প্রতিটি মানুষ জীবনে প্রেম করে। কেউ ব্যর্থ হয় কেউ হয় না। বিয়ে করে ৪০/৫০ বছরের দাম্পত্য জীবন কাটানোর পর প্রকৃতির নিয়মে ই একদা জীবনাবসান ঘটে । এটাই জীবন চক্র।এখানে কথা হল যে লোকটির সাথে মানুষ সারাটা জীবন কাটায় তাকে পরিপূর্ণ ভাবে হয়ত কেউ ভালবাসে কেউ বাসেনা কিন্তু না বাসলেও ও একসাথে থাকে । মানে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখে। সেটা উভয়ের তরফ থেকে ই আত্মকেন্দ্রিক মানে নিজ নিজ স্বার্থে টিকিয়ে রাখে।কেউ রাখে জৈবিক ও সন্তানের প্রয়োজনে, আবার কেউ রাখে নিজের সামাজিক নিরাপত্তার স্বার্থে।
:
৯০% জীবন প্রেমহীন ভাবে কেটে যায়। সবাই জীবনের প্রথম প্রেমটিকে আমৃত্যু মনে রাখে লালন করে। সুখ সৃতি কল্পনা করে পুলকিত হয়।সে টা নিখাদ প্রেম। সে প্রেমে কোন ছলনা নেই। হয়ত সে প্রেম ও কলঙ্কিত হয়ে পড়ত যদি মিলন ঘটত । এখানে আমার অনুভুতি ভুল ও হতে পারে। আর সে ই এই মতামত কে ভুল দাবী করতে পারে যে স্বামীর কিংবা স্ত্রীর একজন কিডনি বিকলে মৃত্যু শয্যায় একজনের কিডনি দিয়ে অপরজনকে বাচাতে নির্দ্বিধায় এগিয়ে আসবে । যদিও সে জানে এতে তাঁর আপন জীবিন ও শঙ্কায় পড়ে যাবে। তবুও এই ভাববে যে "আমার আয়ু কমে গিয়েও যদি তাঁর আরও কিছুদিন সঙ্গ পাই, তবে জীবনের বা বেচে থাকার স্বারথকতা" । এই প্রেমের পারসেনটেজ টা কত?
:
মানুষ ভালবাসে । বিনিময়ে ভালবাসা কামনা করে। তাই সংসার করে। কেউ সত্যিকারের ভালবাসা পায়, কেউ পায়না। যে পায়না সারা জীবনে সে জানতে ও পারেনা যে সে পায়নি। তাতে সংসার হয়ত চলে, জীবন ও কেটে যায়।জিবনের পরিপূর্ণতার পনেরো আনা ই বাকী থেকে যায়। বেচে থাকার প্রকৃত মানে কিংবা জীবনের উদ্দ্যেশ্য ই তাঁর অজানা থেকে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৩