সুন্দর ! তুমি কি হে ? কি তোমার আকার ? কি তোমার স্বরূপ ? সে কি বাইরের চাকচিক্যময় জৌলুস ? সুশ্রুমন্ডিত আকর্ষণীয় রূপ ?এই যদি হয় তোমার বৈশিষ্ট্য তবে সে তো ক্ষণস্থায়ী পদ্মপত্রের টলমলে জল স্বরূপ।
মানতে পারিনা আমি সুন্দরের এই স্বল্পায়ু জীবন। যাকে উপভোগ করার আগে ই তার বার্ধক্য এসে ভবলীলা সাঙ্গ হয়ে যায়। সুন্দর হবে অম্লান অক্ষয়, দীর্ঘস্থায়ী।
কে যে তুমি হে সুন্দর? তুমি কি সেই ধীরলয়ে বয়ে চলা ঝর্নার জলরাশি ? রূপের স্থায়িত্ব আছে, ক্ষণে ক্ষণে কলকল ধ্বনি আবার শান্ত শীতল লহরী। সে ফুটে উঠে আপন গুনে, আপন মহিমায় হয়ে উঠে উদ্ভাসিত।
তুমি কি যে হে সুন্দর? তুমি কি সেই ? যার হৃদয়ের কষ্টি পাথরের স্পর্শে সোনা হয়ে উঠে সকল নিরেট ধাতুকুল ।
চিনেছি গো তোমায় আজ,নিজে কালো দস্তাখন্ড থেকে ঝলমলে সোনায় রূপান্তরিত হয়ে চিনেছি তোমায়। তোমার তো বাহ্যিক কোন রূপ ই নেই,নিরেট কাল প্রস্তরখণ্ড বিশেষ। কিভাবে চিনিবে তোমায় সকল ধাতুকুল ? চলার পথে ঝরাপাতার নীচে মাড়িয়ে চলা ধুলিতলে লুটানো এ যে অমূল্য রতন তা কে ই বা জানতো।।