somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বান্দরবন ভ্রমণ – নীলগিরি

৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২৫ জানুয়ারি রওনা হয়ে ২৬ তারিখ সকালে পৌছাই খাগড়াছড়ি। একটি মাহেন্দ্রা গাড়ি রিজার্ভ করে নিয়ে সারা দিনের জন্য বেরিয়ে পড়ি খাগড়াছড়ি ভ্রমণে। একে একে দেখে ফেলি “আলুটিলা গুহা”, “রিছাং ঝর্ণা”, “শতবর্ষী বটবৃক্ষ” আর “ঝুলন্ত সেতু”।

পরদিন ২৭ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি থেকে রাঙ্গামাটির দিকে রওনা হই একটি চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করে। পথে থেমে দেখে নিই “অপরাজিতা বৌদ্ধ বিহার”। ২৭ তারিখ দুপুরের পরে পৌছাই রাঙ্গামাটি। বিকেল আর সন্ধ্যাটা কাটে বোটে করে কাপ্তাই লেক দিয়ে “সুভলং ঝর্ণা” ঘুরে। ২৮ তারিখ সকাল থেকে একে একে দেখে এলাম ঝুলন্ত সেতু, রাজবাড়ি ও রাজবন বিহার। দুপুরের পরে বাসে করে রওনা হয়ে যাই রাঙ্গামাটি থেকে বান্দারবানের উদ্দেশ্যে।

বান্দরবনে পৌছতে পৌছতে রাত হয়ে যায়। দুই একটি হোটেল আগে থেকেই জানা আছে, কিন্তু সেগুলিতে পছন্দ মত রুম না মিলাতে চলে আসলাম ট্রাফিক মোড়ের কাছে হোটেল “ফোরস্টার”রে। স্বপ্নের ভাগ্যে এবারও কাপল বেড, এবং সবচেয়ে ভালো রুমটা।

রাতের খাওয়া বাকি এখনও। রাজার মাঠের পাশেই আছে চেনা রেস্টুরেন্ট “রি-স্বং সং”। বান্দরবনে আসলেই এখানে খাওয়া দাওয়া করি আমরা। ফ্রেশ হয়ে চলে যাই সেখানে।





রাতের খাবারের পার্ট শেষে রাতের আড্ডা শুরু হয় স্বপনের রুমে। আগামী কালের ট্যুর প্লান নিয়ে আলোচনার পরে ঠিক হয়, সকালের নাস্তা সেরে জিপ নিয়ে যাব নীলগিরি। সেখান থেকে ফেরার পথে চিম্বুক হয়ে থামবো শৈল প্রপাতে। সব ঘুরে বান্দরবন ফিরে দুপুরের খাবার শেষে বিকেলে যাব নীলাচল, সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকব সেখানে, দেখব সূর্যাস্ত।


২৯ তারিখ সকাল, নাস্তা সেরে গত রাতের প্লান মাফিক চলে আসি জিপ ষ্টেশনে। অনেক দরদাম করে (মনে নাই) টাকায় একটি জিপ ঠিক করি নীলগিরি আর শৈলপ্রপাত যাওয়ার জন্য।




শহর ছেড়ে বের হতেই শুরু হয় পাহাড়ি উঁচুনিচু পথ। অনেক বার গিয়েছি এই পথে তবুও পুরনো হয় না। সব সময় তার সেই পুরনো মায়াতেই টানে।




পাহাড়ি পথ আর পথের ধানের পাহাড়ি বসতির বিচিত্র জীবন যাপনে সাক্ষী হয়ে ছুটে চলে আমাদের গাড়ি। পাহাড়ের মাঝ দিয়ে নদীর মতো একে বেকে চলেছে পথ আর পাহারের নিচ দিয়ে পথের মতো একে বেকে বয়ে চলেছে, পাহাড়ি নদী।




পথে দু যায়গায় থামতে হয়। একটি পুলিশ চেকপোস্ট, অন্যটি আর্মি চেকপোস্ট। পুলিশ চেক পোস্টে টুরিস্টদের নামতে হয় না কিন্তু আর্মি চেক পোস্টে নেমে নাম ঠিকানা ফোন নাম্বার দিয়ে আসতে হয়। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এখানে অবশ্যই সবাই সঠিক তথ্য দিবেন, এগুলি হয় তো আপনারই কাজে লাগবে যদি কোন সমস্যা বা দুর্ঘটনা ঘটে।


