খাবেন নাকি?
ভেবে ছিলাম যাবো নাগরিতে। বর্ষার নতুন জলে দাপদাপি করে কাটাবো একটা দিন।
আমাদের আশ্রমে যে পুকুরটি কাটিয়েছি সেটি খুব গভীর। ফলে সেখানকার জল প্রচন্ড ঠান্ডা। কিজে আরাম সেখানে অবগাহনে তা বলে বুঝানো যাবে না।
অনেকেই জানতে চেয়েছেন আমার নিকটা কেনো মরুভূমির জলদস্যু রাখলাম।
আমি সাঁতাড় জানি না। তাই মরুভূমি ছাড়া অন্য কোথাও জলদস্যুতা করার উপায় নাই। এটা একটা ব্যাখ্যা হতে পারে এই নামকরণের!!!
যাইহোক, সাঁতাড় না জানলেও জলের প্রতি টান আমার সেই ছোটো বেলা থেকেই। জলও আমাকে টানে খুব। নানান উসিলায় (আল্লাহর অশেষ রহমতে) সেই টান উপেক্ষা করে এখনো বেঁচেবর্তে আছি আমি। সেই ১৯৯৯ সনে প্রথম সেন্টমার্টিন যাবার সময় প্রচন্ড ঝরের কবলে পরে কোনো রকমে নাকানি-চুবানি খেয়ে আমরা বেঁচে ফিরেছিলাম। সেই কাহিনী পরে আরেকিদন বলা যাবে। এখন বর্তমানের কথায় ফিরে আশা যাক।
করনার কারণে শুরু হয়েছে লকডাউন। বর্ষার বৃষ্টি বাদল শুরু হয়েছে মুটামুটি। স্মাটফোন দেখে মুটামুটি আগেই বুঝাঝায় কবে বৃষ্টি হতে পারে। (মাঝে মাঝে অবশ্য সেটা ফল্স এ্যালাম হয়ে যায়)। যাইহক, বর্ষার নতুন জলে দাপাদাপির ইচ্ছে শিকেউ উঠেছে লকডাউনের কারণে। যা বুঝা যাচ্ছে আল্লাহ চাহেতো ঈদের পরেই যেতে হবে বর্ষার জলে ডুব দিতে। ততো দিনের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আরো কোনো উপায় নেই।
তাই সেই সুযোগ আসার আগে গত ১৫/০৮/২০১৮ ইং তারিখে মরুভূমির জলদস্যুর বর্ষার জলে অবগাহনের কিছু সুলভ চিত্র প্রদর্শিত হলো।
১।
বুঝতেই পারছেন সাঁতার না জানলে লাইফ জেকেট মাস্ট।
২।
মরুভূমির জলদস্যুরকে লাইফ জেকেট গায়ে দেয়ায় সাহায্য করছে বন্ধু শাহজালাল
৩।
নেমে গেছি জলে
৪।
এইখানে কিন্তু ঠাই আছে
৫।
বন্ধু শাহজালাল
৬।
এবার গভীর জলে ভেসে থাকা
৭।
এবার গভীর জলে ভেসে থাকা
৮।
এবার গভীর জলে ভেসে থাকা
৯।
এই শুরু দাপাদাপি
১০।
একটি শাপলার ঢেপ পেয়েছি।
১১।
এগারো নাম্বার ছবি উপরে দিয়ে দিছি।
বি.দ্র. : বন্ধু ইস্রাফীল তাহার হাতের সিংগা সরাইয়া রাখিয়া ক্যামেরা তুলিয়া লইয়া ছিল ফটো খিচিবার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪২