somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কুহুরানী – হুমায়ূন আহমেদ (কাহিনী সংক্ষেপ)

৩০ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বইয়ের নাম : কুহুরানী
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ২০০০
প্রকাশক : অনন্যা
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৯৫ টি



সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট


কাহিনী সংক্ষেপ :
খায়রুননেসা আদর্শ বিদ্যালয়ের হেড মাস্টার মোফাজ্জল করিম সাহেবের বয়স ৬১ বছর। আড়ালে ছাত্ররা তাকে তিতা টমেটু বা গর্জন স্যার নামে ডাকে। তিনি একা মানুষ, বিয়ে করেছিলেন। তার স্ত্রীর গায়ের রঙ শ্যমলা ছিলো বলে তার শ্বশুর মেয়ের নাম রেছেছিলেন জোছনা। মোফাজ্জল সাহেব জোছনাকে খুবই ভালোবাসতে। তার একমাত্র ছেলেকে জন্ম দিতে গিয়ে জোছনা মারা যায়। মায়ের মৃত্যুর পরপরই ছেলেটিও মারা যায়। তারপর থেকেই মোফাজ্জল সাহেব একা।

গ্রামে একটা সার্কাসের দল এসেছে। সার্কাসের ম্যানেজার ইয়াকুব। তিনিই আসলে সার্কাসের মালিক। ইয়াকুব খুবই চালাক মানুষ। সার্কাসের দল গ্রামে তাবু ফেলতেই ইয়াকুব গ্রামের মানিগুণি ব্যক্তিদের তালিকা করে সবার কাছে নিজে গিয়ে ফ্রী পাশ দিয়ে এসেছে। সাধারণত স্কুল আর মসজিদ মাদ্রাসার কমিটি সার্কাসের বিরোধী থাকে। তাই ইয়াকুব স্কুলে গিয়ে সব শিক্ষকদের ফ্রী পাশ দিয়ে এসেছে। স্কুলের হেড মাস্টার আর মাওলানাকে ইয়াকুব তার ভদ্র ব্যবহার আর কথার মায়ায় কাবু করে ফেলে। মোফাজ্জল সাহেব ইয়াকুবকে কথাদেন রাতে সার্কাস দেখতে যাবেন। রাতে সার্কাসে গিয়ে তিনি কালো একটি মেয়েকে দেখেন দড়ির উপরে খেলা দেখাচ্ছে। মেয়েটিকে দেখে তিনি অবাক হয়ে যান, কারণ কুহুরানী নামের ঐ কালো মেয়েটি দেখতে অনেকটাই মোফাজ্জল সাহেবের মৃতা স্ত্রী জোছনার মত।

কুহুরানী ছোট বেলায় তার বাবার সাথে ট্রেনে ট্রেনে ভিক্ষা করতো। ট্রেনেই একদিন পরিচয় হয় জয়নাল চাচার সাথে। জয়নাল চাচা খেলা দেখাতো। জয়নাল চাচার কাছেই কুহুরানী খেলা শিখে। কুহুরানীর বাবা মারা গেলে সে জয়নাল চাচার সাথেই থাকতে শুরু করে। কিছুদিন পরে কুহুরানীর শরীরে বয়সের বিশেষ লক্ষণ দেখা দেয়ার পরে জয়নাল চাচা কুহুরানীকে বিয়ে করতে চায়। কুহুরানী জয়নাল চাচাকে ছেড়ে চলে আসে এই সার্কাসে। রোগে শোকে জয়নাল মারা যায়। কুহুরানীর আর কোন যায়গা থাকে না যাবার। সার্কাসের অন্যসব মেয়েদের মতোই জোয়ারে ভেসে যায় তার সব কিছু।

কুহুরানী মাঝে মাঝেই সার্কাস দল থেকে পালানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু পারেনি, হয় সে নিজেই আবার ফিরে এসেছে বা তাকে ধরে আনা হয়েছে। এবারও একদিন পরেই সে পালালো। প্রচন্ড জ্বর নিয়ে রাতের আধারে পালালো কুহুরানী। এক সময় কুহুরানী গিয়ে আশ্রয় নিলো মোফাজ্জল সাহেবের বাড়িতে। মোফাজ্জল সাহেব অসুস্থ মেয়েটির মাঝে নিজের মৃত স্ত্রীর ছায়া দেখতে পেলেন। তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে মেয়েটিকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিলেন।

অন্যদিকে গ্রামের ক্ষমতাধর ধনী ব্যক্তি খন্দকার সাহেব কুহুরানীকে পছন্দ করে ফেলেছে। সার্কাসের মালিক ইয়াকুব তার চমৎকার কৌশলে খন্দকার সাহেবকে হাত করে ফেলে। খন্দকার সাহেবের প্রভাবে থানার অফিসার আর মাদ্রাসার মাওলানা সহ সবাই বশ হয়ে যায়। কুহুরানী ফিরে আসে সার্কাসে, এক মাস সফলতার সাথে সার্কাস শেষে চলে যাওয়ার দিন কুহুরানী মোফাজ্জল সাহেবের কাছে দোয়া নিতে আসে।

----- সমাপ্ত -----


=======================================================================

আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ

আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ: আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়


তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ

ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫১
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×