২০১৬ সালের অক্টোবর মাসের ২৮ তারিখ শুক্রবার ফেবু গ্রুপ Save the Heritages of Bangladesh তাদের ২৫তম ইভেন্ট পরিচালনা করছিলো। অন্য সব সদস্যদের সাথে আমি আমার আমার বড় কন্যা সাইয়ারাও ঐদিন অংশ নিয়েছিলাম ডে ট্যুরে আড়াইহাজার ও সোনারগায়ের কিছু জমিদার বাড়ি, মন্দির, মঠ, মসজিদ ঘুরে দেখার জন্য।
ভোর ৬.৩০ মিনিটে আমাদের যাত্রা শুরু হয় লালমাটিয়ার আড়ং এর সামনে থেকে, প্রায় ৩০ জনের গ্রুপ ছিলাম। আমাদের প্রথম গন্তব্য ছিল আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ী।
বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ী সম্পর্কে যা জানা যায় -
আড়াইহাজারে ঐতিহ্যবাহী একটি জমিদার বাড়ী হলো স্থাপত্যশৈলীর অনুপম নির্দেশনা বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ি। স্থানীয়ভাবে বলা হয় বাইল্যাপাড়া জমিদার বাড়ি। আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া এলাকায় এই বাড়িটির অবস্থান। ঐতিহ্য বুকে ধারন করে লাল ইট ও চুন সুরকির মিশ্রণে তৈরি বাড়িটি এখনো কালের স্বাক্ষী হিসেবে সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে।
তিন তিলা এল প্যাটার্ণের বাড়ি। বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ি নিয়ে বাজারে অনেক কথাই প্রচলিত। তবে অধিকাংশই শোনা কথা। এই বাড়িটির ইতিহাস একশ বছরের পুরনো। বাড়িটির মালিক জমিদার মুকুন্দ মুরালির কোন বংশধর এখানে থাকে না। দেশ বিভাগের পরপরই তারা ভারতে চলে যায়।যাওয়ার আগে তাদের সমস্ত জমাজমি বিক্রি করে দিয়ে যায়। স্মৃতি চিহ্ন হিসেবে বাড়িটি রেখে দেয়। জমিদার মুকুন্দ মুরালি তাঁর এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জে। সে কারণে তিনি বালিয়াপাড়া বাড়িটি বিক্রি করেননি। দেশ বিভাগের আগ পর্যমত্ম জমিদার মকুন্দ মুরালি এই বাড়িতেই বসবাস করতেন। জনশ্রুতি আছে, বালিয়াপাড়া রাজবাড়ির মালিক মুকুন্দ মুরালি প্রথম জীবনে হিন্দু জমিদার কিশোরী পোদ্দারের খাজাঞ্চি ছিলেন। অনেক পড়ে মুকুন্দ মুরালি জমিদারী লাভ করেন। জমিদার হলেও মূলত: তারা ছিলেন বণিক শ্রেণীর। ঢাকা নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যবসা করতেন।
তথ্য সূত্র : Save the Heritages of Bangladesh এর ২৫তম ইভেন্ট
তারিখ : ২৮/১০/২০১৬ইং
পথের হদিস : ঢাকা > আড়াইহাজার > বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ী
এবার তাহলে বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ীর ছবিগুলি দেখা নেয়া যাক।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩১