somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইরিনা – হুমায়ূন আহমেদ (কাহিনী সংক্ষেপ)

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বইয়ের নাম : ইরিনা
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : সাইন্স ফিকশন উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮
প্রকাশক : প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৮৮



সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট

কাহিনী সংক্ষেপ :
চল্লিশ জন তরুণ বিজ্ঞানী নতুন একটা আবিষ্কার করেছেন। তারা অমর হওয়ার ঔষধ আবিষ্কার করেছেন। জিনিসটা জানাজানি হলে সমস্যা দেখা দিবে, সবাই অমর হতে চাইবে তাই তারা মাটির নিচে একটি গবেষণাগার তৈরি করে নিজেদের সাধারণ পৃথিবী থেকে আলাদা করে ফেলেন। ঔষধ ব্যবহার করে তারা সবাই অমর হয়ে যান কিন্তু একটি সমস্যা দেখা দেয়। তাদের বংশ বৃদ্ধির ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। একসময় পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা মাটির নিচের বিজ্ঞানীদের গবেষণা সম্পর্কে কৌতূহলী হয়ে পরে, তাদের গবেষণার বিষয় জানতে চায়। তখন অমর বিজ্ঞানীরা তাদের নিয়ন্ত্রিত সুপার কম্পিউটা সিডিসিকে ব্যবহার করে নতুন এক নিয়ন্ত্রিত পৃথিবী তৈরি করার জন্য পুরনো পৃথিবী ধ্বংস করে দেয় পারমানবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে। বিস্ফোরণ থেকে বেঁচে যাওয়া লোকদের নিয়ে তারা তিন স্তর বিশিষ্ট নতুন সমাজ ব্যবস্থা চালু করে।


প্রথম স্তরের লোক সমস্ত নিয়মকানুন মেনে চলতে পারলে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে দ্বিতীয় স্তরে যেতে পারে। প্রথম স্তরে প্রচুর কাজ করতে হয়, কিন্তু খাদ্যের পরিমাণ কম। দ্বিতীয় স্তরে কাজের পরিমাণ খুবই কম আর আরাম আয়েসের কোন কমতি নেই। তৃতীয় স্তরে চাইবা মাত্র সমস্ত সুযোগ সুবিধা হাজির হয়ে যায়। আরেকটি আছে নিষিদ্ধ স্তর যেখানে অমর বিজ্ঞানীরা থাকে। সেটা সম্পর্কে কোন আলোচনা করা সম্পূর্ণ নিষেধ।


শুরুতে অমর বিজ্ঞানীদের সংখ্যা ৪০ থাকলেও এখন বেঁচে আছে মাত্র ৯ জন। কয়েকশো বছর মাটির নিচে থাকার পর একজন অমর বিজ্ঞানী পৃথিবীর আলোবাতাসের সংস্পর্শে আসার পরেই মারা জান। তারপর নিষিদ্ধ নগরীতে পৃথিবীর আলোবাতাস প্রবেশের সমস্ত ব্যবস্থা সিডিসি বন্ধ করে দেয়। সিডিসি নিজে নিষিদ্ধ নগরীর বাতাস পরিশুদ্ধ রাখার প্রোগ্রাম পরিচালনা করে।


সিডিসি প্রথম স্তর থেকে দুটি তরুণ তরুণীকে নিষিদ্ধ নগরীতে নিয়ে এসেছে। তরুণটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানের ছেলে মীর, আর মেয়েটি অতি সাধারণ ইরিনা। এদের আনার পিছনে সিডিসির সূক্ষ্ম একটা চাল আছে। সে বর্তমানে পৃথিবীর এই ব্যবস্থা পছন্দ করছে না। অমর বিজ্ঞানীরা পৃথিবী থেকে বিজ্ঞান চর্চা উঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সিডিসি নিজে কিছু করতে পারবে না। কারণ তাকে প্রোগ্রাম করা হয়েছে অমর বিজ্ঞানীদের সব ধরণের বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্য। এদিকে শুধু মাত্র একজন অমর বিজ্ঞানী ছাড়া বাকি সবাই দীর্ঘ ঘুমে গেছেন। পরে সিডিসি নিরাপত্তা প্রধানকেও নিষিদ্ধ নগরীতে নিয়ে আসে, তার সাথে আছে ভয়ঙ্কর এক ব্লাস্টার। একমাত্র সজাগ অমর বিজ্ঞানী বুঝতে পারেন সিডিসির চক্রান্ত। সিডিসি তার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে নিরাপত্তা প্রধানের ছেলেকে হত্যা করবে। এতে নিরাপত্তা প্রধান রেগে গিয়ে অমর বিজ্ঞানীদের হত্যা করবে।


অমর বিজ্ঞানী নিরাপত্তা প্রধানকে ডেকে কথা বলে সিডিসির চক্রান্ত বুঝিয়ে বলেন। তিনি প্রধানকে বুঝিয়ে বলেন কি করে সিডিসির মূল পাওয়ার সাপ্লাইকে উড়িয়ে দিতে হবে। বিজ্ঞানীর কথা মত নিরাপত্তা প্রধান সিডিসির মূল পাওয়ার সাপলাই উড়িয়ে দেয়। তখন সিডিসি তার সংরক্ষিত শেষ পাওয়ারটুকু ব্যবহার করে বিজ্ঞানীর সাথে কথা বলে। সিডিসি বলে তার চক্রান্ত সফল হয়েছে। আমর বিজ্ঞানীদের নিজে সে মারতে পারতো না। কিন্তু এখন সিডিসি কাজ করতে না পারার কারণে নিষিদ্ধ নগরীর বায়ু শুধন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পরেই বায়ু দুষিত হলে অটোমেটিক মেইন দরজা খুলে যাবে যাতে বাইরে থেকে আলো বাতাস আসতে পারে। আর বাইরের আলো বাতাস পেলেই অমর বিজ্ঞানীরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পরবে। তখন পৃথিবীর মানুষ আবার নতুন করে তাদের বসতি আর জীবন পদ্ধতি পরিবর্তন করে নেয়ার সুযোগ পাবে।

----- সমাপ্ত -----


=======================================================================

আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ

আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়


তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ

ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৩
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×