ঢাকা শহরকে কেনো ঢাকা ডাকা হয় তা কি আমরা জানি!!
রাজা বল্লাল সেন বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভ্রমণকালে জঙ্গলেঢাকা দেবী দুর্গার একটি বিগ্রহ খুঁজে পেয়ে ঢাকেশ্বরী নামে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। সেখান থেকেই ঢাকা শহরের নাম।
আবার অন্যেরা বলেন মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর যখন ঢাকাকে বাংলার রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন; তখন সুবাদার ইসলাম খান আনন্দের বহিঃপ্রকাশস্বরূপ শহরে “ঢাক” বাজানোর নির্দেশ দেন। এই ঢাক বাজানোর কাহিনী লোকমুখে কিংবদন্তির রূপ নেয় এবং তা থেকেই শহরের নাম ঢাকা হয়ে যায়।
তবে শাক দিয়ে মাছ ঢাকা দেয়ার মতো মিষ্টি কথা দিয়ে ঢাকার সুনাম ঢাকা পরেছে দুর্নীতির নিচে। এমনিতেই ঢাকা শহর ঢাকা আছে বিষাক্ত বায়ুতে। সামান্য বৃষ্টি হলে ঢাকার সব মেনহোল ঢাকা পরে জলের তলে আর ঢাকা শহর ঢাকা পরে ময়লা জলে।
ঢাকাকে ডাকা হয় মসজিদের শহর বলে। কাকডাকা ভোরে মসজিদ থেকে মুয়াজ্জিনেরা আজান দিয়ে ডাকতে থাকে ঢাকাবাসীদের নামাজের জন্য। মুয়াজ্জিনেরা যতই ডাকুক না কেনো, আমার মতো আলসে লোকেরা সেই ডাকে সারা না দিয়ে সেই সময় বরং শরীর ঢাকা দেয় কাথার নিচে।
ঠিক তখনই ঢাকা শহরের একমাত্র পাখি কাক ডাকলেই, কাকডাকা ভোরে সিটি কর্পরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা হলুদ জামায় নিজেদের ঢেকে ঢাকার পথে নামে ময়লা ঢাকা ঢাকাকে পরিষ্কার করতে। এই ময়লা ফেলি আমরাই, পথ চলতে এই মলার সামনে এসে র্দূগন্ধে রুমালে নাক ঢাকা দেই আমরাই। র্দূগন্ধে নাক ঢাকার আগে ঢাকা বাসীর উচিত লজ্জায় মুখ ঢাকা দেয়া। এখন যখন করনার কবল থেকে বাঁচতে সারা বিশ্ব মাস্কের নিচে নাম মুখ ঢাকা দিচ্ছে, তখন ঢাকা বাসী নাক মুখ ঢাকা দিতে যত অনিহা।
বি.দ্র. : এটি একটি আবলতাবল লেখা, নেই কাজ তো খৈ ভাজ টাইপ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০২১ রাত ৩:১৬