের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ তা চোখ আমি আমার চোখের আলো হারাতে চাই না।
তাই আমি যখন আমার চোখ দেখানোর জন্য ডাক্তারে কাছে যাই ডাক্তার আমার চোখের ভেতরে যে আরও দুটি চোখ আছে সেই ঝাপসা ঝাপসা ছোট ছোট চোখদুটিকে অনেকই বলে মিরর আইস অথবা আয়না চোখ। ডাক্তার সাহেব ছোট একটি লাইট দিয়ে আমার চোখদুটি দেখছেন। আমি মনেমনে ভাবছি এমন মুহূর্ত মানুষের জীবনে খুব কমেই আসে। মুহূর্তটি খুব ভালোই ছিলো যদিও আমার আম্মা আমাদের পাশের চেয়ারে বসে আছেন এক কঠিন মানসিক যন্ত্রণায় কাতর হয়ে। না-জানি আমার চোখে কি হয়েছে।
তবে মজার বিষয় হচ্ছে যদি কেউ ঠিক ভাবে মিরর আইস অথবা আয়না চোখেরদিকে তাকাতে পারে তাহলে তার অন্তর ও দেখতে পারবে। চোখে চোখ রাখা এমন রোম্যান্টি দৃশ্য মানুষ সবসময় দেখতে পারে না। তাছাড়া মানুষের মাঝেও মিরর আইস সহজেও ধরা দেয় না। সে যাইহোক. ডাক্তার সাহেব আমার চোখের রিফ্রেস ও ধুলাবালি রক্ষাকরার জন্য একটি ড্রোপ দেন। যখন আমি চোখে ড্রোপটি আমার চোখে দেই তখন চোখ থেকে পানিও ড্রোপ মিশ্রিত হয়ে গড়িয়ে পরে।
তখন যদি কেউ আমার চোখেদিকে থাকিয়ে থাকে তখন বুঝতে পারবে মানুষ কিভাবে চুপ করে কাঁদে, যদিও আমি সত্যিকারে কাঁদিনা। তবে কাঁন্না নিয়ে প্রবাদ আছে কাঁন্না খুব পবিত্র জিনিস পবিত্র যে কাঁন্না তা অনেকই মেনেনিতেও চায়না। কারণ কিছু কিছু মানুষ রয়েছে লোক দেখানোর জন্য ছলনার নেকামি কান্নার আশ্রয় নিয়ে থাকে।