somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসমানীরা তিন বোন – হুমায়ূন আহমেদ (কাহিনী সংক্ষেপ)

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বইয়ের নাম : আসমানীরা তিন বোন
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : জুন ২০০২
প্রকাশক : অন্যপ্রকাশ
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৯৬



সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট

কাহিনী সংক্ষেপ :
জমীর আলী আগে মাটিকাটার কাজ করতো, সে অলস প্রকৃতির মানুষ তাই মাটিকাটার কাজ ছেড়ে এখন ভিক্ষা করে। তার তিন মেয়ে আসমানী, জামদানী আর পয়সা। জমীর আলীর অলসতার কারণে সংসারে অভাব অনটন লেগেই আছে। তার স্ত্রী আছিয়া ভিক্ষা করা মোটেও পছন্দ করে না। তার ছোট মেয়ে পয়সা যেদিন জন্মালো তারপরেই আছিয়া রাগ করে বাড়ী ছেড়ে চলে গেল, তাকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া গেলো না।

জমীর আলী সুসাং দূর্গাপুরে আছিয়ার বোনের বাড়িতে তাকে খুঁজতে যায়, কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারে আছিয়া আরো দুটি মেয়ের সাথে বডার পার হয়ে ভারতে চলে গেছে। জমীর আলীও রাতের অন্ধকারে বডার পার হয় স্ত্রীকে খোঁজার জন্য। বডার পার হতেই সে ধরা পরে, দুই বছরের জেল হয়ে যায়। জেলে থাকার সময় মিথ্যে গুজব রটানো চেষ্টা করেছে এমন অভিযোগ করে তার শাস্তি আর সাত বছর বাড়িয়ে দেয়া হয়।

পনেরো বছর পরে আসমানীরা তিন বোন এখন কাজ করে স্বাধীন বাংলা সারকাসে। সারকাসের মালিক হারুন সরকার খুবই ভালো লোক, কিন্তু অল্পতেই দুঃচিন্তা করেন। তার ম্যানেজার তৈয়ব আলী, সব দিকে তার তিক্ষণ নজর। দু’জনেই আসমানীদের খুব ভালোবাসে। ওরা তিন বোন সারকাসের সেরা আকর্ষণ। দড়ির উপরে হেঁটে খেলা দেখায় ওরা, খুবই বিপদজনক খেলা।

একদিন বসির মোল্লা নামের একজন ধনী মাছ ব্যবসায়ী লম্পট টাইপের মাঝ বয়েসী লোক এলো সারকাস দেখতে। অল্পবয়সী মেয়েদের প্রতি তার বিশেষ আকর্ষণ আছে। তিন বোনের খেলা দেখে সে সাথে সাথেই পয়সাকে পছন্দ করে ফেলে, তাই সে পয়সাকে একটা সোনার মেডেল দিবে বলে ঘোষণা করে। সারকাস খেলা শেষ হলে পরে বসির মোল্লা ম্যানেজার তৈয়কে তার লঞ্চে ডেকে নিয়ে সারকাস কিনে নেয়ার প্রস্তাব দেয়। সারকাসের মালিকানার সাথে সাথে মেয়ে তিনটির মালিকানাও তিনি পেয়ে যাবেন এই তার মতলব।

এদিকে সারকাসের মালিক অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে অসুস্থ হয়ে পরেন, তাকে হাসপাতালে ভর্তী করা হয়। একদিন পরেই তিনি জোড় করে হাসপাতাল থেকে চলে আসেন। রাতেই তিনি মারা যান। মারা যাওয়ার আগে তিন বোনের নামে সারকাসের মালিকানা লেখে দিয়ে যান। এই মেয়ে তিনটিকে তিনি একে বারে ছোট থেকে লালন পালন করে বড় করেছেন, খেলা শিখিয়েছেন। সমস্ত আপদ বিপদ থেকে আগলে রেখেছেন। তার মৃত্যুর পরে যেনো সারকাস আর তিন বোনের কোন সমস্যা না হয় তাই তিনি এই কাজ করে গেছেন। সমস্ত কাগজ দিয়ে গেছে বিশ্বস্ত ম্যানেজার তৈয়বের কাছে।

এদিকে বিকেলে সারকাসের মালিক মারা গেলেও রাতের শোয়ের সমস্ত টিকেট যেহেতু বিক্রি হয়ে গেছে তাই শো চালিয়ে যেতেই হবে। পিতার মত এক জনকে হারিয়ে তিন বোনের মানুষীক অবস্থা খুব খারাপ, তবুও কাঁদতে কাঁদতে তারা উঠে আসে দড়ির উপরে খেলা দেখাতে। যখন তারা খেলা দেখাচ্ছে তখন নিচে দর্শকের সারিতে তাদের বাবা জমীর আলী বসে আছেন চোখ বন্ধ করে, আর আল্লাহর কাছে দোয়া করছেন যাতে তার তিন মেয়ের কোন সমস্যা না হয়।
----- সমাপ্ত -----


=======================================================================

আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ

আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়


তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ

ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৫
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×