পুলিশ চেকপোস্টের সামনে আমাদের জিপ


ঘণ্টা দেড়েকের জার্নি শেষে আমরা পৌছাই আমাদের প্রথম গন্তব্য “নীলগিরি”। ঝাঁঝাঁ রোদ্দুর চার ধারে, চকচকে রদ উঠেছে। গাড়ি থেকে নেমে কিছুটা চড়াই টপকে উঠে যাই ভিউ পয়েন্টের ছাউনির নিচে।









বেশকয়েকটা ভিউ পয়েন্ট আছে এখানে। সেগুলি হেঁটে হেঁটে দেখি আর সেই সাথে চলে ক্লিক-ক্লিক ক্যামেরার কাজ। ক্যামেরার চোখে আপনারাও দেখুন শীতের নীলগিরি।


এই ধরনের একটা যায়গায় থাকতে গেলে আপনার পকেটের জোড় থাকতে হবে।



নীলগিরি হেলিপ্যাড



একেলা



বসবেন নাকি একটু!



ভিউপয়েন্টে সাইয়ারা



সবার সামনের ভিউপয়েন্ট




ম্যাপের সামনে সাইয়ার ও বুসরা



পূর্বদিকের ভিউপয়েন্টে, পিছনে সাঙ্গু নদ



সাঙ্গু নদ



আড্ডা










ফিরবো এবার....


আগামী পর্বে দেখা হবে শৈলপ্রপাতে।

পূর্বের পর্বগুলি -
খাগড়াছড়ির পথে”।
খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – প্রথম পর্ব”।
“[link|http://zizipooka.com/travel/1845|খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – আলুটিলা গুহা[]”।
খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – রিছাং ঝর্ণা”।
খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – শতবর্ষী বটবৃক্ষ”।
খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – অপরাজিতা বৌদ্ধ বিহার”।
রাঙ্গামাটি ভ্রমণ – সুভলং ঝর্ণা ও কাপ্তাই হ্রদে নৌবিহার”।
রাঙ্গামাটি ভ্রমণ – ঝুলন্ত সেতু, রাজবাড়ি ও রাজবন বিহার”।
বান্দরবন ভ্রমণ – নীলগিরি”।


প্রথম প্রকাশ: ঝিঁঝি পোকা


এখনো অনেক অজানা ভাষার অচেনা শব্দের মত এই পৃথিবীর অনেক কিছুই অজানা-অচেনা রয়ে গেছে!! পৃথিবীতে কত অপূর্ব রহস্য লুকিয়ে আছে- যারা দেখতে চায় তাদের ঝিঁঝি পোকার বাগানে নিমন্ত্রণ।
৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রোএক্টিভিটি এবং কম্পাউন্ড ইফেক্ট: আমার গুরুত্বপূর্ণ দুইটি শিক্ষা

লিখেছেন মাহদী হাসান শিহাব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১১



আমার গুরুত্বপূর্ন দুইটা লার্নিং শেয়ার করি। এই দুইটা টুল মাথায় রাখলে দৈনন্দিন কাজ করা অনেক সহজ হয়। টুল দুইটা কাজ করতে ও কাজ শেষ করতে ম্যাজিক হিসাবে কাজ করে।

এক.

স্টিফেন কোভের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রসঙ্গ রূপান্তরঃ ট্রান্সজেন্ডার, সমকামিতা এবং যৌনতা বিষয়ক কিছু আবশ্যিক আলাপ

লিখেছেন সায়েমার ব্লগ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৩

প্রসঙ্গ রূপান্তরঃ
ট্রান্সজেন্ডার, সমকামিতা এবং যৌনতা বিষয়ক কিছু আবশ্যিক আলাপ

১।
যৌন প্রাকৃতিক, জেন্ডার নয়।জেন্ডার মানুষের সৃষ্টি (social, cultural construction)। যৌনকে বিভিন্ন সমাজ বিভিন্ন সময়ে যেভাবে ডিল করে, তাঁকে ঘিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্মৃতির ঝলক: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনুভূতি এবং মনের শান্তির খোঁজে

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০১



সরল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সংমিশ্রণে একটি ঘূর্ণায়মান পথ জুড়ে ঘুরে বেড়ানোর অবস্থানে আমি খুব শান্তি অনুভব করি। নদীর জল ছুঁয়ে পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সঙ্গে এক আন্তরিক সংযোগ অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×