somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমিই মিসির আলি – হুমায়ূন আহমেদ (কাহিনী সংক্ষেপ)

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বইয়ের নাম : আমিই মিসির আলি
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : মিসির আলি বিষয়ক উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ২০০০
প্রকাশক : অন্যপ্রকাশ
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৯৬



সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট

কাহিনী সংক্ষেপ :
মারহাবা খাতুন লিলি একটা চিঠি নিয়ে দেখা করতে এসেছে মিসির আলির সাথে। তার স্বমী সুলতান সাহেব লিখেছে সেই চিঠি। তিনি পঙ্গু বলে মিসির আলির সাথে দেখা করতে আসতে পারছেন না। তাই তিনি চিঠি লিখে মিসির আলিকে তাদের বাড়িতে বেড়াতে যাবার নিমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। কিন্তু মিসির আলির যাওয়ার কথা টেকনাফে, তার এক ছাত্র তার জন্য বেরাবার সব ঠিক করে রেখেছেন, তাই তিনি ঠিক করলেন টেকনাফেই যাবেন। দ্বিতীয় দিন লিলি আবার আসলো, এক পর্যায়ে তিনি সিদ্ধান্ত পালটিয়ে ঠিক করলেন মিলির সাথে তারদের বাড়িতেই যাবেন।

মিসির আলি আর লিলি তাদের বাড়িতে পৌছায় রাতের ১০টার দিকে। আশেপাশে আর কোনো বাড়ি নেই, চারপাশ অন্ধকারে ডুবে আছে। লিলি অনেক ডাকাডাকি করার পরে তাদের দারোয়ান বরকত এসে গেট খুলে দিল। বাড়িতে ঢোকার পরে লিলির স্বামী সুলতানের সাথে আলাপ হয় মিসির আলির।

পরদিন ভোরে মিসির আলি ঘুরে ফিরে বাড়িটি দেখার সময় দেখতে পান বাড়ির পিছনে একটি কালী মন্দির আছে। এই বাড়িটি আগে ছিল অশ্বিনী বাবুর। অশ্বিনী বাবুকে কালী নিজে স্বপ্নে দেখা দিয়ে এই মন্দির তৈরি করতে বলেন। মন্দির তৈরির পরে তিনি আবার স্বপ্ন দেখেন তাকে নরবলি দিতে হবে, তিনি রাজি হন না। অমাবস্যার পরদিন তিনি দেখেন তার বড় মেয়ে মন্দিরে পরে আছে মৃত, তার ধর থেকে মাথাটা আলাদা হয়ে আছে। এরপর তিনি সেই কালী মূর্তী মেঘনা নদীতে ফেলে দেন। তাতেও কোন লাভ হয় না, একই ভাবে তার মেঝ মেয়ে মারা পরে। তিনি ভয়ে বাড়ি বিক্রি করে দিয়ে জলপাইগুড়ি চলে যান, সেখানে একই ভাবে তার তৃতীয় মেয়ে মারা যান। কিন্তু শেষ পযর্ন্ত দেখা যায় অশ্বিনী বাবু একজন সিরিয়াল কিলার, তিনিই তার ৩ মেয়েকে খুন করেছেন।

মিসির আলি লিলিদের বাড়িতে দুই রাত রইলেন। দুই রাতেই তিনি স্বপ্ন দেখলেন। স্বপ্নগুলি তার কাছে সত্যি বলে মনে হলো। সুলতান মিসির আলিকে জানালো, দুই রাতেই মিসির আলিকে ধুতরা ফুলের মধু খাওয়ানো হয়েছে বলে তিনি এমন স্বপ্ন দেখেছেন। সুলতান আসলে পঙ্গু নন। মিসির আলিকে আটকে রাখার জন্য সুলতান এখানে তাকে ডেকে আনিয়েছে। এর আগেও তিনি আরো অনেককে এভাবে ডেকে আনিয়েছেন এবং তাদের কেউ আর এখান থেকে জীবিত ফিরে যেতে পারেনি। অথর্ৎ সুলতানও একজন সিরিয়াল কিলার।

সুলতান মিসির আলিকে পড়ার জন্য তার লেখা একটা ডাইরি দেন। সেখান থেকে মিসির আলি জানতে পারেন, সুলতানের পরিবার ছিলো খুবই ধনী। তারা ছিলো অনেকগুলি ভাই বোন। পুরনো ঢাকার বিশাল এক বাড়িতে তারা থাকতো। একদিন হঠাৎ ঘুমের মধ্যে তার বড় বোন মারা গেল। কিছু দিনের মধ্যেই মারা যায় তার আরেক ভাই, তার পরেই ছোট বোন। পরাপর মৃত্যুতে ভয় পেয়ে যান সুলতানের বাবা। তার বাবা তাদের সবাইকে নিয়ে চলে আসেন গ্রামের বাড়িতে। সেখানে তাদের পড়ানোর জন্য একজন শিক্ষক ঠিক করা হয়। শিক্ষক তাদেরকে নানা ধরনের শাস্তি দিতেন। একদিন সুলতানকে পুরনো এক কালী মন্দিরে বন্দি করে শাস্তি দেন। সেখানেই সুলতান দেখতে পায় স্বেত কালীকে। কালী তাকে পরামর্শ দেয় শিক্ষককে ধাক্কা দিয়ে কুয়াতে ফেলে দিয়ে মেরে ফেলতে। শিক্ষককে কুয়াতে ফেলার পরে সেই কালী সুলতানকে বলে ভুলেও কুয়ার কাছে না যেতে, কুয়ার কাছে গেলে তার ক্ষতি হবে।

বর্তমাণের বাড়িটিতে মন্দিরের পিছনে একটি কুয়া আছে। সুলতান মন্দিরে ১৪-১৫ বছরের একটি মেয়েকে আটকে রেখেছে। মেয়েটিকে বলি দিয়ে মিসির আলিকে ভয় দেখানো হবে। এদিকে মিসির আলি তার পর্যবেক্ষণের গুণে সহজেই সুলতানের কুয়া ভীতিটা ধরে ফেলেন। সেই ভীতিটাই কাজে লাগিয়ে মিসির আলি সুলতানকে পরাজিত করে বাচ্চা মেয়েটিকে উদ্ধার করেন।
----- সমাপ্ত -----


=======================================================================

আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ

আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ

ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩২
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=স্মৃতির মায়ায় জড়িয়ে আছে মন=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৯


ঘাস লতা পাতা আমার গাঁয়ের মেঠো পথ, ধানের ক্ষেত
জংলী গাছ জড়ানো লতাবতী - আহা নিউরণে পাই স্মৃতির সংকেত,
রান্নাবাটির খেলাঘরে ফুলের পাপড়িতে তরকারী রান্না
এখন স্মৃতিগুলো পড়লে মনে, বুক ফুঁড়ে বেরোয় কান্না।

ফিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×